ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মঙ্গল জয়ের আশা নাসার

প্রকাশিত: ১৮:৩০, ১৪ নভেম্বর ২০১৮

মঙ্গল জয়ের আশা নাসার

অনলাইন ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা মনে করে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে তারা মঙ্গলে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হবে। তবে এর আগে প্রযুক্তিগত ও স্বাস্থ্যজনিত সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে হবে নাসাকে। কারণ, মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠাতে হলে যে পরিমাণ প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধন ও সেখানে থাকাকালীন মানুষের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত সমস্যা মোকাবেলা করতে যে পরিমাণ দক্ষতায় এখনও পোঁছাতে পারেনি মহাকাশ সংস্থাটি। মঙ্গলবার নাসার শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে লাল বর্ণের এই গ্রহে মানুষ পাঠানোর আগে মহাকাশ থেকে নির্গত মারাত্মক রেডিয়েশন, দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ও হাড়ের গঠনে কার্যকারিতা কমিয়ে যাওয়া প্রতিরোধে বিজ্ঞানীদের সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। নাসার সাবেক নভোচারী টম জোনস। ২০০১ সালে অবসর নেয়ার আগে তিনি চারবার মহাকাশে পাড়ি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এসব সমস্যা কাটিয়ে ওঠার প্রধান অন্তরায় হলো বাজেটের ঘাটতি। এ সমস্যা সমাধান করতে আরও ২৫ বছর লেগে যাবে।’ মঙ্গলে মানুষের পদচিহ্ন অঙ্কনের প্রধান বাধা হলো পৃধিবী থেকে এর বিশাল দূরত্ব। কোনো মহাকাশ যান মঙ্গলে পাড়ি দিতে হলে কমপক্ষে ২২৫ মিলিয়ন কিলোমিটার (২২ কোটি ৫০ লাখ কিলোমিটার) পথ অতিক্রম করতে হবে, যা ব্গিত মিশনগুলো থেকে অনেকগুণ বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমান প্রযুক্তিতে নির্মিত রকেটে করে মঙ্গলে যেতে হলে নভোচারীর ৯ মাস সময় লেগে যাবে। তার মানে হলো মহাশূন্যের ওজনহীন স্থানে তাকে দীর্ঘসময় কাটাতে হবে। এত দীর্ঘসময় সেখানে কাটালে শরীরে মারাত্মক প্রভাব পড়বে। উদারহণস্বরূপ, দীর্ঘসময় শূন্য অভিকর্ষে (জিরো গ্রাভিটি) কাটালে রেটিনায় রক্ত পরিবহন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এর ফলে দেখা দিতে পারে দৃষ্টিহীনতা। এ ছাড়া হাড়ের ভরত্ব ও ক্যালসিয়াম সঙ্কুচিত হতে পারে। টম জোনস বলেন, ‘এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হলে আমাদের বিদ্যমান রকেট প্রযুক্তি থেকে সরে আসতে হবে। এজন্য নিউক্লিয়ারভিত্তিক রকেট প্রযুক্তি চালু করতে হবে। যাতে করে খুব কম সময়ে মঙ্গলে পাড়ি দেয়া যায়। আর এটা করতে কমপক্ষে ২৫ বছর সময় লেগে যাবে।’ মঙ্গলে মানুষ আ-দৌ বসবাস করতে পারবে কি না-তা যাচাই করতে ২০২০ সালের মধ্যে মঙ্গলে নভোচারী পাঠাবে নাসা। ওই নভোচারী ফিরে আসার পর সবকিছু পুনর্বিবেচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মহাকাশ সংস্থাটি। সূত্র: আলজাজিরা
×