ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘নির্বাচনের সময় জঙ্গী হামলা দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত’

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

 ‘নির্বাচনের সময় জঙ্গী হামলা দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জঙ্গীরা গণতন্ত্র ও নির্বাচনকে ঘৃণা করে। তাই নির্বাচনের সময় জঙ্গী হামলার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় যেকোনও ধরনের জঙ্গী হামলা দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম এ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। শুক্রবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি আয়োজিত ‘উগ্রবাদ-সহিংসতা প্রতিরোধে তরুণদের সম্পৃক্ততা শীর্ষক নাগরিক সংলাপে তিনি এ কথা বলেন। সংলাপে সমাজের নানা শ্রেণীপেশার প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মাদ্রাসা, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ ্রষয়ে প্রস্তুত আছি। যেকোনও ধরনের হামলা দমন করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের নানাবিধ প্রস্তুতি রয়েছে। এর ফলে জঙ্গী সংগঠনগুলোর অপারেশনাল ক্যাপাসিটি অনেক কমে গেছে। তবু জঙ্গীবাদ তাদের মগজে এখনও রয়েছে। তারা নির্বাচনকে ঘৃণা করে, গণতন্ত্রকে ঘৃণা করে। তাই কেউ যাতে নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনও সহিংসতা করতে না পারে সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জঙ্গী হামলার আশঙ্কা নেই, তবে এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কারণ নেই। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। জনাব মনিরুল বলেন, ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করছি। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে এবং নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন আইনী পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে। কেউ ফৌজদারি অপরাধে লিপ্ত না হলে এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না হলে কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়া হবে না। কথা দিচ্ছি, শুধু ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হলেই আমরা আইন প্রয়োগে বাধ্য হব। সংলাপের সভাপতি ও ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সহিংস উগ্রবাদী কর্মকান্ডে বাংলাদেশে বারবারই তরুণ সমাজকে ব্যবহার করা হচ্ছে । নানা কৌশলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, বেকারত্ব ও হতাশাকে পুঁজি করে তরুণদের লোভের বশবর্তী করে অথবা ধর্মের অপব্যাখ্যার মাধ্যমে সহিংসতামূলক কর্মকান্ডে লিপ্ত করা হচ্ছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে আমাদের তরুণ-কিশোরদের সহিংস কর্মকান্ডে লিপ্ত না করা হয় তার জন্য সব রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফারহানা বেগম, তরুণ উদ্যোক্তা ও ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার মাহবুব মজুমদার, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকার কবির বকুল, ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল অধ্যাপক মোঃ আলমগীর রহমান, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আবু রইস এবং গবেষক ড. এস এম মোর্শেদ অনলঅইন পত্রিকা বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব নিউজ হারুন উর রশীদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
×