অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এ্যাক্রিডিটেশন সনদ প্রদানের ক্ষেত্র সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ এ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড (বিএবি)। এর অংশ হিসেবে বাংলাদেশে স্থাপিত দেশীয় ও বহুজাতিক মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি এবং মান পরিদর্শন সংস্থার (ইন্সপেকশন বডি) অনুকূলে এ্যাক্রিডিটেশন সনদ প্রদানে সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা চলছে। বিএবি বর্তমানে টেস্টিং ও ক্যালিব্রেশনের ক্ষেত্রে যে সনদ প্রদান করছে, তাও বলবৎ রাখা হবে।
বাংলাদেশ সফররত এশিয়া-প্যাসিফিক ল্যাবরেটরি এ্যাক্রিডিটেশন কো-অপারেশনের (এ্যাপলাক) দুই সদস্যের মূল্যায়ন প্রতিনিধিদলকে এ উদ্যোগের কথা জানান ভারপ্রাপ্ত শিল্পসচিব আবদুল হালিম। সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ে আবদুল হালিমের সঙ্গে এ্যাপলাকের প্রতিনিধি দল দেখা করে। এ সময় বিএবি’র মহাপরিচালক মনোয়ারুল ইসলাম, প্রতিনিধি দলের প্রধান ও স্ট্যান্ডার্ডস মালয়েশিয়ার এ্যাক্রিডিটেশন বিষয়ক পরিচালক শাহরুল সাদরী বিন আলভী, ইন্টারন্যাশনাল এ্যাক্রিডিশেন নিউজিল্যান্ডের ব্যবস্থাপক জেফরি ডেভিড হালামসহ বিএবি’র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিল্পসচিব আবদুল হালিম প্রতিনিধি দলকে জানান, বাংলাদেশে বিশ্বমানের অবকাঠামো গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। বিএবি’র প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে শিল্প মন্ত্রণালয় সম্ভব সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বিএবি ইতোমধ্যে এ্যাপলাক এবং আইলাকের গাইডলাইন অনুসরণ করে দেশব্যাপী এ্যাক্রিডিটেশন বিষয়ক কর্মকা- জোরদার করেছে। তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিএবি’র আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য এ্যাক্রিডিটেশন সনদ প্রদানের সক্ষমতা অর্জনে এ্যাপলাকের সহায়তা কামনা করেন।
এর আগে এ্যাপলাক মূল্যায়ন প্রতিনিধিদল বিএবি’র কার্যালয় পরিদর্শন করে। এ সময় তারা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে বিএবি’র পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলকে সংস্থার সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়। মহাপরিচালক বিএবি’র প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর অবস্থান সুদৃঢ় করতে প্রতিনিধি দলের সহায়তা কামনা করেন। উল্লেখ্য, দেশে বিদ্যমান ল্যাবরেটরি, সনদ প্রদানকারী ও পরিদর্শন সংস্থাসহ ওজন, পরিমাণ ও গুণগতমানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য এ্যাক্রিডিটেশন সনদ প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ এ্যাক্রিডিটেশন আইন, ২০০৬ অনুসারে বিএবি গঠিত হয়।
