ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গয়েশ্বরের পুত্রবধূ গ্রেফতার॥ বেবী নাজনীন আটকের পর মুক্ত

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

 গয়েশ্বরের পুত্রবধূ গ্রেফতার॥ বেবী নাজনীন আটকের পর মুক্ত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নয়া পল্টনে সংঘর্ষের মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ্যাডভোকেট নিপুন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়ের পুত্রবধূ এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী নিতাই রায় চৌধুরীর মেয়ে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিপুনের সঙ্গে কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীনকে আটক করা হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিএনপিতে সক্রিয় বেবী নাজনীন একাদশ সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী। বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ছিলেন তিনি। বুধবারের সংঘর্ষের সময় পুলিশের ওপর হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগের তিনটি মামলায় ইতোমধ্যে ৬৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পুলিশ নিপুন রায়কে গ্রেফতার করে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নয়া পল্টন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পুলিশ বেবী নাজনীন ও নিপুন রায়কে ধরে নিয়ে গেছে। বুধবারের সংঘর্ষের সময় লাঠিহাতে নিপুনের ছবি ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে এসেছে। পুলিশের করা মামলায়ও তিনি আসামি। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (পূর্ব) মোঃ নুরুন্নবী বলেন, নিপুন রায়কে আমরা এ্যারেস্ট করছি। তিনি বুধবারের ঘটনার মামলার আসামি। বেবী নাজনীনকে আটকের খবরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা তাকে এ্যারেস্ট করিনি। পুলিশের অন্য কোন দল তাকে গ্রেফতার করেছে কি না-জানতে চাইলে উপকমিশনার নুরুন্নবী বলেন, না, কেউই করেনি। এটা গুজব। মহানগর ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেনও বলেন, শুধু নিপুন রায়কেই গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের করা তিনটি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীও আসামি। আসামির তালিকায় থাকা অন্য নেতারা হলেন মির্জা আব্বাসের স্ত্রী ও জাতীয় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান রঞ্জন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কফিল উদ্দিন, দলটির মিডিয়া উইংয়ের দায়িত্বে থাকা সামসুদ্দিন দিদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, হাবিবুর রশিদ হাবিব, যাত্রাবাড়ী থানার সভাপতি নবীউল্লাহ নবী। এছাড়া যুবদলের রফিকুল ইসলাম মজনু, ছাত্রদলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন ও আরিফা সুলতানা রুমাসহ প্রায় দুশ জনকে আসামি করা হয়েছে।
×