ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাতীয় ক্রিকেট লীগে শিরোপা উৎসবের অপেক্ষায় রাজশাহী

প্রকাশিত: ০৭:০০, ৮ নভেম্বর ২০১৮

জাতীয় ক্রিকেট লীগে শিরোপা উৎসবের অপেক্ষায় রাজশাহী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতীয় ক্রিকেট লীগের (এনসিএল) ২০তম আসরের শেষদিন আজ। এইদিনেই শিরোপা উৎসব করবে রাজশাহী বিভাগ। যদি কোন অঘটন না ঘটে তাহলে বরিশালের বিপক্ষে জিততে আর যে ১০২ রান লাগে, হাতে থাকা ৮ উইকেটে তা করা সম্ভব রাজশাহীর। তা করে ফেললেই শিরোপা উৎসব হবে। প্রথম স্তরে রাজশাহী যেখানে শিরোপা উৎসবের অপেক্ষায় আছে, দ্বিতীয় স্তরে ঢাকা বিভাগ প্রথম স্তরে উত্তীর্ণ হওয়ার আনন্দ করার অপেক্ষায় আছে। প্রথম স্তর ॥ রাজশাহীতে স্বাগতিক রাজশাহী দাপটের সঙ্গেই খেলছে। বরিশাল প্রথম ইনিংসে ৯৭ রানেই গুটিয়ে যায়। এরপর রাজশাহী প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে ১৬০ রানে অলআউট হয়। তারপরও প্রথম ইনিংসে ৬৩ রানে এগিয়ে থাকে রাজশাহী। দ্বিতীয় ইনিংসে বরিশাল অবশ্য রাজশাহীর ওপর চাপ তৈরি করে। ৩৪৬ রান করে ফেলে। তাতে করে রাজশাহীর সামনে জিততে ২৮৪ রানের টার্গেট দাঁড় হয়। তৃতীয়দিন শেষ হওয়ার আগে ২ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রান করে রাজশাহী। জুনায়েদ সিদ্দিকী ৬৫ ও জহুরুল ইসলাম ২৫ রানে অপরাজিত আছেন। এর আগে ৬ উইকেট হারিয়ে বরিশাল ২৪৬ রান করতেই দ্বিতীয়দিন শেষ হয়েছিল। শামসুল ইসলাম ৪ ও তানভির ইসলাম ৫ রান নিয়ে তৃতীয়দিনের খেলা শুরু করেন। হাতে থাকা ৪ উইকেটে আরও ১০০ রান যোগ করে বরিশাল। শামসুল ৫৬ ও তানভির ৩২ রান করেন। আজ চতুর্থদিনে রাজশাহীর জিততে দরকার ১০২ রান। বরিশালের জিততে হলে রাজশাহীর হাতে থাকা ৮ উইকেট তুলে নিতে হবে। রাজশাহীর শিরোপা ছিনিয়ে নেয়ার আশায় আছে রংপুর। কিন্তু দলটি বগুড়ায় খুলনার বিপক্ষে জিততে পারবে কিনা, সেই শঙ্কা ভালভাবেই আছে। এখনও যে খুলনার দ্বিতীয় ইনিংসই শেষ হয়নি। ২০৪ রানে আবার পিছিয়েও আছে। প্রথম ইনিংসে খুলনা ২৬১ রান করে। জবাবে রংপুর ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৯ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। পয়েন্ট পাওয়ার তাগিদে ইনিংস ঘোষণা করে দেয়। যদি খুলনাকে দ্বিতীয় ইনিংসে দ্রুতই অলআউট করে দিতে পারত তাহলে ম্যাচ জিতে শিরোপার আশায় থাকত। কিন্তু খুলনা দ্বিতীয় ইনিংসে এতটাই দুর্দান্ত খেলা উপহার দিয়েছে, রংপুরের হতাশাই যুক্ত হচ্ছে। খুলনা দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয়দিন পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান করেছে। সৌম্য সরকারের ৮৩ ও নুরুল হাসান সোহানের ৫২ রানেই তা সম্ভব হয়েছে। আজ চতুর্থ ও ম্যাচের শেষদিনে জিয়াউর রহমান (১৭*) ও মইনুল ইসলাম (৬*) ব্যাট হাতে নামবেন। এর আগে রংপুর দ্বিতীয়দিন শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান করেছিল। তৃতীয়দিনে আরও ১২৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। ধীমান ঘোষ অপরাজিত ৫০ রান করেন। আব্দুর রাজ্জাক ৪ উইকেট নেন। রংপুরকে এ ম্যাচে জিততে হলে আজ যত দ্রুত সম্ভব খুলনাকে অলআউট করতে হবে। এরপর টার্গেট অতিক্রম করতে হবে। দ্বিতীয় স্তর ॥ কক্সবাজারে ঢাকা বিভাগও সিলেটকে চেপে ধরেছে। দ্বিতীয় স্তর থেকে প্রথম স্তরে উন্নীত হওয়ার সুযোগ ভালভাবেই কাজে লাগাচ্ছে ঢাকা। সিলেট এখনও ৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে। সিলেট প্রথম ইনিংসে ২৩৮ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান করতেই তৃতীয়দিন শেষ হয়। প্রথম ইনিংসে ঢাকা বিভাগ ৩৪৬ রানের বিশাল স্কোর গড়ায় সিলেট এখনও পিছিয়েই আছে। সিলেটের হাতে থাকা ৬ উইকেট দ্রুতই তুলে নেয়া গেলে ঢাকা বিভাগ ম্যাচটি থেকে জয়ও বের করতে পারে। দ্বিতীয়দিন ঢাকা ৪ উইকেট হারিয়ে ২৩৬ রান করেছিল। আব্দুল মজিদ ১০৪ রানে ও নাদিফ চৌধুরী ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। তৃতীয়দিন মজিদ আর এগিয়ে যেতে পারেননি। নাদিফ ২৮ রানেই আউট হয়ে যান। তবে মোশাররফ হোসেন রুবেল ৫০ রান করলে দ্বিতীয়দিনের সঙ্গে আরও ১১০ রান যোগ করে ঢাকা। সিলেটের এনামুল হক জুনিয়র ৫ উইকেট শিকার করেন। এরপর ব্যাট করতে নামে সিলেট। আজ চতুর্থদিনে ৪০ রান করা রাজিন সালেহ ও ২ রান করা এনামুল হক জুনিয়র ব্যাট হাতে নামবেন। রাজিন ঘরোয়া ক্রিকেটে জীবনের সর্বশেষ ইনিংসটি খেলছেন। এ স্তরে ঢাকা মেট্রো প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রান করে। জবাবে চট্টগ্রামও ৩৪৫ রান করে। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ঢাকা মেট্রো তৃতীয়দিন শেষ হওয়ার আগে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৬ রান করে। ৭৯ রানে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা মেট্রো। তবে চট্টগ্রাম বোলাররা যদি ঢাকা মেট্রোকে দ্রুতই গুটিয়ে দেয় তাহলে চট্টগ্রামের জেতার সম্ভাবনা আছে। আবার চট্টগ্রামকেও টার্গেট দিয়ে হারিয়ে দেয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সেই সুযোগ কী ঢাকা মেট্রো পাবে? দ্বিতীয়দিন ৩ উইকেটে ১৯৬ রান করেছিল চট্টগ্রাম। সাদিকুর রহমান ১০০ রানে ব্যাট করছিলেন। তৃতীয়দিনে সাদিকুর আর ১ রান করেন। দ্বিতীয়দিন ১ রানে থাকা ইয়াসির আলী ৬৪ রান করেন।শেষদিকে নাঈম হাসান অপরাজিত ৪৩ রান করেন। তাতেই চট্টগ্রামের স্কোর ৩৪৫ রানে গিয়ে দাঁড়ায়। এরপর ঢাকা মেট্রো ব্যাট করতে নামে। আজ চতুর্থ ও শেষদিনে ৩৭ রান করা শামসুর রহমান ৭ রান করা মোহাম্মদ আশরাফুলকে নিয়ে ব্যাট হাতে নামবেন।
×