ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের কপি হস্তান্তর

প্রকাশিত: ০০:৪৮, ১৪ নভেম্বর ২০১৮

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ের কপি হস্তান্তর

অনলাইন রিপোর্টার ॥ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেয়া ৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশের রায়ের সার্টিফায়েড কপি আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করেছেন আদালত। বুধবার ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন রায়ের ৬৩২ পৃষ্ঠার সার্টিফায়েট কপি খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নুল আবেদীন মেজবাহের কাছে হস্তান্তার করেন। খালেদার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ মামলায় খালেদার জামিন ও রায়ের বিরুদ্ধে আমরা শিগগিরই উচ্চ আদালতে আবেদন করব।’ এর আগে ৩০ অক্টোবর খালেদার রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন করেন আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। ২৯ অক্টোবর এ মামলায় খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত। রায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। মামলার অপর তিন আসামিকেও একই শাস্তির আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া কাকরাইলে সুরাইয়া খাতুনের নামে ট্রাস্টের জন্য কেনা ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেয়ারও আদেশ দেন আদালত। রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতায় আসীন থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে টাকা আত্মসাৎ করা কাম্য নয়। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের অপরাধ না করতে পারে সেজন্য তাকে কঠিন শাস্তি প্রদান করা প্রয়োজন।’রায়ে মোট ১৪টি বিষয় বিবেচনায় নেন বিচারক। বিচারক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অপর আসামিদের সহযোগিতায় ট্রাস্টের নামে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।’ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৩৬ মামলার মধ্যে এ নিয়ে দ্বিতীয় মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির আরেক মামলায় কারাদণ্ড হওয়ার পর তাকে কারাগারে নেয়া হয়।
×