ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপি নেত্রী নিপুন গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

বিএনপি নেত্রী নিপুন গ্রেফতার

অনলাইন রিপোর্টার ॥ নয়া পল্টনে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অ্যাডভোকেট নিপুন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়ের পুত্রবধূ এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরীর মেয়ে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিপুনের সঙ্গে কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনকে আটক করা হয়েছে বলে বিএনপি দাবি করলেও পুলিশ তা অস্বীকার করেছে। বিএনপিতে সক্রিয় বেবী নাজনীন একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশী। বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছিলেন তিনি। বুধবারের সংঘর্ষের সময় পুলিশের উপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগের তিনটি মামলায় ইতোমধ্যে ৬৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পুলিশ নিপুন রায়কে গ্রেফতার করে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়া পল্টনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পুলিশ বেবী নাজনীন ও নিপুন রায়কে ধরে নিয়ে গেছে।”বুধবারের সংঘর্ষের সময় লাঠিহাতে নিপুনের ছবি ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে এসেছে। পুলিশের করা মামলায় তার পাশাপাশি শ্বশুর গয়েশ্বর রায়ও আসামি। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার (পূর্ব) মো. নুরুন্নবী বলেন, “নিপুন রায়কে আমরা অ্যারেস্ট করছি। তিনি গতকালের ঘটনার মামলার আসামি।” বেবী নাজনীনকে আটকের খবরের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা তাকে অ্যারেস্ট করিনি।”পুলিশের অন্য কোনো দল তাকে গ্রেফতার করেছে কি না- জানতে চাইলে উপ কমিশনার নুরুন্নবী বলেন, “না, কেউই করেনি। এটা গুজব।” মহানগর ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেনও বলেন, “শুধু নিপুন রায়কেই গ্রেফতার করা হয়েছে।”পুলিশের করা তিনটি মামলায় গয়েশ্বরের পাশাপাশি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও আসামি। আসামির তালিকায় থাকা অন্য নেতারা হলেন মির্জা আব্বাসের স্ত্রী ও জাতীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান রঞ্জন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কফিল উদ্দিন, দলটির মিডিয়া উইংয়ের দায়িত্বে থাকা সামসুদ্দিন দিদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য অমিনুল ইসলাম, হাবিবুর রশিদ হাবিব, যাত্রাবাড়ী থানার সভাপতি নবীউল্লাহ নবী। এছাড়া যুবদলের রফিকুল ইসলাম মজনু, ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন ও আরিফা সুলতানা রুমাসহ প্রায় দুশ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ছাড়াও কক্সবাজার, পিরোজপুর, নেত্রকোণা, চাঁদপুর, কিশোরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাইবান্ধা, বগুড়া, ফেনী, যশোর, বাগেরহাট, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীরা রয়েছেন। গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তা অবরোধ, পুলিশকে মারধর, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এসব মামলা হয়েছে। ৬৫ জনকে গ্রেফতারের পাশাপাশি বাকি আসামিদের ধরতে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
×