ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

হাজী দানেশ ভার্সিটির শিক্ষকদের ওপর হামলা ॥ আজ থেকে ক্লাস বর্জন

প্রকাশিত: ০৭:৪৮, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

হাজী দানেশ ভার্সিটির শিক্ষকদের ওপর হামলা ॥ আজ থেকে ক্লাস বর্জন

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ একের পর এক আন্দোলনে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি)। এবার ট্রেজারারের কাছে বেতন বৈষম্যের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে লাঞ্ছিত ও হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন হাবিপ্রবির নতুন পদোন্নতিপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হাওলাদারের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, এই ঘটনায় তিন শিক্ষক আহত হয়েছেন। সিনিয়র শিক্ষকদের ইঙ্গিতে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষকরা। এর প্রতিবাদে তারা বৃহস্পতিবার থেকে সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার বলেছেন, তারাই উল্টো তাকে অবরুদ্ধ করে রেখে সরকারী কাজে বাধা ও সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও অসদাচারণ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ফাতিহা ফারহানা, কৃষ্ণ চন্দ্র রায়, হাফিজ আল হোসেনসহ কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেন, গত ১১ অক্টোবর রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তাদের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়। পদোন্নতি দেয়া হলেও বর্ধিত বেতন দেয়া হচ্ছিল না ৬১ শিক্ষককে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে এবং কারণ জানতে বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হাওলাদারের কক্ষে প্রবেশ করেন ৬১ শিক্ষক। এক পর্যায়ে সিনিয়র শিক্ষকরা তাদের ধাক্কা দিয়ে কক্ষ থেকে বের করে দেন। এরপর কতিপয় ছাত্র সিনিয়র শিক্ষকদের ইঙ্গিতে তাদের লাঞ্ছিত ও মারধর করে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা ও বর্ধিত বেতন না দেয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা আজ বৃহস্পতিবার থেকে সকল ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হাওলাদার জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বেতন দেয়া হচ্ছে। কিন্তু শিক্ষকরা বুধবার তার কাছে এসে অযৌক্তিকভাবে চাপ প্রয়োগ করেন। এ সময় তারা সরকারী কাজে বাধা দেন এবং তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে সিনিয়র শিক্ষকরা এলে তারা সিনিয়র শিক্ষকদের সঙ্গেও অসদাচরণ ও ধাক্কাধাক্কি করে। এক পর্যায়ে সিনিয়র শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্ররা তাকে এসে উদ্ধার করে নিয়ে যান। আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের ওপর কে হামলা করেছে, তা তার জানা নেই। ছাত্ররা কিভাবে সেখানে এসেছে, তাও তার জানা নেই।
×