ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৩:৩৮, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

উন্নয়ন ও প্রধানমন্ত্রী

(শেষাংশ) দেশের দুটি ধারার রাজনৈতিক বলয়ের একটির লক্ষ্য, বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা। অন্যদিকে আরেকটি শক্তির অভিলাষ- যে কোন মূল্যে ১৫ কিংবা ২১ আগস্টের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হওয়া। এসব দুষ্কৃতকারী সবসময় দেশের অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে চেয়েছে। বিশেষত ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ১৯ বার শেখ হাসিনার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে। মূলত হত্যার প্রচেষ্টা ও হুমকির মধ্যেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবেÑ এটা নিশ্চিত। তাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে সকল অশুভ শক্তির মোকাবেলা করতে হবে। সামনে বাধা এলে তা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবেলায় সচেষ্ট থাকতে হবে। ’৭১-এর পরাজিত শক্তিরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে দেশের স্বাধীনতা ও স্বপ্নকে হত্যা করতে চেয়েছিল। শেখ হাসিনা জীবিত রয়েছেন। তিনিই তাঁর পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু ’৭১-এর পরাজিত শক্তিরা বসে নেই। ষড়যন্ত্রকারীরা নতুন নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। তাই সকলকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। তাঁর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। কারণ আমরা পারি, আমরা নির্ভীক ও আমাদের গতি অদম্য। ॥ তিন ॥ বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে বাঙালী জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে অনন্য মর্যাদায় অভিষিক্ত করেছেন; সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন ও বাস্তবায়নে অগ্রসর হয়েছেন। তাঁর সেই আদর্শিক ধারায় স্নাত হয়ে শেখ হাসিনা মেধা ও দূরদর্শিতাসম্পন্ন রাজনীতিক হিসেবে জনগণের ভাগ্য বদলে দিয়েছেন। জননেত্রীর নেতৃত্বে এ মুহূর্তে বাংলাদেশের অগ্রগতি অসামান্য। শেখ হাসিনা তাঁর নিজের কাজে প্রমাণ করেছেন যে, রাজনীতির অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ ও জনগণের ভাগ্য-উন্নয়ন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদেশের সবচেয়ে বড় সম্ভাবনার খাত এদেশের মানুষ। অতিরিক্ত জনশক্তির দেশ এটি। ষোলো কোটি মানুষের মেধা আর বত্রিশ কোটি দক্ষ কর্মীর হাতের পরশে যে কোন ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব। বিশ্বের কোথাও এদেশের মতো এমন উজ্জ্বল সম্ভাবনার জনশক্তি আছে বলে মনে হয় না। আমাদের শক্তি আমাদের তারুণ্য। এদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৫ কোটি তরুণ। এই তারুণ্যের শক্তি কি না পারে? কোন কাজই এদের কাছে অসাধ্য নয়। ‘৫২, ‘৬৯, ‘৭১, কিংবা ‘৯০-এর বিজয়ে তরুণরাই অগ্রপথিক ছিল। তরুণদের কাছে অস্ত্র ছিল না, ছিল শুধু সাহস। সে সাহসের হাত ধরেই তারা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। আজও আমাদের তরুণরা বসে নেই। দেশের অগ্রগতিতে তাদের অবদান দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। এরা মিথ্যা শক্তিকে যেমন গুড়িয়ে দিতে পারে তেমনি ভূমিকা রাখতে পারে বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ গড়তে। জাতির কা-ারির ভূমিকায় শক্ত হাতে হাল ধরার ক্ষমতাও এদের আছে। কোন অন্যায় কিংবা মিথ্যা শক্তির কাছে এরা কখনও মাথা নত করেনি, আর করবেও না কোনদিন। বাংলাদেশে এখন প্রতি তিনজনে দুজনই উপার্জনক্ষম। নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা কমে যাওয়ায় জাতীয় সঞ্চয় বেড়েছে। অর্থনীতি সবল হয়েছে। বাংলাদেশে এখন ১০ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণের সংখ্যা পৌনে পাঁচ কোটি। এর সঙ্গে ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী যুব জনসংখ্যাকে ধরলে বলা যায় যে, জনসংখ্যার তিন ভাগের দুই ভাগই টগবগে তরুণ। বিপুলসংখ্যক তরুণ জনগোষ্ঠীর ‘উন্নতি করার’ তীব্র আকাক্সক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে। এটা একটা সামাজিক-পুঁজি। তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষিত ও দক্ষ করে তোলার দায়িত্ব পালন করছে বর্তমান সরকার। এ কথা ঠিক, মেধা আর যোগ্যতার জোড়েই বিশ্ব মানচিত্রের উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হবে বাংলাদেশের নাম। এদেশের সীমিত সম্পদ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাবই। বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা যাঁরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল, তাঁদের আত্মশুদ্ধি ও আত্মসমালোচনার মধ্যে থেকে কাজ করে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ‘ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার কাজে নিবেদিত কর্মী হিসেবে কাজ করবÑ এ শপথ ব্যক্ত করার দিন এসেছে। ॥ চার ॥ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্জনের ফল, স্বপ্নজয়ের আকাক্সক্ষা আর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি। প্রায় শতকরা ৮৮ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী নিয়ে শুরু করা বাংলাদেশে এখন দারিদ্র্যের হার শতকরা ২১.৪ ভাগ। তাই এদেশ স্বপ্ন দেখছে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে নাম লেখাতে যে চেষ্টা আর উদ্যম ছোট্ট এই ভূখ-ে, তাকে বড় কোন স্বপ্ন নয় বলেই মনে করছেন বিশ্ব অর্থনীতির বিশ্লেষকরা। আমরা এখন অদম্য বাংলাদেশের বাসিন্দা। যে দেশের প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হচ্ছেন, যে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, দীর্ঘতম পদ্মা সেতু যার গৌরবে পরিণত হতে যাচ্ছে, দেশের তৈরি পোশাক বিদেশিদের গায়ে পরিধেয় বস্ত্র হচ্ছে, বিশ্বদরবারের প্রথম কাতারে ব্যবসায়-বাণিজ্য, গবেষণা, ক্রীড়া সব ক্ষেত্রে অগ্রণী হয়ে উঠেছে। ধর্মীয় উগ্রবাদিতা আর পেট্রলবোমার সন্ত্রাস আমাদের মনোবলকে ধ্বংস করতে পারেনি। নেতিবাচক কোন অভিঘাতই অদম্য বাংলাদেশের মেরুদ-কে বাঁকা করতে পারছে না। এখন দরকার সহনশীল রাজনৈতিক পরিবেশ এবং স্বাধীনতার পক্ষের চেতনার সরকার ও বিরোধী দল। ‘আমরা উন্নয়নের যে মহাসড়কে যাত্রা শুরু করে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি, সেখান থেকে আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম সমৃদ্ধি ও প্রগতির পথে সকল বাধা দূর করার দায়িত্ব গ্রহণ করবে।’ (১২-১-২০১৮) বলেছেন দ্বিতীয় মেয়াদেও ৪ বছর পূর্ণ হওয়ার পর। তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর (২০১৮) জাতিসংঘের ভাষণে সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদসহ সকল সংঘবদ্ধ অপরাধের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তাঁর ওই অভিব্যক্তি জনকল্যাণমুখী উন্নয়ন নীতিমালার প্রতি আমাদের সমর্থনকে আরও বেশি বেগবান করেছে। সন্ত্রাসী কর্মকা-কে মোকাবেলা করার শক্তি যুগিয়েছে। উক্ত ভাষণে তিনি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বয়স্ক নারী-পুরুষ, বিধবা বা স্বামী পরিত্যক্তা নারী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ভাতা দেয়ার কথা বিশ্ববাসীকে জানিয়েছেন। অসহায় মানুষকে সহায়তা করা, গৃহহীন মানুষের আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহণ, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে উদ্ভাবনী আর্থ-সামাজিক পদক্ষেপসমূহের কথা বলে আমাদের এগিয়ে চলার চিত্র অঙ্কন করেছেন। নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণের কথাও বলেছেন। জাতীয় সংসদে যেমন ৭২ জন নারী সদস্য তেমনি তৈরি পোশাক শিল্পে ৮০ শতাংশ নারী শ্রমিক, ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাও অনেক। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে সর্বাধিক ঝুঁকির মধ্যে থেকেও এগিয়ে চলেছে। শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ভাষণে বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ শীর্ষক মেগা প্রকল্পের কথা বলেছেন। যা আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সক্ষমতা সৃষ্টিতে গৃহীত পদক্ষেপসমূহকে একীভূত করার দৃষ্টান্ত। ৮২ বছরের এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী তিনটি সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের সময়সীমা অর্থাৎ ২০৩০ সালকে স্বল্পমেয়াদী হিসেবে বিবেচনা করে এর আওতায় প্রাথমিকভাবে ৮০টি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বর্তমান সময়ে জনশক্তি রফতানিতে আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের ১০ লাখেরও বেশি শ্রমিক গেছেন বিভিন্ন দেশে। রেমিটেন্স গতি ফিরে পেয়েছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স এসেছে ১১৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার। আন্তর্জাতিক অনেক স্বীকৃতি আমাদের মনোবলকে চাঙ্গা করে তুলেছে। বাংলাদেশের প্রথম নিবন্ধিত ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে সনদ পেয়েছে জামদানি ও ইলিশ মাছ। ফলে এ দুটি পণ্যের স্বত্ব কেবলই বাংলাদেশের। বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা বিরাজ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে সকল সহায়তা প্রসারিত করা হয়েছে। বিনিয়োগের জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিদেশী বিনিয়োগের ব্যাপক সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এক গবেষণা সংস্থা বলছে, ২০২৫ সাল নাগাদ এই বিনিয়োগ প্রায় ৪৮০ কোটি মার্কিন ডলারের কম হবে না। বাংলাদেশে হার্ডওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতের দ্রুত বৃদ্ধি এ খাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ॥ পাঁচ ॥ পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অসম্ভব প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর পরিশ্রমী উদ্যমী মানুষের চেষ্টায় দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আসীন। তবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আর সুষ্ঠু ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠলে অমিত সম্ভাবনার বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারে উন্নয়ন আর অগ্রগতির অনন্য এক উদাহরণ। গত এক দশকে স্থানীয় পর্যায়ের যত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার অধিকাংশ আসনেই জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। কারণ সেগুলো ছিল বর্তমান সরকারের উন্নয়নের প্রতি জনগণের রায়ের প্রতিফলন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে মূল্যায়ন করেছেন। এই অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মানুষকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অশিক্ষার হাত থেকে মুক্ত করে একটি সুন্দর জীবন নিশ্চিত করার প্রত্যয় নিয়ে স্বাধীনতার সংগ্রাম করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়েও তিনি কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের জন্য উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় নেতৃত্ব দেন। কিন্তু পঁচাত্তরে অগণতান্ত্রিক ও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির উত্থানের ফলে তা ব্যাহত হয় যা দীর্ঘ ২১ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার পুনরুজ্জীবিত হয়। বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং অগ্রসরতার প্রতি জনগণের বিশ্বাস, আস্থা এবং ভালবাসাই আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচনে প্রতিফলিত হবে বলে আমরা মনে করি। জনগণ দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন কর্মকা-ের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলেই আওয়ামী লীগকে বিজয়ী দেখতে চায়। দেশের মানুষ বিগত বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলের সঙ্গে তুলনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে এবং ভবিষ্যত বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। যারা জনগণের উন্নয়নের রাজনীতি করে জনগণ তাদের পাশে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়ে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে এটাই আমাদের বিশ্বাস। লেখক : অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ এবং পরিচালক, জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দফতর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় [email protected]
×