ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট

প্রকাশিত: ২২:৩৪, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে যাচ্ছে ঐক্যফ্রন্ট

অনলাইন রিপোর্টার ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিএনপির প্রতীক ‘ধানের শীষ’ নিয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। মতিঝিলে কামাল হোসেনের চেম্বারে বৃহস্পতিবার দুপুরে জোটের নেতাদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্ত জানান ফ্রন্টের অন্যতম নেতা নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, “আজকে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমরা যতগুলো দল মিলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করেছি, আমরা সকলে একটি কমন প্রতীকে নির্বাচন করব। সেই কমন প্রতীক হবে ধানের শীষ।” আসন বন্টন নিয়ে বৈঠক হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মান্না বলেন, ‘এ বিষয়ে আলোচনা হয়নি৷ তবে আমরা এ বিষয়ে আলোচনার যাত্রা শুরু করেছি।’ নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে যুক্তফ্রন্ট এবং আওয়ামী লীগের মুখোমুখি অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে মান্না বলেন, ‘আমরা যখন সরকারের সঙ্গে দেখা করি প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই বলেন, নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা নির্বাচন কমিশনারের কাছে গিয়ে যা বলেছি নির্বাচন পেছানোর জন্য তাতে অসংখ্য যুক্তি আছে। বিশেষ করে ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে সারা ইউরোপ আমেরিকায় উৎসব হয়। এখানে আমাদের পর্যবেক্ষকদের আসার কথা থাকলেও তারা আসতে পারবেন না। এতে সারাবিশ্ব থেকে এক ধরনের বিচ্ছিন্ন করে ভোট করার এই প্রচেষ্টা ঠিক নয়।’ মান্না বলেন, ‘সরকারি দল বলেছে নির্বাচন এক ঘণ্টাও পেছানো যাবে না, যা এক ধরনের হুমকিস্বরূপ। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি।’ মান্না এসময় আরও বলেন, ‘বুধবার বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ বাহিনীর নির্মম হামলার নিন্দা জানাচ্ছি। একদিকে সরকার পক্ষ চারদিন ধরে সমস্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে একটি উৎসব করলো। সেই উৎসবের ফসলে দুজন মারা পর্যন্ত গেলো। তখন পুলিশ কোনও কিছু করেনি৷ অথচ এদিকে দেখা গেলো, বিরোধীদল বিএনপির মনোনয়নপত্র বিতরণ উপলক্ষে যখন নেতাকর্মীরা জমা হয়েছে তার একদিন আগে নির্বাচন কমিশন সড়ক পরিষ্কার রাখতে বিবৃতি দিলেন এবং তার পরদিনই এই হামলা হলো। আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত ছিল।’ বিএনপিসহ কয়েকটি নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত দল নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সাত দফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। সংসদ ভেঙে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি ছিল তাদের ওই সাত দফার মধ্যে। এসব দাবি নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দুই দফা সংলাপে বসেছিলেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সেখানে কোনো সমঝোতা না হলেও তারা ‘আন্দোলনের অংশ হিসেবে’ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ সংসদ নির্বাচন পোছানোর জন্য বুধবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও বৈঠক করে ঐক্যফ্রন্ট। ওই বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্টের মূল নেতা কামাল হোসেন আশ্বস্ত হওয়ার কথা বললেও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে জোটের সবচেয়ে বড় দল বিএনপির সংশয় কাটেনি।
×