ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাদের পলাশ

সওগাত সম্পাদক ॥ মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনের গ্রামের বাড়ি

প্রকাশিত: ০৭:৫০, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

সওগাত সম্পাদক ॥ মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীনের গ্রামের বাড়ি

চাঁদপুরের ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর তীর ঘেষা পাইকারদী গ্রাম। এ গ্রামেই সওগাত সম্পাদক মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন ১৮৮৮ সালে পৃথিবীতে প্রথমবার স্বাস-প্রশ্বাস নিয়েছিলেন। জমিদার বা বনিয়াদী পরিবার না হওয়ায় অন্যসব মানুষের মতোই সরল আর সাধারণভাবেই কেটেছে শিশু বেলার দিন। ধূলিময় উঠোন, দুর্বাঘাসের গালিছা বিছানো মেঠপথ আর সবুজ বৃক্ষরাজির সঙ্গে কেটেছে শৈশব। নাসিরউদ্দীনের শৈশবেই পাইকারদী গ্রাম নদীতে বিলীন হয়। তারপর পাশের চালতাতলী গ্রামে বাড়ি স্থানান্তর করা হয়। কৈশোরের শেষ যৌবনের প্রারম্ভে চালতাতলী গ্রাম মাড়ালেও তারপর স্বপ্ন নিয়ে ছুটেছেন ঢাকা-কলকাতায়। চালতাতলী গ্রামের বাড়িটি ছিল একদম সাদামাটা। কিন্তু বড়। বাড়ি জুড়ে ছিল বিবিধ গাছের সমারোহ। টিনের ঘর, গোয়াল ঘর, বিশালাকৃতির পুকুর। লেখক শাহীন আক্তারের সঙ্গে দেয়া এক স্বাক্ষাতকারে নাসিরউদ্দীনের বয়ানে ভেসে উঠে পরিবার ও গ্রামের দৃশ্যপট। ‘আমাদের ছোট রেখে আব্বা মারা যান। বড় ছেলে আমি। সংসারের অভিজ্ঞতা নেই। তখন চিন্তা কী করব, সংসার কীভাবে চালাব। মা বাইরে যেতেন না। জমিজমাও সামান্য ছিল, তাতে চলত না। তখন জাহাজ ঘাটে কাজ নিই। ২০ টাকা বেতন। টিকিট জমা রাখা আর বিক্রি করা। সকালে আসি। রাতে যাই। বাড়িতেই খাওয়া-দাওয়া করতাম। কাজ না থাকলে নদীর দৃশ্য দেখতাম। ভাল লাগত। আরো ছেলে-পেলেরা নদীর পাড়ে গিয়ে আড্ডা মারতো। পালতোলা নৌকা, সুন্দর দৃশ্য।’ সাধারণ পরিবার বলে গ্রামের অন্য কারও বিশেষ দৃষ্টি না পড়াই স্বাভাবিক। তাই চালতাতলী গ্রাম তথা নাসিরউদ্দীনের বাড়ির বিশদ বর্ণনা তুলে ধরা কঠিন। অবশ্য কেইবা জানত নিজ কর্মগুণে এ উপমহাদেশের আকাশ জুড়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে জ্বলে উঠবেন নাসিরউদ্দীন। এত এত সুনাম কুড়াবেন। উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম তবে অসাম্প্রদায়িক সম্পদকের তকমা গায়ে মাখবেন। যখন বহু ঘাতপ্রতিঘাত আর দেশের প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠছেন ততদিনে চালতাতলী গ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন সওগাত সম্পাদক নাছিরউদ্দীন। তারপর ধীরে ধীরে চালতাতলী গ্রাম তলিয়ে গেছে মেঘনার গহীন বুকে। দীর্ঘদিন পর নদীতে বিলীন হওয়া চালতাতলী গ্রাম এখন চর হয়ে জেগেছে। প্রশাসন পাইকারদী গ্রামের প্রায় সব ভূমি গরিবদের মাঝে বন্দোবস্ত করে দিয়েছে। গুক্ষুদী গ্রামে ছিল পার্শ্ববর্তী গোবিন্দা এলাকার বাসিন্দা মিন্নত আলী গাজীর শশুরবাড়ি। মিন্নত আলী গাজীর বর্তমানে এক শ’ বিশ বছর বয়স। চালতাতলী গ্রামের ওপর দিয়ে তিনি শশুর বাড়ি গুক্ষুদী গ্রামে যেতেন। এ গ্রামের উত্তর দিকে ছিল গুক্ষুদী গ্রাম। পশ্চিমে মেঘনা নদী। গুক্ষুদী গ্রামটিও অনেক আগেই তালিয়ে গেছে মেঘনা নদীতে। ওই গ্রামও চর হয়ে জেগে উঠেছে। ছোট বড় কোন বৃক্ষ নেই, বাড়ি নেই, ঘর নেই এমনকি জনবসতিও নেই। ২০১৮ সালের ২৪ সেপ্টম্বর সোমবার সন্ধ্যারাতে হরিণা ফেরিঘাটে একটি দোকানে বসে মিন্নত আলী গাজী জানান, চালতাতলী গ্রামের ওপর দিয়ে গেলেও কখনো নাছিরউদ্দীন সাহেবের বাড়িতে যাওয়া হয়নি। কথাও হয়নি কখনো। তবে বাড়িটির দৃশ্যপট যতদূর মনে পড়ে, বাড়িটি ছিল অনেক বড়। শুধু চালতাতলী নয়, এ গ্রামের ঠিক পশ্চিম উত্তর দিকে ছিল পাইকারদী গ্রাম। সে গ্রামেও ছিল তাদের আরেকটি বাড়ি। ওই বাড়িটিও নিয়ে গেছে রাক্ষুসী মেঘনা। বয়সের ভারে আর বেশি কিছু বলতে পারলেন না মিন্নত আলী গাজী। খুব বেশি মনেও করতে পারলেন না। বয়সের ভারে কথার মাঝে বারবার খেই হারিয়ে ফেললেন। ভুলে গেলেন অনেক স্মৃতি কথা। তাই বিকল্প বয়জোষ্ঠ্য কাউকে খোঁজা জরুরী হয়ে পড়ে। তখন রাত দশটা। খোঁজ নিয়ে গোবিন্দা এলাকার আবদুল মতিন ছৈয়াল নামে এক বৃদ্ধকে পাওয়া গেল। তার নিকট নাসিরউদ্দীনের পৈত্রিক ভিটা নিয়ে জানা গেল আরও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। নাসিরউদ্দীন ছিলেন আবদুল মতিন ছৈয়ালের জেঠা। মূলত আপন জেঠা নয়। সাবেক সংসদ সদস্য এস এ সুলতান টিটু মতিন ছৈয়ালের ফুফাত ভাই। এস এ সুলতান টিটুর জেঠা হলেন নাসিরউদ্দীন। সে হিসেবে মতিন ছৈয়ালেও জেঠা। আত্মীয়তার কারণে প্রায় দিনেই যাওয়া হতো নাছিরউদ্দীনের বাড়িতে। তার বর্ণনায়, বাড়িতে ৪-৫টি ঘর ছিল। অবশ্য সবগুলো ঘরের চেয়ে নাসিরউদ্দীন সাহেবের ঘরটিই ছিল নামকায়েস্ত ভালো। টিনের চৌকাঠ ঘর। বাড়িতে মা আর ছোট তিন ভাই থাকতেন। চার ভাইয়ের মধ্যে নাসিরউদ্দিন ছিলেন সবার বড়। তারপর একে একে আবুল হোসেন বেপারী, নওয়াব আলী বেপারী এবং সিদ্দিক আলী বেপারী। তখন মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন অবস্থান করেন ঢাকা এবং কলকাতায়। বাংলার শিল্প সাহিত্য তার হাত ধরেই তৈরি হয়েছিল জাগরণ। যার ধারাবাহিকতা আজও বিদ্যমান। মুসলাদের মাঝে সাহিত্য চর্চার যে বীজ বপন করে গেছেন তা আজ শাখা প্রশাখা গজিয়েছে বহুগুণে। মুসলাম লেখক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় গ্রামে আর ফেরা হয়নি তার। তাই বাড়িতে কখনো তার সঙ্গে দেখা হয়নি মতিন ছৈয়ালের। অবশ্য মতিন ছৈয়ালের চাচা বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করতেন। তিনি মতিন ছৈয়ালকে বেশ কয়েকদিন নাসিরউদ্দীনের বাসায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সে সময় তিনি জানতে চাইতেন, আমরা সবাই কেমন আছি। গ্রামের সবাই ভালো আছে কিনা ? এমন প্রশ্ন করলে শুধু বলতাম, সবাই ভালো আছে। বাসায় তিনি সাদা গেঞ্জি আর লুঙ্গি পড়তেন। খুবই ওমায়িক মানুষ ছিলেন তিনি। যদিও খুব বেশি মেশার সুযোগ হয়ে উঠেনি বলছিলেন মতিন ছৈয়াল। মতিন ছৈয়ালের মাধ্যমেই জানা গেল বর্তমানে নাছিরউদ্দীনের বাড়ি গোবিন্দা বেপারী বাড়ি। এ বাড়িটিতে নাসিরউদ্দীনের ভাতিজা সিদ্দিক আলী বেপারী বসবাস করছেন। তারসঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও স্বাক্ষাত করা সম্ভব হয়ে উঠছিল না। ২৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যা নামার আগের বেপারী বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া গেল না। গ্রামের মূল পাকা সড়কের সঙ্গেই বাড়িটি। এ সড়কটি ২০০২ সালে সওগাত সম্পাদক নাসিরউদ্দীনের নামে নামকরণ করা হয়। রাস্তা থেকে বাড়ির ভেতরে যেতে হয় পঞ্চাশ কদম এগিয়ে। গাছ-গাছালিতে ভরা বাড়িটির সামনে তথা দক্ষিণ পাশে একটি বড় কাচারি ঘর। দেখে মনে হয় অন্তত পাঁচ-ছয় দশক আগের পুরানো। অযতœ অবহেলায় পড়ে আছে। কাচারি ঘর থেকে এক শ’ হাত দক্ষিণ পূর্ব দিকে একটি ব্রয়লার মুরগির খামার। খামারটিও বন্ধ রয়েছে। কাউকে না দেখে বাড়ির ভেতর প্রবেশ না করেই বাহিরে বেরিয়ে আসতে হলো। গ্রামের মূল পাকা সড়কে উঠার পর একজন বয়বৃদ্ধ লোকের কাছে বাড়িতে কেউ থাকেন কিনা জানতে চাইলে তিনি দক্ষিণ দিকে হাত প্রসারিত করে বলেন, ওই যে সামনেই তো সিদ্দিক আলী বেপারীর ছেলে হেঁটে যাচ্ছে। ততক্ষণে পথের বাঁকে তিনি চোখের আড়াল হয়ে গেছেন। দ্রুত মোটরসাইকেল স্টার্ট করে প্রায় দুই শ’ মিটার দূরে একজন ভদ্রলোক পেয়ে যাই। তিনি মুঠোফোনে কথা বলছেন। এর ফাঁকেই জানতে চাই, আপনি নাসিরউদ্দীন সাহেবের কিছু হন ? তিনি ফোনে কথা বলা অবস্থাতেই হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লেন। অবশ্য অপরপ্রান্তে থাকা লোকটিকে পরে কথা বলবে বলে পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেন। জানতে চাইলেন আমি কে ? আমার পরিচয় দিতেই, তিনি খুব সাদরে বাড়ি যেতে আহ্বান করলেন। তার নাম সেলিম সরোয়ার। তিনি নাসিরউদ্দীনের ভাতিজা সিদ্দিক আলী বেপারির ছেলে। দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর প্রবাসে কাটিয়ে এ বাড়িতেই থাকেন। পরিবারের সবাই রাজধানী ঢাকায় থাকেন। বাড়িতে প্রবেশ করতে করতে সেলিম সরোয়ার বলেন, এ বাড়িটি ৩৫ একর। অর্ধিক নাসিরউদ্দীন দাদার। অবশ্য অনেক বছর আগে নিজেদের পরিবারের লোকজনের কাছে এ বাড়ির জায়গা বিক্রি করে দিয়েছেন। এখানের জমি বিক্রি করে তিনি ব্রাক্ষ্মণসাখুয়া এলাকায় মেয়ে নূরজাহান বেগমের নামে ১৬ শতাংশ জমি কিনেন। একটি চক্র দাদুকে পরামর্শ দিয়েছিলেন এ বাড়িটিও নদীতে ভেঙ্গে নিয়ে যাবে। এবং ব্রাক্ষ্মণসাখুয়ায় কেনা জমিতে ক্লাব, লাইব্রেরিসহ সামাজিক প্রতিষ্ঠান করা হবে। কিন্তু শেষ অবদি আর করা হয়নি। এখনও সে সম্পত্তি পড়ে আছে। সেলিম সরোয়ার আরও জানালেন, তার বাবা সিদ্দিক আলী বেপারী ঢাকায় আছেন। অসুস্থ মানুষ সবসময় ডাক্তারের পরামর্শে চলতে হয়। বাড়িতে আমি একা থাকি। আমার এক অসুস্থ চাচাও থাকেন। তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করেছিলেন। আমার জীবদ্দশায় গোবিন্দা বেপারী বাড়িতে নাসিরউদ্দীন দাদুকে কখনো আসেতে দেখিনি। এর আগে এসেছেন কিনা জানা নেই। তবে নাসিরউদ্দীনের বাসায় থেকে আমার বড় ভাই এম এ রাজ্জাক রাজু ও সাবেক সংসদ সদস্য এস এ সুলতান টিটু লেখা পড়া করেছেন। তারা অনেক কথা বলতে পারবেন। আমার চেয়ে তাদের স্মৃতি সমৃদ্ধ। তবে আমি যখনি দাদার বাসায় যেতাম আমাকে খুব আদর করতেন। মাথায় হাত বুলিয়ে বলতেন, তোমরা আসলে ভালো লাগে।’ এক শুক্রবারের কথা। নারিন্দা শরৎগুপ্ত রোডের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আমার হাতে একটি কৌটা ধরিয়ে দিয়ে বলেন, ‘যাও বাড়ির সামনে গিয়ে দাঁড়াও। ফকির মেসকিন আসবে। তাদের দুটি দুটি করে দিয়ে দিও।’ কৌটায় কি আছে জানতে চাইনি। খুলে দেখি ভাংতি পয়সা। আমি খুব আনন্দের সঙ্গে সবগুলো পয়সা ভিক্ষুকদের দিয়ে দেই। তারপর কথা হলো আরেক নাতি ইউসুফ আলী হিমুর সঙ্গে। তিনি ব্রাক্ষ্মণসাখুয়া থাকেন। নাসিরউদ্দীনের ক্রয়কৃত সম্পত্তির পাশে তিনি বাড়ি করেছেন। এখানেই তিনি পরিবারসমতে বসবাস করছেন। নাতি ইউসুফ আলী হিমুর বর্ণনায় চালতাতলী গ্রামের বাড়ির বর্ণনা দেন এভাবে। বাড়িতে চারটি ঘর ছিল। নাসিরউদ্দীনের ঘরটি ছিল পশ্চিম ভিটি। চৌচালা টিনের ঘর। নাসিরউদ্দীনের অন্যান্য ছোট ভাইয়ের ঘর ছিল, ক্রমান্বয়ে সিদ্দিক আলী বেপারী দক্ষিণ পাশ, নওয়াব আলী পূর্ব পাশ এবং আবুল হোসেন উত্তর পাশ। বাড়ির পূর্ব পাশে ৫-৬ একরের একটি দিঘি ছিল। পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে কাঁচাড়ি ঘর। ১৯৫৮ সালের পর থেকে নাসিরউদ্দীন আর গ্রামে ফিরে আসেননি। নাসিরউদ্দীনের ঢাকার বাড়িতে অবস্থান করে বেশ কয়েক বছর পড়ালেখা করেছেন নাতি এম এ রাজ্জাক রাজু। ৩৮ শরৎগুপ্ত রোডের বাসায় ১৯৮২-৮৫ সাল পর্যন্ত পড়া করেন। এরপর চাকরি হওয়া পর্যন্ত প্রতি মাসে দেড় শ’ টাকা করে দিতেন। আর বই কিনে দিতেন মেয়ে নুরজাহান বেগম। ঢাকা আলাপ হয় এম এ রাজ্জাকের সঙ্গে। এম এ রাজ্জাক বলেন, ওনার বাড়িটা অনেক বড়তো। আমি একটা রুমে থাকতাম। কিছুর প্রয়োজন হলে চাঁনপুইরা বলে ডাক দিতো। বাড়ি থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টায় বের হতেন। তিনি অনেক লেখাপড়া করতেন। রাত তিনটাও উঠে পড়তেন। গভীর রাতে টাইপ করতেন। দাদু অনেক ঠা-া মেজাজের লোক ছিলেন। দাদুকে নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি আছে। সুযোগ পেলে লিখব। তিনিও গোবিন্দার বাড়ি ব্যাতীত পূর্বের পাইকারদী বা চালতাতলী গ্রাম সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন ধারণা দিতে পারলেন না। তারপর হানারচর ইউনয়ন ভূমি অফিস, লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসেও নাসিরউদ্দীনের গ্রামের বাড়ির সম্পর্কে বিশেষ কোন তথ্য পাওয়া গেল না। সর্বশেষ চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোসাম্মৎ হোসনেয়ারা বেগম জানান, ১২৫ নম্বর পাইকারদী মৌজার সকল সম্পত্তি এখন খাস। ইতোমধ্যে সরকারীভাবে অধিকাংশ জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। আর ২০৪ নম্বর চালতাতলী মৌজা ৩১৪টি খতিয়ান থাকলেও নাসিরউদ্দীনের নামে কোন রেকর্ডীয় সম্পত্তি পাওয়া যায়নি। মূলত এ দু’মৌজার সকল সম্পত্তি নদীতে বিলীন হয়ে চর জেগেছে। তাই ঠিক দুটি গ্রামে নাসিরউদ্দীনের গ্রামের বাড়ির কোন চিহ্ন পাওয়ার সুযোগ নেই। তাই সওগাত সম্পাদকের শৈশব কৈশর কাটানো গ্রাম শুধু কল্পনায় এঁকে নিতে হবে।
×