ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

’৭৫ পরবর্তী বীরত্বগাথা ‘রক্তঋণ’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

 ’৭৫ পরবর্তী বীরত্বগাথা ‘রক্তঋণ’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কিত অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের উত্থান শুরু হয়। পঁচাত্তরের কালো অধ্যায় পরবর্তী অজানা বীরত্বগাঁথা উঠে এসেছে ‘রক্তঋণ’ নাটকটিতে। তীরন্দাজ নাট্যদলের ৫ম প্রযোজনা এ নাটকটি লিখেছেন শাহীন রেজা রাসেল এবং নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী রাকিব। এক গাম্ভীর্য পরিবেশের মধ্য দিয়ে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে শুক্রবার সন্ধ্যায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি সচিব মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার ও মামুনুর রশীদ এবং গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের মহাসচিব কামাল বায়েজিদ। নাটকে উঠে এসেছে জাতির পিতার নৃশংস হত্যাকান্ড পরবর্তী নানা ষড়যন্ত্র। তার পরিবার নিয়ে ঘাতকচক্রের ছড়ানো মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ প্রপাগান্ডা, সারাদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রতিবাদী নানা কর্মকান্ড, গারো পাহাড়ের পাদদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র আন্দোলন, প্রতিবাদকারীদের ওপর তৎকালীন ঘাতকসরকারের নির্মম নির্যাতন, দমন-পীড়ন ইত্যাদি বিষয়কে নিয়ে নাটক ‘রক্তঋণ’। বঙ্গবন্ধুর ঘাতক, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি প্রতি মুহূর্তে প্রমাণ করতে চেয়েছে এ হত্যাকান্ডকে বাংলাদেশের মানুষ নীরবে মেনে নিয়েছিল। কোন প্রতিবাদ হয়নি। কিন্তু এটা ছিল কত বড় ভুল ও মিথ্যা তা এই গবেষণাধর্মী প্রযোজনায় তুলে ধরা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কর্নেল জামিল প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রথম শহীদ হন। এরপর সারাদেশে চলছে বিচ্ছিন্নভাবে নানা প্রতিবাদ। প্রতিবাদকারীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে, সারাদেশে পাঁচ শতাধিক মানুষ সেই প্রতিবাদে শহীদ হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ কারাগারে নির্যাতিত হয়েছে। তাদের বাড়ি ঘর ধ্বংস করা হয়েছে। দেশান্তরী করা হয়েছে অনেককে। নির্বাসিত হয়েছেন কেউ কেউ। এ ঘটনার বর্ণনাসহ ফুটে উঠেছে ‘রক্তঋণ’ নাটকটিতে। দৃষ্টি’র আবৃত্তি প্রযোজনা ‘জীবনকথন’ পরিবেশিত ॥ সাংস্কৃতিক সংগঠন দৃষ্টি’র আয়োজনে বিশেষ আবৃত্তি অনুষ্ঠান হয় রাজধানীর কাটাবনে কবিতা ক্যাফে শুক্রবার সন্ধ্যায়। অনুষ্ঠানে নাসরিন আক্তার শিমুর গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় পরিবেশিত হয় দলীয় আবৃত্তি প্রযোজনা ‘জীবনকথন’। এতে অংশ নেয় আবৃত্তি শিল্পী অনন্যা সাহা, শামীমা সুলতানা লাবন্য, সুলতানা পারভীন শ্রাবণী, মাহমুদুল হাসান মাসুম, মোঃ আবু আবদুর রউফ হিমেল ও নির্দেশক নাসরিন আক্তার শিমু। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল আমন্ত্রিত আবৃত্তি শিল্পীদের পরিবেশনা। এ পর্বে কবিতা আবৃত্তি করেন মাসুম আজিজুল বাশার ও নাসিমা খান বকুল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোশাররফ হোসেন।
×