ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ যুগ

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ১১ নভেম্বর ২০১৮

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ যুগ

একযুগ অতিক্রম করল সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)। গত ২ নবেম্বর ছিল সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। কৃষি নিয়ে সম্ভাবনার যে বড় বড় স¦প্নগুলো তৈরি হয়েছিল ১২ বছর পর তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের সামগ্রিক কৃষি ব্যবস্থাকে উন্নত করতে সিকৃবি প্রতিষ্ঠিত হয়। সিলেটের লালচে মাটির গুণগতমান দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে ভিন্নতর। আবার বৃহত্তর সিলেটে রয়েছে হাজার হাজার একর অনাবাদি উঁচু-নিচু পাহাড়ি অসমতল ভূমি। আছে হাওড় নামের বিস্তীর্ণ জলাশয়। অপার সম্ভাবনাময় এসব প্রাকৃতিক সম্পদসমূহকে গবেষণার মাধ্যমে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার জন্য ২০০৬ সালে ২ নবেম্বর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ক্যাম্পাসটি। ৬টি অনুষদ ও ৪৭টি বিভাগের মাধ্যমে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। সিলেট সরকারী ভেটেরিনারি কলেজ থেকে মাত্র ৫০ একর জায়গা নিয়ে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। একযুগ পর টিলাঘেরা এই সবুজ মৃত্তিকার উপরই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সিকৃবি। এখন পর্যন্ত সিকৃবির কৃষি অনুষদ এবং মাৎস্য বিজ্ঞান অনুষদ থেকে গ্র্যাজুয়েট হিসেবে ৭টি করে ১৪টি ব্যাচ বের হয়েছে। এদিকে ভেটেরিনারি, এনিম্যাল অ্যান্ড বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সস অনুষদ থেকে ইতোমধ্যে ১৯টি ব্যাচ বেরিয়ে গেছে। সম্প্রতি কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ থেকে বেরোলো ৫টি ব্যাচ এবং কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদ থেকে আরও ৩টি ব্যাচ। সম্প্রতি সিকৃবির প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবর্তনে ১ হাজার ৭৩৩ জনকে স্নাতক, ৫১৫ জনকে মাস্টার্স সনদ ও ১ জনকে পিএইচডি ডিগ্রী প্রদান করা হয়েছে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিঃক্যাম্পাস হিসেবে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ফেঞ্চুগঞ্জ-তামাবিল বাইপাস সড়ক সংলগ্ন খাদিম নগর এলাকায় ১২.৩ একর জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়েছে। মাত্র ৫০ একর জমি নিয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যাত্রা করেছিল যার বেশির ভাগ টিলা ও জঙ্গলবেষ্টিত। নতুন জায়গাটি প্রাপ্তির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ছোটবড় টিলা পরিবেষ্টিত ৫০ একর আয়তনের মনোরম সিকৃবি ক্যাম্পাস। সবুজে ঘেরা, ছোট ছোট টিলা ক্যাম্পাসের পরিবেশকে আরও মোহনীয় করে তুলেছে। আয়তনে ছোট হলেও এর রূপ-সৌন্দর্য আমাদের হৃদয়ে আলাদা একটা টান ও ভালবাসা জন্মায়। সিকৃবির শিক্ষার্থীরা এখানকার বিভিন্ন সংগঠনে যোগ দিয়ে নিজেদের আত্মবিশ্বাস আরও বাড়িয়েছে। বিশেষ করে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো মননশীল চিন্তা করতে সাহায্য করছে। খসরু মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন
×