ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সার সংরক্ষণে আরও ৩৪টি গুদাম

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ১৪ নভেম্বর ২০১৮

সার সংরক্ষণে আরও ৩৪টি গুদাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সর্বোচ্চ চাহিদার মৌসুমে ইউরিয়া সারের সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং সংরক্ষণের জন্য আরও ৩৪টি আপদকালীন গুদাম নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম এই ৬ বিভাগের ৩৪টি জেলায় গুদামগুলো নির্মাণ করা হবে। গুদামগুলো নির্মিত হলে আপদকালীন সময়ের জন্য আরও ৮ লাখ মেট্রিক টন সার মজুদ নিশ্চিত হবে। একইসঙ্গে দেশে কৃষি উৎপাদন বাড়ানোসহ দ্রুত সময়ে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার সরবরাহ নিশ্চিত করা সহজ হবে। শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া সারের বাৎসরিক চাহিদা ২৫ লাখ টন এবং আপদকালে সার মজুদ রাখতে হয় ৮ লাখ মেট্রিক টন। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) এর মাধ্যমে এই ৩৩ লাখ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার সরবরাহ ও মজুদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে ২৫টি গুদামে সার সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যার ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৩.৭ লাখ মেট্রিক টন। বিসিআইসি সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ২৪টি আপদকালীন গুদামে সার সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া বিসিআইসি’র নিজস্ব ৬টি ইউরিয়া সার কারখানায় প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন সার উৎপাদিত হচ্ছে। বাকি ১৫ লাখ টন সার বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এ হিসাবে বছরে ২৫টি গুদাম ও ৬টি কারখানা থেকে মোট ২৩-২৪ লাখ টন ইউরিয়া সার কৃষকদের মাঝে সরবরাহ করা হয়। সূত্র জানায়, প্রায় ৮ লাখ টন ইউরিয়া সার সবসময় মজুদের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সার কারখানা ও গুদামে পর্যাপ্ত স্থানের অভাবে খোলা জায়গায় সার রাখতে হয়।
×