অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মালয়েশিয়ার বিনিয়োগ চায় ব্যবসায়ী-শিল্পোদ্যোক্তাদের সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা উদ্যোক্তারা বলছেন, যৌথ বাণিজ্য বিনিয়োগ বাড়াতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বা এফটিএ করা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খানের সাথে বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নূর আশিকিন বিনতে মোহাম্মদ সাক্ষাত করেন। ওই সময় দু’দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সাক্ষাকার কালে বাংলাদেশস্থ মালয়েশিয়ার হাইকমিশানর বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বেশ উল্লেখজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য বিদ্যমান অবকাঠমোখাতের সংষ্কার ও উন্নয়ন আরোও তরান্বিত করা প্রয়োজন। বাণিজ্য ঘাটতি বাংলাদেশের অনুকূলে নয়। এই বাণিজ্য ঘাটতি দূর করতে হলে মালয়েশিয়ায় রফতানি বাড়ানো প্রয়োজন।
তিনি বলেন, অতিসম্প্রতি বিশ্বব্যাংক প্রদত্ত ‘ডুয়িং বিজনেস রিপোর্ট’ অনুযায়ী মালয়েশিয়া ব্যবসা পরিচালনার সূচকে ২০তম স্থান হতে ১৫তম স্থানে উঠে এসেছে। বৈদেশিক বিনিয়োগের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ের বিনিয়োগ আকর্ষনের জন্য বাংলাদেশকে ব্যবসা পরিচালনা সূচকে আরও উন্নতির সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর প্রতি কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। হাইকমিশনার আরও জানান, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়ার হালাল পণ্যের বাজার সবচাইতে বৃহৎ এবং এক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার বাজারে হালাল পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও তিনি আশিয়ান অঞ্চলের দেশসমূহে বাংলাদেশী পণ্য রফতানি ও বিনিয়োগের জন্য এদেশের ব্যবসায়ীদের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য প্রবেশ দ্বার হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। এজন্য তিনি বাংলাদেশ কে ‘আশিয়ান’ এ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তির জন্য মালয়েশিয়া সরকারের সহায়তা কামনা করেন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার বাজারে হালাল পণ্য রফতানির বিষয়টি বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনার বিষয়। বাংলাদেশে বেসরকারী খাতে হালাল পণ্য রফতানির সাটিফিকেট প্রদান প্রক্রিয়া চালু করতে এদেশের বেসরকারীখাতের উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি আহবান জানান।
তিনি দুদেশের মধ্যকার বিনিয়োগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য আরোও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে অতি দ্রুত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এফটিএ স্বাক্ষরের উপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশে অবকাঠামো, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, পর্যটন এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য প্রভৃতি খাতে আরও বেশি হারে বিনিয়োগের জন্য মালয়েশিয়ার উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।