ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আদালতে স্বীকারোক্তি বাঁশখালীতে ধর্ষণের পর গৃহবধূকে হত্যা

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

আদালতে স্বীকারোক্তি বাঁশখালীতে ধর্ষণের পর গৃহবধূকে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, ১৫ নবেম্ব^র ॥ বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউপির নাপোড়া এলাকার কান্দালপাড়া হিন্দুপাড়া গ্রামে শিখা দে নামে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণপূর্বক শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় বিজ্ঞ আদালতে ৬৪ ধারা জবানবন্দীতে লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে আটক ধর্ষক নুরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার বাঁশখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬৪ ধারা জবানবন্দী প্রদানকালে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত দুজনের নাম উল্লেখ করে লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনায় প্রদান করে সে। বাঁশখালী থানার এসআই মোঃ ফারুক উদ্দিনের নেতৃত্বে ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর থেকে জড়িত ২ ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। আটকের পর ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকা-ের চাঞ্চল্যকর রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ দঃ বিঃ ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করে বাঁশখালী থানা। আদালতে ৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে উপজেলার শেখেরখীল এলাকার মৃত আবুল হোসেনের পুত্র নুরুল ইসলাম (৪৫) ও চাম্বল এলাকার মৃত আহম্মেদুর রহমানের পুত্র জকরিয়ার (৫৫) নাম উল্লেখ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন ধর্ষক নুরুল ইসলাম। জবানবন্দীতে ধর্ষক নুরুল ইসলাম উল্লেখ করেন শিখা রানী দে বিকেলে তেল কেনার জন্য বাজারে আসলে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে নুরুল ইসলাম। পরবর্তীতে তাকে চাম্বল কাটা ব্রিজ সংলগ্ন মুরগি ফার্মে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সে। এক পর্যায়ে ধর্ষিতার চিৎকারে মোঃ জকরিয়া ঘটনাস্থলে এলে সেও শিখা রানী দেকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ধর্ষিতার চিৎকার থামানো না গেলে ২ ধর্ষক মিলে শিখা রানী দেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং তার মৃতদেহ চাম্বল কাটা ব্রিজ সংলগ্ন পুকুর পাড়ে ফেলে চলে যায়।
×