ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মশা নির্মূলে অস্ত্র ‘বন্ধু’ পোকার হরমোন

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

মশা নির্মূলে অস্ত্র ‘বন্ধু’ পোকার হরমোন

রিপেল্যান্ট বা কয়েল নয়। মশককুলকে নির্মূল করতে একদল বিজ্ঞানীর অস্ত্র এবার এমন সব পতঙ্গের হরমোন, যারা মশার সঙ্গে একই ধরনের পরিবেশে থাকে। এই হরমোন শুধু মশাকেই নিশানা করে, ধূপ-রিপেল্যান্ট-কয়েলের মতো মানুষের শরীরের ওপর কোন প্রভাব ফেলে না। যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সির রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের চার গবেষক এ জন্য হাতিয়ার করছেন ‘হেটেরো-ডিসএমিনেশন’ প্রযুক্তিকে। খবর ওয়েবসাইটের এই গবেষকদলে রয়েছেন কলকাতার জুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার গবেষক দেবীশঙ্কর সুমন। বাকি ৩ জন যুক্তরাষ্ট্রের রান্ডি আর গওগলার, বো তাও ও ই ওয়াং। ইতোমধ্যে রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রযুক্তির পেটেন্ট পেতে আবেদন জানিয়েছে। গবেষক দেবীশঙ্কর সুমন জানান, ‘শুধু কীটনাশক স্প্রে করে বা কামান দেগে মশার বংশ ধ্বংস করা যায় না। তাদের কিছু সূতিকাগার চোখ এড়িয়ে থেকেই যায়। যা থেকে প্রতি বছরই নির্দিষ্ট সময়ে তাদের বংশবৃদ্ধি হয়, মশারা দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ে, মানুষ আক্রান্ত হন ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়ায়। আমরা মশার এই লুকানো সূতিকাগারগুলোকেই ধ্বংস করতে চাই। তা নাহলে প্রতি বছর মশার দৌরাত্ম্য বন্ধ করা সম্ভব নয়।’ এই গবেষকদল কাজ করেছে এডিস এ্যালবোপিকটাস (এশিয়ান টাইগার মসকুইটো) প্রজাতির মশার ওপর যা ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া-হলুদ জ্বরসহ নানা রোগের বাহক। সুমনের ব্যাখ্যা, ‘আমরা দেখেছি, নোংরা পানিই হোক বা পরিষ্কার পানি, যেখানে মশা বেড়ে ওঠে সেখানে তাদের সঙ্গে পাওয়া যায় মশার ‘বন্ধু’ পতঙ্গের লার্ভাও। মশা নিধনে সাহায্য নেয়া হবে এই বন্দু-পোকাদেরই যাদের কাইরোনোমিড বলা হয়।’
×