ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মানুষের জীবনে চাঁদের প্রভাব!

প্রকাশিত: ০৮:০১, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

মানুষের জীবনে চাঁদের প্রভাব!

যারা জ্যোতিষবিদ্যায় বিশ্বাস করেন, তাদের কাছে চাঁদের অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মানুষের ওপর চন্দ্রকলার কোন প্রভাব আছে কি? বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এখনও এর কোন অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মানুষের ওপর পূর্ণিমার চাঁদের কোন প্রভাব পড়ে কি? ঘুমে ব্যাঘাত, আরও বেশি দুর্ঘটনা, আত্মহত্যা ও অপরাধের ঘটনার সঙ্গে এর সম্পর্ক আছে কি? মানুষের আচরণের ওপর পূর্ণিমার প্রভাব আছে বলে বিশ্বাস করেন জার্মানির ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ। এ বিষয় শলাপরামর্শকে কেন্দ্র করে এমনকি ইন্টারনেটেও কোটি কোটি ইউরোর ব্যবসা চলছে। চুল কাটা, গাছ লাগানো, অপারেশনÑ চাঁদের সঠিক অবস্থান অনুযায়ী নাকি সবকিছু করা উচিত। তবে এ ধরনের পরামর্শ প্রায়ই পরস্পরবিরোধী হয়। এমনকি অরগ্যানিক পদ্ধতিতে চাষবাসের ক্ষেত্রেও পরামর্শ দেয়া হয়। একটি সূত্র বলছে, শুক্লপক্ষে, অন্য একটি বলছে পূর্ণিমার সময় মাঠে বীজ বপন করলে ভাল ফল পাওয়া যায়? তবে এই ধরনের পরামর্শের কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। পূর্ণিমার সময় দুর্ঘটনা ও অপরাধের ঘটনা বেড়ে যায়, এমন দাবিরও কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি। তবে পূর্ণিমার সময় নাকি সত্যি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। একটি গবেষণা অনুযায়ী, এ সময় ঘুম আসতে ৫ মিনিট বেশি সময় লাগে এবং মোট ঘুমের সময় ২০ মিনিট কমে যায়। তবে এই গবেষণার ফল নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ এক্ষেত্রে যাদের পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল, বেশি বয়সের কারণে এমনিতেই তাঁদের ঘুম নিয়ে সমস্যা রয়েছে। নারীদের ঋতুচক্রও চন্দ্রকলার সঙ্গে খাপ খায় না। কারণ, ঋতুচক্রের কোন নির্ধারিত সময়কাল নেই। অন্যদিকে প্রতি ২৯ দশমিক ৫ দিন পর পর পূর্ণিমা আসে। মোটকথা, মানুষের ওপর চাঁদের প্রভাব আছে কিনা, বিজ্ঞান এখনও তার কোন স্পষ্ট উত্তর পায়নি। তা সত্ত্বেও অনেকে চাঁদের ক্ষমতায় বিশ্বাস করেন, চাঁদকে ভালবাসেন, শ্রদ্ধা করেন। তাতে কিছু এসে যায় না। বিজ্ঞান সব কিংবদন্তির ব্যাখ্যা না দিলেই বোধহয় ভাল হয়। সূত্র : ডয়েচ ভেলে
×