ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইডেনের ছাত্রী সাদিয়া হত্যা মামলায় ৮ আসামি খালাস

প্রকাশিত: ০২:৫৭, ১৩ নভেম্বর ২০১৮

ইডেনের ছাত্রী সাদিয়া হত্যা মামলায় ৮ আসামি খালাস

অনলাইন রিপোর্টার ॥ ইডেন কলেজের ছাত্রী সাদিয়া নূর মিতা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত আট আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ফজলুল হক খান ফরিদ। তাঁদের সহযোগিতা করেন আইনজীবী সাইফুর রহমান রাহি। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম আজাদ খান। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ মামলায় কোনো চাক্ষুষ সাক্ষী না থাকায় এবং একমাত্র স্বীকারোক্তিকারী আসামি শ্রাবণীর সাক্ষ্য আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় উচ্চ আদালত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন।’ তবে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানান রাষ্ট্রের এ আইন কর্মকর্তা। ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এই মামলায় আসামি নিপুন, মামুন ও ডগু খন্দকারকে মৃত্যুদণ্ড, তুষার কাজী, জনি, শ্রাবণী ও শেখ নাজমুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং মনিকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা। ২০১০ সালের ৩০ আগস্ট গোপালগঞ্জের নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রী সাদিয়া নূর মিতা। পরে মিতার মরদেহ বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মিতার বাবা লিয়াকত হোসেন মোল্লা গোপালগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মিতা যে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল সেখানে তাঁর সঙ্গে একই বিছানায় তাঁর আপন ছোট বোন অন্তরা এবং তাঁর চাচাতো বোন শ্রাবণী ঘুমিয়ে ছিল। তবে এজাহারে মিতাকে ঘর থেকে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কাউকে সন্দেহ করার কথা উল্লেখ করা হয়নি। পরবর্তীতে শ্রাবণী এবং শ্রাবণীর ভাই মনি, জনিসহ আরো কয়েকজনকে আসামি করে পুলিশ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এরপর শ্রাবণীকে বেশ কয়েকবার রিমান্ডে নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করা হয় বলে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা দাবি করেন।
×