ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘জায়গীর মাস্টার’

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

 নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘জায়গীর মাস্টার’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাভিশন চ্যানেলে সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার রাত ৯-৪৫ মিনিটে প্রচার হচ্ছে দীর্ঘ ধারাবাহিক নাটক ‘জায়গীর মাস্টার’। নাটকটি রচনার পাশাপাশি পরিচালনা করছেন জনপ্রিয় নির্মাতা এস এ হক অলিক। ‘জায়গীর মাস্টার’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন এটিএম শামসুজ্জামান, সালাউদ্দিন লাভলু, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, দিলারা জামান, মৌসুমী হামিদ, নাদিয়া, স্মরণ সাহা, তানাজ রিয়াসহ আরও অনেকে। নাটকটির চিত্রগ্রহণ করেছেন গোলাম মোস্তফা বাচ্চু, সম্পাদনা ফেরদৌস হোসেন, সহকারী পরিচালক মোহানী মানিক, মাহতাব তাব্বু। ‘জায়গীর মাস্টার’ নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে মেহেরপুর গ্রামের বংশীয় প্রতাপশালী ও প্রভাবশালী পরিবার মোল্লা পরিবার। সেই পরিবারের কর্তা আজগর মোল্লা। আজগর মোল্লার দুই কন্যা। আলতা বানু ও মালকা বানু। আর স্ত্রী খুনশুটি বেগম। অর্থ-বিত্ত, প্রভাব, প্রতিপত্তির কোন অভাব নেই এই পরিবারে। অভাব শুধু শিক্ষার। আলতা বানু চতুর্থবারের মতো এসএসসি পরীক্ষা দেবে। এর আগে তিনবার ফেল করার কারণে গ্রামজুড়ে হাসি-ঠাট্টার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় আলতা বানু। তাই পাস করার আপ্রাণ চেষ্টায় আলতা বানু বিভোর। কিন্তু বইয়ের পড়া মনে রাখতে পারে না। মাঝে মাঝেই তার কাছে আসে উড়ো চিঠি। এই উড়ো চিঠি তাকে ব্যস্ত করে রাখে সারাদিন। কারণ চিঠিতে লেখা থাকে ভালবাসার নানান কথা। শত চেষ্টা করেও আলতা বানু খুঁজে পায় না চিঠিগুলো তাকে কে লিখে। অন্যদিকে মালকা বানু এবার প্রথমবারের মতো এসএসসি পরীক্ষা দেবে। সারাদিন লেখাপড়ার চাইতে মোবাইলে ফেসবুক আর ইউটিউব নিয়েই ব্যস্ত থাকে। বাবা মা প্রশ্ন করলে উত্তর দেয় এটা আধুনিক যুগ তাই মোবাইলের মাধ্যমেই আধুনিক প্রক্রিয়ায় পড়া লেখা করছে সে। বাবা মা আনন্দিত হয় এবং তাদের ধারণা এই পরিবারে শিক্ষার আলো তাকে দিয়েই ছড়াবে। কিন্তু মালকা বানু লেখাপড়া বাদ দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে প্রেম করে বেড়ায়। ক্ষণস্থায়ী প্রেম। খুনসুটি বেগম আজগর মোল্লার স্ত্রী। দেখতে এখনও সুন্দরী। খুনসুটি বেগম গয়না গাটি পরে থাকতেই পছন্দ করে। বাহারি রঙের শাড়ি খুনসুটি বেগমকে আকৃষ্ট করে। বাড়িতে কয়েকদিন পরপর শাড়ি বিক্রি করতে আসে ফুলমতি। খুনসুটি বেগম ফুলমতির নিয়মিত ক্রেতা। অল্প দামের শাড়ি কাপড় অধিক দামে বিক্রি করে ফুলমতি। স্বামী আজগর মোল্লা খুনসুটি বেগমকে সমীহ করে চলে। তার কারণ খুনসুটি বেগমের ১৪তম পূর্বপুরুষ অত্র তল্লাটের নবাব ছিল। আজগর মোল্লা দুই মেয়ের এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন। চার পাঁচজন শিক্ষক পালাক্রমে দুই মেয়েকে দিনব্যাপী পড়াতে আসে। কেউ বাংলা শিক্ষক। সে সাহিত্যের ভাষায় কথা বলে। কেউ ইংরেজী শিক্ষক। সে অপ্রয়োজনে ভুল-ভাল ইংরেজীতে কথা বলে। কেউ অঙ্কের শিক্ষক। সে সবকিছু জটিলভাবে উপস্থাপন করে। কিন্তু সবারই একটা উদ্দেশ্য থাকে আর সেটা হলো রাজকন্যা ও রাজত্ব অর্জনের। আজগর মোল্লা এক সময় উপলব্ধি করে জায়গীর মাস্টার প্রয়োজন। যে এই বাড়িতেই থেকে মেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করবে। অবশেষে খুঁজে পায় এমন একজন জায়গীর মাস্টারের। নাম তার পেয়ার আলী। পেয়ার আলী ভদ্র নম্র, সাদা সিদা ভাল মানুষ। বয়সটা একটু বেশি। ভিন্ন অঞ্চলের মানুষ সে। তার পরিবারের কোন সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা খুঁজে পাওয়া যায় না গল্পের শুরুতেই। গল্প যতটা এগোতে থাকে জায়গীর মাস্টারের চরিত্রের গভীরতা ততটাই জটিল হতে থাকে। এক সময় জায়গীর মাস্টার পেয়ার আলী হয়ে উঠে এই পরিবারে নির্ভরশীল ব্যক্তি। হঠাৎ করেই এই গ্রামে একটি চরিত্রের আবির্ভাব হয়। নাম সালমান। কানা ঘুষা শুরু হয় গ্রামজুড়ে। কে এই সালমান!! রহস্যের সূত্রপাত শুরু সালমানকে কেন্দ্র করে। গল্প মোড় নেয় অন্যদিকে। হাসি কান্না, আনন্দ বেদনা ও সমস্যা সমাধান সবকিছুর সংমিশ্রণেই এগিয়ে চলে দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘জায়গীর মাস্টার’।
×