ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গাড়ি পোড়াল বিএনপি কর্মীরা আহত দশ পুলিশ

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

গাড়ি পোড়াল বিএনপি কর্মীরা আহত দশ পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অমান্য করে শোডাউন করার সূত্র ধরে বিএনপি নেতাকর্মীর সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। থেমে থেমে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সেই সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়া পল্টনসহ আশপাশের এলাকা রীতিমত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। বিএনপি নেতাকর্র্মীরা পুলিশের দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ার পর গাড়ির যন্ত্রপাতি খুলে নিয়ে গেছে অনেকেই। তবে তারা কারা সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন তথ্য মেলেনি। দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশ, বিএনপি নেতাকর্মী, পথচারী, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবিসহ নানা শ্রেণী-পেশার অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে দফায় দফায় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে হয়েছে। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পুরো এলাকার দোকানপাট, ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ ছিল। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে। এদিকে সংঘর্ষের কারণে তিন ঘণ্টার বেশি সময় বিএনপির মনোয়ন ফরম বিক্রি বন্ধ ছিল। বিকেল পাঁচটার দিকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। বিকেলে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা। তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান। নির্বাচন বানচাল করতে পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন। বুধবার দুপুর বারোটার দিকে ঘটনার সূত্রপাত। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তৃতীয় দিনের মতো মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। স্বাভাবিক কারণেই দলের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নেতাকর্মীসহ ঢাকায় এসেছেন। প্রার্থীদের ছবিসহ ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে নেতাকর্মীদের মিছিলসহ শোডাউন করতে করতে নয়াপল্টনে হাজির হচ্ছিলেন। চারদিক থেকে এভাবেই নেতাকর্মী নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে হাজির হতে দেখা যায়। স্বাভাবিক কারণেই রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে বিএনপির সাবেক মন্ত্রী মীর্জা আব্বাসের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের বিশাল একটি মিছিল ফকিরাপুলের দিক থেকে বিএনপি কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হয়। এতে করে পুরো রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। রাস্তায় সব যানবাহন স্থির হয়ে পড়ে। একই সময়ে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আরও কয়েকটি মিছিল চারদিক থেকে আসতে থাকে। পুরো এলাকায় যানবাহন চলাচল একেবারেই থমকে যায়। মিছিলে আসা নেতাকর্মীর সবাই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নেয়। তারা সেখানে মিছিল করতে থাকে। ততক্ষণে চারদিকে অন্তত এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়ে যায়। পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা নেতাকর্মীদের রাস্তা খানিকটা ফাঁকা রেখে ফুটপাতের দিকে অবস্থান নিতে বলেন। যাতে ধীর গতিতে হলেও যানবাহন চলাচল করতে পারে। এতে করে নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পুলিশ নেতাকর্মীদের নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের কথাটিও জানান। এমনকি নির্বাচন কমিশন থেকে সব ধরনের শোডাউন নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলেও নেতাকর্মীদের অবহিত করেন। পুলিশের এমন কথার সূত্র ধরে নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চরম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। পুলিশও হাল্কা লাঠিচার্জ করতে থাকে। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে থাকে। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া, পাল্টাধাওয়া আর ইটপাটকেল নিক্ষেপ। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পশ্চিম দিকে রাখা পুলিশের একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার কাছে থাকা আরেকটি পেট্রোলকারেও আগুন ধরিয়ে দেয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়ার মুখে একপর্যায়ে পুলিশ পল্টন মডেল থানার ভেতরসহ বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নেয়। এরপর পুলিশ রবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ শুরু করে। রাস্তার মাঝে কাগজ পুড়িয়ে দেয়। দুপুর একটার দিকে সংঘর্ষ চূড়ান্ত রূপ নিলে পুলিশ নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে সরে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পল্টন মোড়ের কাছে স্কাউট ভবন পর্যন্ত কয়েকটি চক্কর দিয়ে মিছিল করে। এ সময় কয়েকটি বাস ও মোটরসাইকেলের গ্লাস ভাংচুর করে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই পুলিশ আটকে থাকা যানবাহনগুলোকে কোনমতে নিরাপদে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম হয়। আচমকা এমন ঘটনায় পুরো এলাকায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই আশপাশের সব দোকানপাট, অফিস-আদালতের দরজা-জানালা বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে দোকান খোলা রেখেই প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ জায়গায় চলে যান। আশপাশের বহু ভবনের দরজা-জানালার কাঁচ ভেঙ্গে গেছে ইটপাটকেলের আঘাতে। মানুষের মধ্যে মারাত্মক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে খবর পেয়ে দুপুর দেড়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে। ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানায়, গাড়িগুলো আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি যেতে পেরেছে। নেতাকর্মীদের বাধার মুখে গাড়িগুলো আর আগুন নেভাতে পারেনি। দেখা গেছে, ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলো নাইটিঙ্গেল মোড়ের কাছে যেতে পেরেছে। গাড়ির চালকরা বলছিলেন, তারা গাড়ি নিয়ে আগুন নেভাতে যাওয়ার জন্য উদ্যত হলে শত শত বিএনপি নেতাকর্মী তাদের বাধা দেয়। তারা সামনে অবস্থান নিলে গাড়িগুলো আর সামনে এগুতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত পুলিশের সহযোগিতা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের আর আগুন নেভানো হয়নি। বিকেল চারটার দিকেও গাড়ি দুটি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। তখনও গাড়ি দুটি পুড়ছিল। প্রাইভেটকারটি ততক্ষণে পুড়ে পুরোপুরি ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এর পর একদল লোককে সেখানে জটলা করতে দেখা যায়। ৪/৫ পথশিশু গাড়ি পোড়ার পর খুলেপড়া কিছু কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে যাচ্ছে। আর তাদের উৎসাহ যোগাচ্ছে কতিপয় লোকজন। স্থানীয়রা বলছিলেন, গাড়ির পোড়া যন্ত্রপাতি পথশিশুদের খুলে নিতে যারা উৎসাহ যোগাচ্ছিলেন, তারা বিএনপি নেতাকর্মী। তাদের কাউকে কাউকে গাড়ির পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলতেও দেখা যায়। পল্টন থানার ওসি মাহমুদ হোসেন জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। এতে করে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। নেতাকর্মীদের রাস্তা খানিকটা ছেড়ে ফুটপাথের দিকে অবস্থান নেয়ার কথা বলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত। বিএনপি নেতাকর্মীরা সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। দুপুর দুটার দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়। পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ থেমে যায়। তবে আতঙ্ক ছিল পুরো এলাকাজুড়েই। এর পর বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের আবার খ- খ- মিছিল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে দেখা যায়। ততক্ষণে পুলিশ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আধাকিলোমিটার দূর দিয়ে অবস্থান নেয়। পল্টন মডেল থানার সামনে কাঁটাতারের ব্যারিকেড দেয়। অন্যদিকে পুরানা পল্টনসহ কাকরাইল এলাকায় কাঁটাতারের ব্যারিকেড দেয়। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর দাবি, তারা গত দুদিন শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়েছিল। বুধবার বিনা উস্কানিতে পুলিশ তাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা করেছে। হামলায় ঢাকা-৮ আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী মীর্জা আব্বাস ছাড়াও বিএনপি নেতা নাহিদ, মুকুল, মোস্তফা, স্বপন, হারুনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই বিএনপির একটি চিকিৎসক দল কর্তৃক আহতদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল। আচমকা বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অন্তত ১০ সদস্যের আহত হওয়ার কথা জানা গেছে। তাদের রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তবে সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হামলার সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। হামলাকারীদের শনাক্ত করার পর গ্রেফতারে অভিযান চালানো হবে। যুবদল কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন মামুন সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষের পর থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রম বন্ধ আছে। বিকেল পাঁচ নাগাদ আবার মনোনয়ন বিক্রি শুরু হয় বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। পুলিশ জানায়, বিকেল পাঁচটা নাগাদ পুরো এলাকায় যানবাহন চলাচল ও জীবনযাপন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তবে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। অনেকে সংঘর্ষের পর বন্ধ করা দোকানপাট আর খুলেননি। এদিকে বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন বানচালের জন্য নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা ও গাড়ি পোড়ানো হয়েছে। এটি পরিকল্পিত হামলা। নাশকতা করে রীতিমত ধূম্রজাল সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের চেষ্টার অংশ হিসেবে হামলা করা হয়েছে। পরে মন্ত্রী সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ১৩ পুলিশ ও তিন আনসার সদস্যকে দেখতে যান। তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এদিকে বুধবার বিএনপির মনোনয়ন ফরম বিক্রিকে কেন্দ্র করে মিছিলসহ শোডাউন ও সংঘর্ষের ঘটনা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্র বলছে, গত ১৩ নবেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা নিয়ে যে কোন ধরনের মিছিল-শোডাউন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে তাদের। মঙ্গলবার ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠি পুলিশ মহাপরিদর্শ ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বরাবর পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দলীয় কার্যালয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা জমা দেয়ার সময় মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন সহকারে মিছিল ও শোডাউন করা হচ্ছে। যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৮ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আরচণ বিধিমালায় বলা হয়েছে, কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে কোন ব্যক্তি মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোন প্রকার মিছিল বা শোডাউন করতে পারবে না। এ বিধি অনুসারে পরবর্তীতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে। আচরণবিধি যথাযথ প্রতিপালনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চিঠিতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকে সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ-জমা চলছে। তবে দলীয় বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৮ নবেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেয়া যাবে। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২ ডিসেম্বর। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ আগামী ৯ ডিসেম্বর।
×