ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জিম্বাবুইয়ের চেয়ে সেরা বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

 জিম্বাবুইয়ের চেয়ে সেরা বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার বাংলাদেশ সফরে ৩ ওয়ানডে ও ২ টেস্টের সিরিজ খেলেছে জিম্বাবুইয়ে। তাদের প্রাপ্তি বলতে শুধু একটি টেস্ট ম্যাচে জয়। বাকি সবগুলোতেই খুব সহজ জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। তাছাড়া ব্যক্তিগত নৈপুণ্যের দিক থেকেও জিম্বাবুইয়ের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। ওয়ানডে সিরিজের পর টেস্ট সিরিজেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান ও বোলাররা ছিলেন পারফর্মেন্সে উজ্জ্বল। ২ টেস্টের ব্যাটিংয়ে একটি ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানোর সুবাদে মুশফিকুর রহীম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ২৭০ রান করে। আর বোলিংয়ে ৩ ইনিংসে ৫ উইকেট করে শিকার করা বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম শীর্ষে ১৮ উইকেট নিয়ে। ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। বিশেষ করে টপঅর্ডাররা রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছিলেন। ৩ ওয়ানডেতে ২ সেঞ্চুরি, ১ হাফসেঞ্চুরিসহ ইমরুল কায়েস ৩৪৯ রান করেছিলেন ১১৬.৩৩ গড়ে। তবে এ ওপেনার টেস্ট সিরিজে হয়েছেন চরমভাবে ব্যর্থ। ২ টেস্টের ৪ ইনিংসে ১২.৭৫ গড়ে মাত্র ৫১ রান করতে পেরেছেন। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার ১ ওয়ানডে খেলেই ১১৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন, তবে টেস্ট সিরিজে জায়গা করে নিতে পারেননি। রঙ্গিন পোশাকের এ ফরমেটে জিম্বাবুইয়ের সেরা দুই ব্যাটসম্যান ছিলেন শন উইলিয়ামস ও ব্রেন্ডন টেইলর। তারা ছিলেন পারফর্মেন্সের তালিকায় যথাক্রমে দুই ও তিনে। উইলিয়ামস ১ সেঞ্চুরি ও ১ হাফ সেঞ্চুরিসহ ২২৬ রান করেছেন, আর টেইলর ৩ ইনিংসে ২ হাফ সেঞ্চুরিতে ১৫৫ রান করেছিলেন। বোলিংয়ে অবশ্য এগিয়ে ছিলেন জিম্বাবুইয়ের বোলাররা। পেসার কাইল জারভিস ৩ ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে সেরা। এরপর দুই নম্বরে ছিলেন ২ ওয়ানডে খেলে ৪ উইকেট নেয়া বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজ। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও নাজমুল ইসলাম অপুও ৪টি করে উইকেট নিয়েছিলেন। ওয়ানডে সিরিজের পর টেস্ট সিরিজে অবশ্য পারফর্মেন্সে জিম্বাবুইয়ের ক্রিকেটারদের অনেক পেছনে ফেলেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। যদিও প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরে যায় ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। কিন্তু প্রথম টেস্টেই তাইজুল ৬ ও ৫ উইকেট শিকার করেন। মিরাজও দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৩ উইকেট। সেই টেস্টে অবশ্য জিম্বাবুইয়ের ব্যাটসম্যানরাও খুব বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দ্বিতীয় টেস্টে ২১৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মুশফিক, ১৬১ রান করেন মুমিনুল হক। তবে উভয় ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে টেইলর ব্যাটিং নৈপুণ্যে দ্বিতীয় স্থানে। আর টেস্ট সিরিজে দেখা গেছে ওয়ানডের মতোই বাংলাদেশের স্পিনাররা ছিলেন দুর্ধর্ষ, আর জিম্বাবুইয়ের পেসাররা পেয়েছেন উইকেট। তাইজুল দ্বিতীয় টেস্টেও দুর্দান্ত বোলিং করেছেন, নিয়েছেন ৫ ও ২ উইকেট। আর মিরাজ প্রথম ইনিংসে ৩টির পর দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৫ উইকেট। জিম্বাবুইয়ের পেসার জারভিস ওয়ানডের মতোই টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভুগিয়েছেন। তিনি একবার ৫ উইকেট শিকারসহ মোট ১০ উইকেট নিয়ে তালিকায় তিনে।
×