ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁওয়ে অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেন নির্মাণ

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১৩ নভেম্বর ২০১৮

ঠাকুরগাঁওয়ে অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেন নির্মাণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ শহরের কেন্দ্রস্থলে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ করছেন সড়ক বিভাগ আর তার খেসারত দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় ঘটলেও তা নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই বলেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। শহরের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত চৌরাস্তায় সম্প্রসারিত রাস্তার উত্তর পাশে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। পুরাতন ড্রেনে কেন্দ্রীয় মসজিদের ওজুখানা ও প্রশ্রাবখানার থেকে পানি ও প্রসাব ওই ড্রেনে এসে পড়তো। এছাড়াও উক্ত ড্রেনে রাস্তার দক্ষিণ পাশের পাঁচটি হোটেলের ময়লা পানিও ওই ড্রেনে ফেলা হতো। তখন বৃষ্টি হলে ড্রেন ভর্তি হয়ে রাস্তায় নোংরা পানি উপচে উঠতো। এসব কারণে রাস্তার পাশে একটি প্রসস্থ এবং গভীর ড্রেন জরুরি ছিল। বিষয়টি বিবেচনায় এনে কর্তৃপক্ষ ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু করলেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে উক্ত সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। দেখা গেছে ড্রেনের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করেই চৌরাস্তার দিক থেকে কাজ শুরু করায় যে অংশের কাজ শেষ হয়েছে সে অংশে মসজিদের ওজু ও প্রশ্রাবখানার নোংরা পানি সরাসরি আংশিক প্রস্তুত হওয়া ড্রেনেই ফেলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোটেলের ময়লা পানিও রাস্তার ফেলা হচ্ছে। ফলে পুরো চৌরাস্তাতেই দুর্গন্ধে ছেয়ে যাচ্ছে। অথচ নিষ্কাশন ব্যবস্থা ঠিক রেখে পাশ থেকে যদি কাজ শুরু করা হতো তাহলে এ সমস্যার উদ্ভব হতোনা বলে মনে করেন অনেকে। উক্ত ড্রেনের পাশে নিজের অফিসে বসেন শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান চুন্নু। তিনি জানান, নিজের টাকা খরচ করে ড্রেনের পাশের জায়গা মাটি ভরাট করেছি। নির্মিত ড্রেনে কিউরিং করা হচ্ছেনা দেখে নিজের অফিসের সামনের অংশ নিজের লোক দিয়ে কিউরিং করিয়েছি। আর এখন সেই ড্রেনের পাশে দুর্গন্ধে বসতে পারছিনা। উক্ত ড্রেনের পাশের অনেক ব্যবসায়ীও একই মতামত ব্যক্ত করেন। তারা জানান, যতদিন পানি অপসারণ অংশ তৈরি না করা হবে ততদিনই আমাদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হবে। তারা অবিলম্বে উক্ত ড্রেনের অপসারণ অংশ তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
×