ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এমএইচ উল্লাহ

অনভিপ্রেত অশান্তি!

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

অনভিপ্রেত অশান্তি!

আধুনিক বিজ্ঞান আমাদের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এসেছে তার সঙ্গে নিয়ে এসেছে অনেক সু-সংবাদ। ঘরে বসেই আমরা এখন আধুনিক বিজ্ঞানের সুফল ভোগ করছি। কিন্তু দুঃখ্যজনক হলেও সত্য এত সব সাফল্যের মাঝেও আমরা কিছু অনভিপ্রেত অশান্তিতে ভুগছি। এই সব অসুবিধা ও অশান্তি যে মানুষই সৃষ্টি করছে তা বলাই বাহুল্য। মোবাইল-ফোনে রয়েছে নানা অ্যাপÑ গুগল, ফেসবুক ইত্যাদি। এই গুগল, ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসেই অনেক জ্ঞানগর্ভ বিষয় অবলম্বন করে জ্ঞান বৃদ্ধি করতে সক্ষম হচ্ছে- এমনকি বিভিন্ন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান উপভোগ করে প্রভূত আনন্দ লাভ করছে- কিন্তু এত সবের মাঝেও রয়েছে কিছু অশনিসংকেত যা মানুষকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। বিজ্ঞানের এই অগ্রযাত্রাকে কিছু সংখ্যক কলুষিত মনের মানুষ সহজভাবে নিতে পারেনি- তারা এই বিজয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে মানুষের জন্য দুর্ভোগ ডেকে আনছে। একই ফুল থেকে মৌমাছি আহরণ করে মধু আর ঐ ফুল থেকেই মাকড়সা আহরণ করে বিষ। তেমনইভাবে কিছু কুৎসিত মনের মানুষ বিজ্ঞানের এই অগ্রযাত্রাকে ভালো কাজে না লাগিয়ে মানুষের যাতে ক্ষতি হয় তাই করছে। ফেসবুকে নিরীহ মানুষের চরিত্রহননের চেষ্টা করে নির্দোষ মানুষের ক্ষতিসাধন করছে। স্মার্টফোনে গুগলের বদৌলতে মানুষ আজ সারা বিশে^র খবরা-খবর ঘরে বসেই পাচ্ছে- আবার ফেসবুকেও মানুষ দৈনন্দিন অনেক প্রয়োজনীয় তত্ত্ব-উপাত্ত সংগ্রহ করছে, অথচ এই ফেসবুককে গুজব ছড়িয়ে খারাপ মানুষ ভাল মানুষকে অনেক কষ্ট দিচ্ছে- তাদের অনেক ক্ষতি করছে। গুজব ছড়িয়ে তারা যে সমাজের ভাল মানুষগুলোর কি ক্ষতি করছে তা যদি তারা একবারও ভেবে দেখতো তাহলে হয়তো বা সমাজে এই অপরাধটা এত বেশি বিস্তার লাভ করত না। গুজবে কান দিবেন না কথাটি পুরনো হলেও এখন আবার নতুন করে বলার সময় হয়েছে। কিন্তু কথা হলো কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে তা বুঝার উপায় কি? উত্তরে বলা যায়- সত্য সত্যই আর মিথ্যা সে তো ধোপে টিকে না- সময়ই বলে দিবে কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা। গুজব ছড়িয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মানুষ মানুষকে সাময়িকভাবে কষ্ট দেয়- হেনস্থা করে- কিন্তু পরিনামে সত্যই বেরিয়ে আসে। ডিজিটাল যুগে বাস করে সত্য-মিথ্যার যাচাই করাটা খুব কঠিন হবে বলে মনে হয় না, কারণ বিজ্ঞান যখন মানুষের কল্যাণের জন্য এতকিছু করেছে তখন সত্য মিথ্যার যাচাই করার উপায়টাও অবশ্যই সে বের করতে পারবে আর আমরা বিশ^াস করি। সত্য-মিথ্যা যাচাইয়ের পর মিথ্যাবাদীকে তখন আর কেউ বিশ^াস করবে না- যেটা অতীতেও হয়েছে। গুজব ছড়িয়ে কোনদিন সুফল পাওয়া যায়নি। স্কুলের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে গুজব ছড়িয়ে ও তাদেরকে লেলিয়ে দিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল ফায়দা লুটতে চেয়েছিল- কিন্তু শেষ পর্যন্ত সত্যের জয় হয়েছে- গুজব মিথ্যা বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তাই মিথ্যাকে ভয় পাবার কিছু নেই, কারণ সত্যই জয়লাভ করবে। কলাবাগান, ঢাকা থেকে
×