ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

লোকনাট্য গোষ্ঠীর ‘কুরুক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ’ যাত্রাপালার উদ্বোধনী মঞ্চায়ন

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

লোকনাট্য গোষ্ঠীর ‘কুরুক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ’ যাত্রাপালার উদ্বোধনী মঞ্চায়ন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মহাভারতে কৌরব ও পা-বের যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণের অপূর্ব মাহাত্ম্যের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি একদিকে যেমন শান্তির দূত, অপরদিকে ধর্মযুদ্ধের অনন্য রূপকার। তার সুনিপুণ যুদ্ধনীতি এবং কৌশলের মধ্য দিয়েই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে ধর্ম জয় নিশ্চিত হয়েছে। মহাভারতের এই কাহিনী অবলম্বনে সত্যপ্রকাশ দত্ত লিখেছেন ‘কুরুক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ’ যাত্রাপালা। লোকনাট্য গোষ্ঠী প্রযোজিত এ যাত্রাপালার উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয় শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে দলের আয়োজনে নাট্যোৎসবের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। পালাটি সম্পাদনা ও পরিমার্জন করেছেন শ্যামল দত্ত। এবং নির্দেশনা দিয়েছেন তাপস সরকার। পালার কাহিনীতে ধর্মীয় বিষয়বস্তুর পাশাপাশি মানবিকতার দিকটি প্রাঞ্জল ভাষায় ও সুচারু অভিনয়ে তুলে ধরা হয়েছে। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিয়াকত আলী ভূইয়া, বিল্পব মাতব্বর, তাপস সরকার, বিষ্ণুপদ চৌধুরী, এ্যাডভোকেট এ রহিম, শংকর ধর, ফণীভূষণ বিশ্বাস, চন্দনা সরকার, পঙ্কজ চক্রবর্তী, শান্তনু সাহা, রেখা গুন, মোঃ বাচ্চু খান, সুবর্ণা পাল প্রমুখ। পালার নেপথ্য ও কারিগরিতে রয়েছেন প্রবীর মিত্র, গুরুদাস মাস্টার, নয়ন শেখ, গোবিন্দ গৌতম প্রমুখ। গান, কবিতা আর নৃত্যের ছন্দে শিল্পকলা একাডেমিতে নবান্নোৎসব উদ্যাপিত ॥ গান, কবিতা আর নৃত্যের মধ্য দিয়ে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে বৃহস্পতিবার বিকেলে উদ্যাপন করা হয় নবান্নোৎসব। এতে আলোচনায় অংশ নেন কবি আসাদ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। শুরুতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় ‘ধন ধান্য পুষ্প ভরা’ ও ‘আবার জমবে মেলা বটতলা’ গান দুটি। একক কণ্ঠে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শামা রহমান, ইয়াসমিন মুশতারী, অনিমা রায়, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি, চন্দনা মজুমদার, আবুবকর সিদ্দিক, মুনির বাউলা, কাঙ্গালিনী সুফিয়া, অনিমা মুক্তি গোমেজ ও আজগর আলিম। তাদের কণ্ঠে গীত হয় ‘হায় হেমন্ত লক্ষ্মী’, ‘হেমন্তে কোন বসন্তের বাণী’, ‘হেমন্তিকা এসো এসো’, ‘মানুষ ছাড়া ক্ষ্যাপারে তুই’সহ রবীন্দ্র, নজরুল ও লোকগান। অনুষ্ঠানে একক আবৃত্তি করেন শিমুল মোস্তফা। এছাড়া ফারহানা চৌধুরী বেবীর পরিচালনায় ‘কাটি ধান’, ‘কল কল ছল ছল’, ‘আইজ কেন মোর প্রাণ সজনী গো’, ‘ও মুই না শুনুম’ ও ‘হেই সামালো’, দীপা খন্দকারের পরিচালনায় ‘নতুন ধানের চিড়া কুটি’, ‘সোনার বান্দাইলা নাও’ ও ‘ও ধান বানিরে’ এবং গোলাম মোস্তফার পরিচালনায় ‘জলে গিয়েছিলাম সই’ ও ‘ইস্টি কুটুম ইস্টি কুটুম’ গানের সঙ্গে ছিল সমবেত নৃত্য।
×