ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নয়াপল্টনে বিশৃঙ্খলা বিএনপির নির্বাচনে না আসার ইঙ্গিত ॥ এরশাদ

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

নয়াপল্টনে বিশৃঙ্খলা বিএনপির নির্বাচনে না আসার  ইঙ্গিত ॥ এরশাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, বিএনপি অফিসের সামনে সংঘটিত বিশৃঙ্খলায় ইঙ্গিত পাওয়া যায় বিএনপি নির্বাচনে নাও আসতে পারে। তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে এলে ভালই হবে। আর বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাতীয় পার্টি তিন শ’ আসনেই নির্বাচন করবে।’ এরশাদ বৃহস্পতিবার তার বনানী কার্যালয়ে এক অনির্ধারিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন। এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এরশাদ বলেন, জোটের ব্যাপারে এখনও আলোচনা হয়নি। বিএনপি নির্বাচনে এলে আমরা জোটবদ্ধ হয়েই নির্বাচন করব। আশা করছি আমরা জোটবদ্ধ হলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী সম্মানজনক আসন পাব। তিনি বলেন, ১৭ ও ১৮ নবেম্বর আমাদের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে। বৃহস্পতিবার এরশাদ জোটের বিষয়ে কোন আলোচনা না হওয়ার কথা বললেও চলতি সপ্তাহের পুরো সময় তার দলের কেন্দ্রীয় নেতারা স্পষ্ট করে বলেছে জাপা মহাজোটে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে। দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, আমরা মহাজোট থেকে নির্বাচন করব এটা সত্য। আসন ভাগাভাগির বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। আমরা তাদের কাছে ১০০ আসন চাইব। এরশাদের জোটের মুখপাত্র ও জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার মঙ্গল ও বুধবার বলেন, দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। তিনি জানান, আমরা মহাজোটে গিয়ে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। আশাকরি আওয়ামী লীগ এবারও জাতীয় পার্টিকে প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন করবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় এরশাদ আরও বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচনকে সামনে রেখে উজ্জীবিত। গত চারদিনে তারা প্রায় আড়াই হাজার মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বৃহস্পতিবার অনেক মনোনয়নপত্র বিক্রি হবে। এটা জাতীয় পার্টির জন্য খুবই ইতিবাচক দিক। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে জাতীয় পার্টি একাদশ নির্বাচনে অনেক ভাল ফল করবে। এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং শ্রম ও জনশক্তি প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, এসএম ফয়সল চিশতী, প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, নুরুল ইসলাম নুর, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, বেলাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নয়াপল্টনে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে-হাওলাদার ॥ জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছেন, বিএনপি অফিসের সামনে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। প্রকৃত দোষীদের পরিচয় প্রকাশের দাবিও জানান তিনি। জেনারেল মাসুদ চৌধুরী জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ॥ ১/১১’র আলোচিত সেনা কর্মকর্তা লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। মনোনয়ন ফরম বিক্রি ॥ একাদশ নির্বাচন সামনে রেখে বৃহস্পতিবার পঞ্চম দিনের মতো জাতীয় পার্টির মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। সকাল থেকে ৪৪৭টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। এ নিয়ে ৫ দিনে মোট ২ হাজার ৮৬৫টি মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হলো। সাবেক এমপি নওয়াব আলী খান আব্বাস, মাইটিভির চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন সাথীসহ অনেকেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির কো- চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, আবুল কাশেম, এ্যাডভোকেট শেখ মুহম্মদ সিরাজুল ইসলাম, মশিউর রহমান রাঙা এমপি, তাজ রহমান, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়া আলমগীর শিকদার লোটন, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপিসহ শতাধিক নেতাকর্মী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নির্বাচন কিছুতেই পেছানো যাবে না- বি চৌধুরী ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, দেশে এখন নির্বাচনের উৎসব চলছে, তাই উৎসবের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না। তিনি নির্বাচন আর না পেছানোর আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার বিকেলে বি. চৌধুরীর বারিধারার বাসভবনে বিএনপি নেতা কুলাউড়া আসনের দুবার নির্বাচিত এমপি ও উত্তর আমেরিকার জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ঠিকানা পত্রিকার সম্পাদকম-লীর চেয়ারম্যান এমএম শাহীনের বিকল্পধারায় যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক ॥ বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনার এ্যালিসন ব্লেক সিএমজির নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে তার বারিধারার বাসভবনে সাক্ষাত করেন। এ সময় বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব) আবদুল মান্নান, বি. চৌধুরীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, যুক্তফ্রন্টের মুখপাত্র মাহী বি. চৌধুরী এবং এ্যালিশন ব্লেকের সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশে যুক্তরাজ্য হাই কমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার ক্যানবার হোসেইন-বর ও হাই কমিশনের পলিটিক্যাল এনালিস্ট এজাজুর রহমান। হাই কমিশনের প্রতিনিধি দল প্রায় এক ঘণ্টা ধরে একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করেন এবং বৈঠক শেষে মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেন। পরে প্রেস ব্রিফিং-শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, যুক্তরাজ্যের হাই কমিশনারের সঙ্গে আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয় নিয়েও কথা বলেছি। এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রতীক বরাদ্দের সময় বাড়াতে ইসিতে চিঠি ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটের প্রতীক বরাদ্দের সময়সীমা ১০ দিন বাড়িয়ে ২৬ নবেম্বর করার দাবি জানিয়েছে যুক্তফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার সিইসি নুরুল হুদার কাছে এক পাঠানো চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়। বি. চৌধুরী চৌধুরী স্বাক্ষরিক চিঠিটি সকালে ইসিতে পাঠানো হয়। বিকল্পধারার ব্যারিস্টার ওমর ফারুক এ চিঠি নিয়ে ইসিতে যান। এ সময় আবদুর রউফ মান্নান, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। পুনর্তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নবেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ ডিসেম্বর ও ভোটগ্রহণ ৩০ ডিসেম্বর। সিইসির কাছে লেখা চিঠিতে বলা হয়, যুক্তফ্রন্টসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের দাবির প্রেক্ষিতে নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়ে পুনর্তফসিল করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পুনর্তফসিলের পর জোটের প্রতীক বরাদ্দ সংক্রান্ত আপনাদের বিজ্ঞপ্তির সময়সীমা ১৫ নবেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। বামজোট চায় ইসি বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ নিক ॥ স্টাফ রিপোর্টার জানান, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সভায় আসন্ন নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ-অর্থবহ-গ্রহণযোগ্য করতে এখনও যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে দৃশ্যমান-বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। সভায় বলা হয়, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ঘিরে ব্যাপক শোডাউন, রাস্তা বন্ধসহ অন্যান্য ঘটনায় আচরণবিধি লংঘনের বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়ায় নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। পরবর্তীতে বিএনপি অফিসের সামনের সহিংস ঘটনা চলমান নির্বাচনী পরিবেশের শঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। গণভবন ঘিরে সরকারী সুবিধা নিয়ে দলীয় প্রার্থীর সাক্ষাতকার, প্রচার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর প্রচার, নির্বাচনকালীন সরকারের ভূমিকা ও আচরণবিধি লংঘনের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। প্রচার প্রোপাগান্ডা, মনোনয়ন বাণিজ্যসহ নির্বাচন ঘিরে ইতোমধ্যে টাকার খেলার যে উৎসব দেখা যাচ্ছে তা প্রতিকারেও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নেই। সভায় নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারী দলসহ সকল দল ও ব্যক্তিবর্গের জন্য সমসুযোগ প্রদানের দাবি জানানো হয়। সভায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের দল নিরপেক্ষ ভূমিকাও নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাসদের বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের মোশারেফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র ফখরুদ্দিন কবীর আতিক, গণসংহতি আন্দোলনের ফিরোজ আহমেদ, সিপিবি’র কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ। সভায় আসন্ন নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করতে সকল মহলকে দায়িত্বশীল আচরণের আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া আসন্ন নির্বাচনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রার্থীদের আসন বণ্টন ও নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। মানুষ হত্যার পরিকল্পনা ছিল বিএনপির ॥ ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরো এক বিবৃতিতে বিএনপি কার্যালয়ে মনোনায়ন প্রদানকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর বর্বর আক্রমণ, গাড়ি পোড়ানো ও ধংসাত্মক কার্যকলাপের নিন্দা করেছে। পার্টির পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, এটা বিএনপির সেই পুরনো অগ্নিসন্ত্রাসেরই আরেক রূপ জনগণের সামনে প্রকাশ হয়ে গেল। এর মধ্যে বুঝা যায় যে বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ‘কয়লা ধুলে না যায় ময়লা’। বিএনপির বেলায় সেটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য। বৃহস্পতিবার দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠনো বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনকে বানচাল করার, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করা এবং একটা অশান্ত পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে বিএনপি। ওরা চেয়েছিল পেছনের দরজা দিয়ে একটি অশুভ শক্তিকে ক্ষমতায় বসানো। সেটা ব্যর্থ হয়ে তারা এখন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনে যে সাধারণ একটি প্রকাশ্যে গতিবিধির সুযোগ তারা পেয়েছে এবং এখানে সভাসমাবেশ মিছিল করতে পারছে সেটাকে কাজে লাগিয়ে আবার সেই পুরোন অগ্নিসন্ত্রাসে তারা ফিরে গেছে। বিবৃতিতে বলা হয় যে, ২০১৪ নির্বাচনের আগে তিন মাস ধরে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল এবং একই সঙ্গে তারা মানুষ হত্যায় মেতে উঠেছিল। এটা খুবই স্পষ্ট গতকাল তাদের মানুষ হত্যার পরিকল্পনা ছিল। হেলমেট পরা, হাতে লাঠি নিয়ে হামলা করা, গাড়ি পোড়ানো এই যে পরিস্থিতির ছবিগুলো টেলিভিশনে ফুটেজে দেখা গেছে এটিই পূর্ব পরিকল্পনার প্রমাণ দেয়। একটি কথাই বিএনপি তরফ থেকে প্রায় সময় বলা হয় যে, তাদের নেতৃবৃন্দরা যখন কোন ঘটনায় জড়িত নয় তবুও তাদেরকে মামলায় জড়ানো হয়। গতকাল দেখা যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন নেতার নেতৃত্বে এই মিছিল এসেছিল এবং সেখান থেকে এর সূত্রপাত হয়। এরমধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধের একটি বিষয় সামনে চলে আসে। এটা স্পষ্ট যে পুলিশের ওপর আক্রমণ এটা তাদের পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। পুলিশ এখানে চরম ধৈর্য দেখিয়েছে আমরা পুলিশের এই ধৈর্যের প্রশংসা করি এবং আমরা মনে করি নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ রাখতে শুধুমাত্র বিএনপিকে নয় সবক্ষেত্রে পুলিশ স্বাভাবিকভাবে আইন-শৃংঙ্খলা বজায় রাখতে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।
×