স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোটদানের শান্তিপূর্ণ পরিবেশের মধ্যেই রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ানোর ঘটনায় বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ বলে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বুধবার ওই সংঘর্ষের পর ফেসবুকে খবর শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে জয় বলেছেন, ‘বিএনপিকে কোনদিক থেকেই আর রাজনৈতিক দল বলা যায় না, তারা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ওই দলের নেতাকর্মীদের ‘জেলে ভরে’ রাখা উচিত।’
নির্বাচন সামনে রেখে মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রমের মধ্যেই বুধবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় দলের নেতাকর্মীরা। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ওই সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আহত হয় পুলিশসহ অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। অন্যদিকে বিএনপি কর্মীরা বেশকিছু যানবাহন ভাংচুর করে ও পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুন দেয়।
বিএনপি ওই ঘটনার জন্য সরকারকে দায়ী করে বলেছে, পুলিশ বিনা উস্কানিতে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর ‘হামলা’ চালিয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ বলেছে, নির্বাচন সামনে রেখে ‘ইস্যু তৈরির লক্ষ্যে’ বিনা উস্কানিতে বিএনপি কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এরই মধ্যে প্রকাশ হতে শুরু করেছে হামলা ও নাশকতায় জড়িত ছিল ছাত্রদলসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা, যাদের বেশ কয়েকজনের পরিচয়ও ইতোমধ্যে মিলেছে।
ফেসবুক পোস্টে জয় লিখেছেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হতে না হতেই বিএনপির সহিংসতাও শুরু হয়ে গেছে। ঠিক যেভাবে তারা ১৩ ও ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়েছিল। বিএনপিকে কোনদিক থেকেই আর রাজনৈতিক দল বলা যায় না, তারা একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। কানাডিয়ান ফেডারেল আদালতও একই কথা বলেছে একাধিকবার। তাদের সবাইকে জেলে ভরে রাখা উচিত।
দশম সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ১৩ সালের শেষ দিকে নির্বাচন প্রতিহত করতে আন্দোলনে নামে বিএনপি-জামায়াত জোট। এরপর ভোটের বর্ষপূর্তিতে ১৫ সালের প্রথম তিন মাস তাদের টানা হরতাল-অবরোধ চলে। ই-আন্দোলনের মধ্যে সারাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। পেট্রোলবোমা হামলায় বহু জনের প্রাণহানি ঘটে, আহত হয় আরও অনেকে। শত শত যানবাহন পোড়ানো হয়, বিভিন্ন স্থাপনারও ক্ষয়ক্ষতি হয়।