ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শুটিং নয় বাস্তবে ফ্লাইওভার দিয়ে ছুটছে জ্বলন্ত গাড়ি

প্রকাশিত: ২১:০১, ৯ নভেম্বর ২০১৮

শুটিং নয় বাস্তবে ফ্লাইওভার দিয়ে ছুটছে জ্বলন্ত গাড়ি

অনলাইন ডেস্ক ॥ বলিউড ছবি ‘দ্য বার্নিং ট্রেন’-এর কথা নিশ্চয়ই মনে আছে! মঙ্গলবারের সন্ধ্যায় সে রকমই একটি দৃশ্যের সাক্ষী থাকল গুরুগ্রাম। তবে এটা কোনও সিমেনার শুটিং ছিল না, কোনও স্টান্টবাজিও নয়। গোটাটাই বাস্তব। গুরুগ্রামের একটি ফ্লাইওভার দিয়ে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকা একটি গাড়ি ছুটছে। তার পিছন পিছন একটা লোক দৌড়চ্ছে। পথচলতি মানুষও এমন এক কাণ্ড দেখে হতবাক। সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে সেই দৃশ্য। সেই ভিডিয়ো এখন রীতিমতো ভাইরাল। ঘটনাটা ঠিক কী? বছর চুয়াল্লিশের রাকেশ চান্দেল ওই গাড়িটা চালাচ্ছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যায় দিওয়ালির উপহার দিতে গাড়ি নিয়ে সেক্টর ২৫-এ গিয়েছিলেন। উপহার দিয়ে ফেরার পথেই তাঁর গাড়িতে আগুন ধরে যায়। রাকেশ পুলিশকে জানিয়েছেন, উপহার দিয়ে ফেরার পথে হঠাত্ই একটা আওয়াজ পান গাড়িতে। কোনও সমস্যা হল কি না দেখার জন্য গাড়ি থামিয়ে সেটা পরীক্ষা করেন। না, কোনও কিছু সমস্যা তিনি খুঁজে পাননি সে সময়। কিছুটা পথ এগোতেই আবার একটা আওয়াজ হয় গাড়িতে। এ বারও গাড়ি থেকে নেমে বনেট খু্লে দেখেন সেখানে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। কিন্তু এ বারও আওয়াজের উত্স রাকেশ খুঁজে পাননি। রাকেশ বলেন, “রাজীব চক ফ্লাইওভারে ওঠার পর জোর একটা আওয়াজ হয়, তার পরই গাড়িতে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তে সেই আগুন গোটা গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে।” রাকেশ ব্রেক কষে গাড়ি থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। হ্যান্ডব্রেকও বিকল হয়ে যায়। বলেন, “প্রাণ বাঁচাতে জ্বলন্ত গাড়ি থেকে লাফ মারি।” তত ক্ষণে গাড়ি ফ্লাইওভার দিয়ে ছুটতে ছুটতে অনেকটাই এগিয়ে যায়। নিজেকে সামলে নিয়ে রাকেশ গাড়ির পিছনে চিত্কার করতে করতে ছুটতে থাকেন। পথচলতি মানুষের কাছে সাহায্য চাইতে থাকেন গাড়িটিকে থামানোর জন্য। পুলিশেও বিষয়টি জানিয়ে ফোন করেন রাকেশ। পুলিশের একটি টহলদারি ভ্যান এসে গাড়িটিকে থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সে চেষ্টা বিফলে যায়। ফ্লাইওভার দিয়ে বেশ খানিকটা ছুটে গিয়ে জ্বলন্ত গাড়িটা উল্টো দিক থেকে আসা একটি অটোকে ধাক্কা মেরে থেমে যায়। তত ক্ষণে গাড়িটি কঙ্কালসার হয়ে গিয়েছিল। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি ঠিকই, কিন্তু গোটা ঘটনায় একটা রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×