ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দুশানবেতে মৌসুমী-মারিয়াদের মিশন শুরু আজ

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ২৪ অক্টোবর ২০১৮

দুশানবেতে মৌসুমী-মারিয়াদের মিশন শুরু আজ

জাহিদুল আলম জয় ॥ বাংলাদেশের ফুটবলে আশার আলো জ্বালিয়ে রেখেছেন মহিলা ফুটবলাররা। বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ফুটবলে বাংলার মেয়েরা গত কয়েক বছর দুর্দান্ত ধারাবাহিক সাফল্য পাচ্ছে। সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখার মিশনে এবার লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা গেছেন তাজিকিস্তানে। সেখানে এএফসি অনুর্ধ-১৯ নারী চাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বে খেলবেন মৌসুমী-মারিয়ারা। অবশেষে মিশন শুরু হয়ে যাচ্ছে বাংলার সোনার মেয়েদের। বাছাইপর্বে ‘ডি’ গ্রুপে খেলছে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের দল। আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশের মেয়েরা। তাজিকিস্তানের দুশানবের পামির স্টেডিয়ামে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় দুপুরে। গ্রুপের অপর দুই দল চাইনিজ তাইপে ও স্বাগতিক তাজিকিস্তান। শক্তি ও পরিসংখ্যানের বিচারে গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দল দক্ষিণ কোরিয়া। তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়েই মিশন শুরু হচ্ছে বাংলার মেয়েদের। প্রতিপক্ষ কঠিন হলেও তাদের বিরুদ্ধে ভাল কিছু করার স্বপ্ন বুনছে ছোটনের দল। বাংলাদেশ দল আত্মবিশ্বাসী হচ্ছে প্রতিপক্ষের সার্টিফিকেট পেয়ে। স্বয়ং কোরিয়ান কোচ হাট জাং জে বাংলাদেশকে সমীহ করছেন। প্রবল প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ম্যাচ সামনে রেখে গত কয়েকদিন দুশানবেতে কঠোর অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ নারী ফুটবল দল। এএফসি অনুর্ধ-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয়পর্বে সুযোগ পাওয়ায় অনুর্ধ-১৯ দলকে নিয়েও আছে প্রত্যাশা। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের সেটা ভাল করেই জানা। দেশ ছাড়ার আগে চ্যালেঞ্জ জয়ের কথা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই জানিয়ে গেছেন বাংলাদেশ কোচ। মেয়েদের বয়সভিত্তিক ফুটবলে ধারাবাহিক সাফল্য আসছে। আরেকটি সাফল্য প্রত্যাশা করাই যেতে পারে। তবে এবারের লড়াইটা সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। কেননা এবারের প্রতিপক্ষরা অন্য প্রতিপক্ষের চেয়ে তুলনামূলক অনেক শক্তিশালী। কঠিন চ্যালেঞ্জের কথা মাথায় রেখে প্রতিদিনই ঘাম ঝরাচ্ছে মিশরাত জাহান মৌসুমীর দল। সকাল-বিকাল চলেছে অনুশীলন আর জিম সেশন। পরিশ্রমের সঙ্গে সম্প্রতি সাফ অনুর্ধ-১৮ জয়ের আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে চ্যালেঞ্জ জয় করার মিশন মারিয়া, সানজিদাদের। মিশন শুরুর আগে দুশানবেতে অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলনে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, গ্রুপের সবগুলো দলই শক্তিশালী। সবাই নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত। আমাদের প্রস্তুতিও অনেক ভাল। আমরা গত এক বছর ধরে খেলার মধ্যে আছি। এই মাসেই আমরা ভুটানে জিতেছি সাফ অনুর্ধ-১৮ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ। আমাদের মেয়েরা এখন অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। তাদের আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। বাংলাদেশ কোচ আরও বলেন, ধারাবাহিক সাফল্যের কারণে এএফসি অনুর্ধ-১৯ বাছাইপর্বে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলবে মেয়েরা। আমাদের দলে এমন কয়েকজন ফুটবলার আছে যারা ২০১৭ সালে সাফ অনুর্ধ-১৫ ও অনুর্ধ-১৬ চ্যাম্পিয়ন দলে খেলেছে। আমি এএফসি ও তাজিকিস্তান ফুটবল দলকে ধন্যবাদ জানাই এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করায়। আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমীও। অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি প্রস্তুত দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ভাল একটা ম্যাচ খেলতে। সবাই সিরিয়াস প্রথম ম্যাচ নিয়ে। সবাই তাদের সেরাটা দেয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। আশা করছি ভাল কিছুই হবে। কাগজে-কলমে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়া। তবু লাল-সবুজদের সাম্প্রতিক সাফল্যে তাদের সমীহ করছেন দেশটির কোচ হাট জাং জে। সংবাদ সম্মেলনে কোরিয়ান কোচ বলেন, প্রথমে আমি ধন্যবাদ জানাই তাজিকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনকে। আমরা এখানে সব ম্যাচ জিততে এসেছি। তবে বাংলাদেশ ভাল এবং পরিচ্ছন্ন দল। আশা করছি বাংলাদেশের সঙ্গে ম্যাচটি বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। দেশটির অনুর্ধ-১৮ দল সম্পর্কে আমাদের ভাল ধারণা আছে।
×