ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কাজী আসমা আজমেরী

দেশ ভ্রমণে সেঞ্চুরির পথে

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ২ নভেম্বর ২০১৮

দেশ ভ্রমণে সেঞ্চুরির পথে

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাভেলার্সদের মধ্যে অন্যতম এক নাম কাজী আসমা আজমেরী। তিনি একশ’ দেশ ঘুরে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিতে যাচ্ছেন। ভ্রমণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সংস্কৃতি, প্রকৃতি, দেশের মানুষ সম্পর্কে জানান দিচ্ছেন। দেশ ভ্রমণে আর চারটি দেশ ঘুরলেই তিনি সেঞ্চুরি করবেন। তার দুই চোখ ভরে উঠবে ১০০টি দেশ দেখার আলোয়। ইতোমধ্যে ৯৫টি দেশ ভ্রমণ শেষ করে ৯৬তম দেশ আজারবাইজানে অবস্থান করছেন। এর আগে যে দেশগুলো ভ্রমণ করেছেনÑ ২০০৯ সালে ভারত, নেপাল, ভুটান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং। ২০১০ সালে কম্বোডিয়া, লাওস, ভিয়েতনাম, ব্রুনেই, চীন, ম্যাকাউ, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, তুরস্ক, মিসর, মরক্কো, সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২০১১ সালে স্কটল্যান্ড, ওয়েলস, স্পেন, জার্মানি, পর্তুগাল, চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, মিয়ানমার, দক্ষিণ কোরিয়া, উত্তর কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, জাপান। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়া, ফিজি, নিউজিল্যান্ড, কুক দ্বীপ, টঙ্গা। ২০১৩ সালে নিউ ক্যালেডোনিয়া, তাহিতি, সলোমন দ্বীপ, নিউ, কিরিবাটি তাইওয়ান, ভানুয়াতু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৪ সালে মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, এল সালভাডর, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা, পানামা, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, প্যারাগুয়ে, বলিভিয়া, পেরু, ইকুয়েডর। ২০১৫ সালে পোর্টরিকা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, হাইতি, বেলিজ, জ্যামাইকা, বাহামা, আরুবা। ২০১৬ সালে ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, মন্টিনিগ্রো, কোসোভো, আবলানিয়া, ম্যাসেডোনিয়া, বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, মোল্দাভিয়া, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, সুইডেন, ডেনমার্ক, ইতালি, হাঙ্গেরী, সার্বিয়া, নরওয়ে, কুয়েত। ২০১৭ সালে কিউবা, সামোয়া, কাতার। ২০১৮ সালে ফিলিপিন্স, মঙ্গোলিয়া, রাশিয়া, কানাডা, জর্জিয়া, বেলারুশ, আজারবাইজান। কাজী আসমা আজমেরী এখন অবস্থান করছেন আজারবাইজানে। সেখান থেকে তিনি ১০০টি দেশ পূর্ণ করার উদ্দেশ্যে দাগেস্তান, কাজাখস্তান, তুর্কমেনিস্তান এবং উজবেকিস্তানে যাবেন। বাংলাদেশের পাসপোর্ট হওয়ার কারণে তার ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে। তবু বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকার বাহন হিসেবেই ঘুরবেন বিশ্বময়। আসমা খুলনা শহরে বড় হয়েছিলেন। কাজী গোলাম কিবরিয়া ও কাজী সাহিদা আহমেদ দম্পতির এক মাত্র মেয়ে আসমা। আসমা ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে স্কুলে আসা-যাওয়া করতেন। একদিন স্কুল ছুটির পর তার মা নিতে এলেন না। অবশেষে তিনি একাই সাহস করে বাসার উদ্দেশে হাঁটা শুরু করেন। হাঁটছেন আর তাকিয়ে দেখছেন আকাশটাকে। আকাশ দেখে তার মনে হলো, সে আকাশের শেষ সীমানা দেখবে। কিন্তু আকাশের শেষ সীমানা আর দেখা পায় না। সেদিন তিনি বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হেঁটেছিলেন। পরে এলাকাবাসী তাকে ধরে নিয়ে বাসায় পৌঁছে দেন।
×