ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আওয়ামী লীগ প্রত্যাখ্যান করেছে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব

প্রকাশিত: ২২:২৭, ৭ নভেম্বর ২০১৮

আওয়ামী লীগ প্রত্যাখ্যান করেছে ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব

অনলাইন রিপোর্টার ॥ আজ বুধবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “এটা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার একটা বাহানা। এই পিছিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে ফাঁক ফোকর হয়ত খুলে দেওয়া হচ্ছে। যেখান দিয়ে তৃতীয় কোনো অপশক্তি এসে ওয়ান ইলেভেনের মত সেই অনভিপ্রেত অস্বাভাবিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে ‘ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা নির্বাচন পিছিয়ে সরকারের মেয়াদপূর্তির পরের ৯০ দিনে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার আদলে ভোট করার দাবি তুললে ওবায়দুল কাদেরের এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, সংসদ যেদিন বসেছে সেদিন থেকে হিসেব করে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু তারা সংলাপে প্রস্তাব দিয়েছেন নির্বাচন সংসদের মেয়াদ শেষে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে করার। কিন্তু এটা সংবিধানের বাইরে। তাই আমরা এতে সম্মত হইনি। আর একজন প্রধান উপদেষ্টাসহ ১০ জন উপদেষ্টা রেখে নির্বাচন করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তাদের অনুরোধ করেছেন, আপনারা নির্বাচনে আসুন, আমরা দেখিয়ে দেবো এই সরকারের অধীনেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। এরপর যদি আপনারা জিতেন আপনারা ক্ষমতায় আসবেন, আর আমরা জিতলে আমরা আসবো। তবে তাদের সাত দফায় থাকা বেশ কিছু দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাদের নিশ্চয়তা দিয়েছেন তফসিল ঘোষণার পর প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা হবে না, দলীয় পতাকা থাকবে। কোনও ধরনের সরকারি ফ্যাসিলিটি (সুবিধা) আমরা এনজয় করবো না। তখন সব কিছু থাকবে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে। নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়ার আহ্বান মেনে নেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেছেন, এটা এখন কোথাও থাকে না। তবে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন থাকবে। তারা নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজন অনুযায়ী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।
×