ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তর কোরিয়ার অত্যাধুনিক গোপন অস্ত্রের সফল পরীক্ষা

প্রকাশিত: ০১:৫৪, ১৬ নভেম্বর ২০১৮

উত্তর কোরিয়ার অত্যাধুনিক গোপন অস্ত্রের সফল পরীক্ষা

অনলাইন ডেস্ক ॥ অত্যাধুনিক কৌশলগত যুদ্ধাস্ত্র। আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার অ্যাকাডেমি অব ডিফেন্স সায়েন্সেস-এ সফল পরীক্ষার পর এই নামেই গোপন অস্ত্রটিকে ডাকছে উত্তর কোরিয়ায় সরকারি সংবাদ সংস্থা। হাজির ছিলেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। যুদ্ধাস্ত্রটির ক্ষমতা দেখার পর নিজের উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি তিনি। সামরিক অস্ত্রের দুনিয়ায় উত্তর কোরিয়াকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য দেশের বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি। যদিও এটি কী অস্ত্র, তা নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছে না উত্তর কোরিয়া। আর তাই নিয়েই শুরু হয়েছে সন্দেহ আর সংশয়ের বাতাবরণ, যার প্রভাব পড়তে পারে বিশ্ব রাজনীতিতেও। আরও অবনতি হতে পারে আমেরিকা আর উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের। যদিও ঠিক কী গোপন অস্ত্রের পরীক্ষা, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। অনেকেই মনে করছেন, এটি ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, অ্যান্টি এয়ার গান হতে পারে। দক্ষিণ কোরিয়ার অস্ত্র বিশেষজ্ঞদের মতে কৌশলগত অস্ত্র বলতে আসলে সেই যুদ্ধাস্ত্র, যা যে কোনও সময় হামলা চালাতে পারে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সহ দক্ষিণ কোরিয়ার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিকে। গত নবেম্বরে উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্রবহণে সক্ষম আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা করার পরই টনক নড়েছিল সারা দুনিয়ার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আওতায় চলে আসতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই পিয়ং ইয়ং-এর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল আমেরিকা। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের ভাণ্ডার কমাতে ঐতিহাসিক বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। এর পরই স্বেচ্ছায় পরমাণু অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। যদিও ইতিমধ্যেই ভেস্তে গিয়েছে আমেরিকা- উত্তর কোরিয়া দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। গত কয়েক দিন ধরেই ফের পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষার লাগাতার হুঁশিয়ারি দিচ্ছিল পিয়ং ইয়ং। তার পরই এই ‘অত্যাধুনিক কৌশলগত যুদ্ধাস্ত্র’-র সফল পরীক্ষার খবরে নিশ্চিত ভাবেই উদ্বেগ বাড়ল আমেরিকা ও তার মিত্র দেশ দক্ষিণ আমেরিকার। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যম সূত্রে অবশ্য জানানো হচ্ছে, এই পরীক্ষাই প্রথম নয়, এই মাসেই একাধিক রকেট উৎক্ষেপণে সক্ষম লঞ্চারের পরীক্ষাও করেছে উত্তর কোরিয়া। এই ব্যবস্থা বিপজ্জনক দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য কারণ যে কোনও মুহূর্তে তা আঘাত হানতে পারে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলে। দক্ষিণ আমেরিকার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিও তাহলে চলে যাবে উত্তর কোরিয়ার রকেটের আওতায়। স্যাটেলাইট ইমেজেও দেখা যাচ্ছে, লক্ষ্য হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিওলের একটি মডেলকেই ব্যবহার করছে উত্তর কোরিয়া। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×