ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

উবাচ

দোয়া করবেন ম্যাডাম স্টাফ রিপোর্টার ॥ দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রণালয় বণ্টন করছেন। কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার নবম বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে খালেদা জিয়া বলেন, তাকে জেলে রেখে এবং তাদের নেতাকর্মীদের আদালতে ব্যস্ত রেখে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে না। বেগম জিয়ার ওই বক্তব্যের সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বলেন, এখানে নির্বাচন সংক্রান্ত কিছুতে আসেননি, শুনানির জন্য এসেছেন। শুনানির এক পর্যায়ে খালেদার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রতিপক্ষ কাজলকে কটাক্ষ করে বলেন, তাকে প্রতিমন্ত্রী করে এ মামলা পরিচালনার পুরস্কার দেবে আওয়ামী লীগ। তার কথা টেনে খালেদা জিয়া বলেন, না, তাকে ফুল মন্ত্রী করে দেবে। তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজল সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ম্যাডাম, আমার জন্য দোয়া করবেন। এবার খালেদার মুক্তির জন্য স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাহমুদুর রহমান মান্না গত সপ্তাহে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য লড়তে লড়তে মরতে চেয়েছিলেন। এক সপ্তাহ পরে এসে বলছেন তা মরবেন না ভোট চাইবেন। মান্নার ধ্যান জ্ঞান এখন বিএনপি-জামায়াত জোটের নেত্রী খালেদা জিয়া। তিনি খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য কিছু ভাবতে পারছেন না। মান্না বলেন, সরকার জানত না ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হবে। ওরা জানত না ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেবে। ওরা জানত না যে আমরা নির্বাচন করব, তোমাদের চ্যালেঞ্জ করছি নির্বাচনের মাঠে। ওরা মনে করেছিল, বেগম জিয়াকে জেলে নিয়ে গেছে, বিএনপির লোকজন রাগে বলবে, ভোটই করব না। কোন কোন নেতা বক্তৃতা দিয়েছেন বেগম জিয়াকে জেলে রেখে ভোটই করব না। আমরা বলছি, উনাকে জেলে রেখেই ভোট করব। ভোটে জিতেই খালেদাকে ছাড়িয়ে আনা হবে বলেও মনে করেন মান্না। রিজভীর লাঠিয়াল স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আগে সংবাদ সম্মেলন করেই সময় কাটাতেন আর এখন সময় কাটে ফেসবুক চালিয়ে। নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে হামলা করেছে। ফেসবুকে বিকেল নাগাদ এক ছবি এলো এই ছেলে ছাত্রলীগের। কোন কোন সংবাদ মাধ্যম যাচাই-বাছাই না করেই সেই ছবি ছেপে দিল। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে দেখল ওই ছেলে ছাত্রদলের পল্টন শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। কিন্তু কে শোনে কার কথা। শেষ পর্যন্ত মার্ক জকারবার্গকে নিয়েই আছেন রিজভী। তিনি বলছেন, এরা আওয়ামী লীগের মানুষ। হামলা হয়েছে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে। বিষয়টি একদিন পর পানির মতোই পরিষ্কার। পল্টন কেলেঙ্কারির সঙ্গে যারা জড়িত তারা সবাই বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। তারা যদি ওবায়দুল কাদেরের কথায় হামলা করে তাহলে রিজভীর রাজনীতি থাকে কোথায়। বিএনপির মহিলা দলের এক লাঠিয়াল নেত্রীর ছবি প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলছেন, এ হামলা সরকার তাদের এজেন্ট দিয়ে করিয়েছে কিন্তু বিএনপির ওই লাঠিয়াল নেত্রীর হাতে লাঠি কে ধরিয়ে দিল সেই উত্তর তিনি দিতে পারেননি।
×