ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কম্বোডিয়ায় গণহত্যার দায়ে দুই খেমার রুজ নেতা দোষী সাব্যস্ত

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

কম্বোডিয়ায় গণহত্যার দায়ে দুই খেমার রুজ নেতা দোষী সাব্যস্ত

অনলাইন ডেস্ক ॥ গণহত্যার দায়ে কম্বোডিয়ার দুই খেমার রুজ নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। জাতিসংঘ সমর্থিত এক ট্রাইব্যুনালে তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে আগে থেকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন তারা। এবার গণহত্যার দায়ে নতুন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো। পল পটের নেতৃত্বে ১৯৭৫ সালের ১৭ এপ্রিল সেনাবাহিনীকে হটিয়ে খেমার রুজ গেরিলারা তৎকালীন কম্পুচিয়ার রাজধানী নমপেন দখল করে নেয়। নমপেন দখল করে পল পট সরকার কৃষি সংস্কারের নামে ভয়ংকর হত্যাযজ্ঞ চালায়। ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত খেমার রুজের শাসনামলে কম্বোডিয়ায় ২০ লাখ মানুষ নির্যাতন ও অনাহারে মারা যান এবং কাউকে কাউকে দেশের শত্রু আখ্যা দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কম্বোডিয়ার মাওবাদী সাবেক শাসক পল পটের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন শুক্রবার গণহত্যার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত দুই খেমার রুজ নেতা। তাদের একজন নুওন চে (৯২), তিনি ছিলেন পল পটের ডেপুটি। আর অন্যজন হলেন দেশটির তৎকালীন রাষ্ট্রপ্রধান খিউ সাম্ফান (৮৭)। খেমার রুজের শাসনামলে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে ২০১৪ সাল থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন নুওন চে ও খিউ সাম্ফান। চাম মুসলিম ও ভিয়েতনামি জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটনের অভিযোগে কম্বোডিয়ায় জাতিসংঘ সমর্থিত এক ট্রাইব্যুনালে তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) তাদেরকে গণহত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে আবারও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি নিল নোন এ রায় ঘোষণা করেন। খেমার রুজ সরকারের নির্যাতনের শিকার মানুষরা তখন আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত ছিলেন। এ প্রথম কোনও খেমার রুজ নেতাকে গণহত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হলো। গণহত্যার পাশাপাশি জোরপূর্বক বিয়ে, ধর্ষণ ও সাম্প্রদায়িক নির্যাতনের অভিযোগেও তাদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
×