ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এমবাপ্পের বাবাই রিয়ালে পাঠাতে চাননি ॥ ডের স্পিগেল

প্রকাশিত: ১৯:২৯, ৮ নভেম্বর ২০১৮

এমবাপ্পের বাবাই  রিয়ালে পাঠাতে চাননি ॥ ডের স্পিগেল

অনলাইন ডেস্ক ॥ ফরাসি ফুটবল তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের দলবদল নিয়ে বেরিয়ে এল চমকপ্রদ তথ্য। আর তা হল স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদেই যোগ দেয়ার কথা ছিল এমবাপ্পের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৮০ মিলিয়ন ইউরোতে মোনাকো থেকে ধারে পিএসজিতে পাড়ি জমান তিনি। কিন্তু ঠিক কী কারণে রিয়ালে যাননি এমবাপ্পে, ফরাসি জনপ্রিয় ক্রীড়া পত্রিকা ডের স্পিগেলের প্রকাশ করা ফুটবল লিকসের নতুন তথ্যে তা উঠে এসেছে। পিএসজির হয়ে প্রথম বছর ধারে খেললেও, এবার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ফুটবল লিকসের নতুন নথি জানাচ্ছে, চুক্তিটা প্রথমে হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গেই। এমবাপ্পেকে কিনতে রিয়াল প্রস্তুত ছিল ২১৪ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে! দলবদলের চুক্তিটা হত ১৮০ মিলিয়ন ইউরোতেই, তবে করের জন্য আরও ৩৪ মিলিয়ন ইউরোও রিয়াল মাদ্রিদই পরিশোধ করতে সম্মতি জানিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে এমবাপ্পের রিয়ালে যাওয়া আটকে যায় তার নিজের ইচ্ছাতেই। ডের স্পিগেল বলছে, এমবাপ্পের বাবাই ছেলেকে রিয়ালে পাঠাতে চাননি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজেমা, গ্যারেথ বেলদের মাঝে নিয়মিত দলে জায়গা না পাওয়ার সংশয় থেকেই এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন তার বাবা। গত বছর আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে পিএসজির কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন এমবাপ্পে ও তাঁর বাবা।রিয়ালকে বাদ দিয়ে পিএসজিতে যোগ দেওয়ার জন্য তখন তাদের কাছ থেকে ৫৫ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি করতে আগ্রহী ছিলেন তারা। যদিও পিএসজি তাতে সবুজ সংকেত দেয়নি, আবার পুরোপুরি খালি হাতেও ফেরায়নি তখনকার ১৯ বছর বয়সী ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ডকে। পিএসজির সঙ্গে চুক্তি করে শেষ পর্যন্ত ৫ মিলিয়ন ইউরো নিজের পকেটে পোরেন এমবাপ্পে। ২০১৬ সালে এমবাপ্পের সঙ্গে চুক্তির এক মৌসুম পরই তিনি তখনকার বেতনের ষোল গুণ বেশি বেতন দাবি করতে থাকেন। টাকার অংকটা সর্বোচ্চ বেতনভোগী র‍্যাদামেল ফ্যালকাওয়ের বেতনের সমান। তখনই এমবাপ্পের ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জনের শুরু। রিয়াল মাদ্রিদ সবার আগে আগ্রহ দেখালেও নিজের নিজ শহর পিএসজিকেই বেছে নেন এমবাপ্পে। শেষদিকে এসে এজেন্ট হোর্হে মেন্ডেজও এমবাপ্পের দরদাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করেন। শেষ পর্যন্ত তিনিও ৭.৮ মিলিয়ন ইউরো পকেটে পোরেন এমবাপ্পে পিএসজিতে যাওয়ার পর। পিএসজির সঙ্গে এমবাপ্পের চুক্তির সঙ্গে আরও কতোগুলো লেজুড় যুক্ত হয়েছিল। ডের স্পিগেলের দাবি অনুযায়ী, এমবাপ্পের পরিবার পিএসজির কাছ থেকে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা দাবি করেছিল। এর মধ্যে বছরে ৫০ ঘন্টার জন্য একটি জেটপ্লেন ব্যবহার করার কথাও ছিল। পিএসজির অনুশীলনের সময়ও হাজির থাকতে চেয়েছিলেন তার বাবা। আর ব্যালন ডি' অর জিতলে বেতন ৩০ মিলিয়ন করার দাবিও করেছিলেন এমবাপ্পে- এগুলোর কোনোটাই অবশ্য ক্লাব মেনে নেয়নি। তবে এমবাপ্পে ব্যালন ডি'অর জিতলে বেতনের সঙ্গে যুক্ত ৫০০,০০০ ইউরো দিতে সম্মতি জানিয়েছে পিএসজি। আর জেটপ্লেন ব্যবহার করতে না দিলেও পিএসজির কাছ থেকে বডি গার্ড, কেয়ারটেকার, বাবুর্চি বাবদ ৩০ হাজার ইউরো পান এমবাপ্পে। কোনো কারণে পিএসজি চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়লেও ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাকা পাবেন এমবাপ্পে, সেই অর্থের পরিমাণ অবশ্য জানা যায়নি। তবে সবগুলো তথ্য সত্যি হলে, এই বয়সেই ফ্রান্সের গোল্ডেন বয়, নিজেকে গোল্ডেন ব্যবসায়ীও দাবি করে বসতে পারেন!
×