ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রেমিকের দেখা পেতে .....

প্রকাশিত: ২০:৪৯, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

প্রেমিকের দেখা পেতে .....

অনলাইন ডেস্ক ॥ মানব জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য হলো প্রেম। প্রেমের অনুভূতি মানুষের অন্যতম সত্য অনুভূতি। প্রত্যেকটা মানুষ জীবনে একবার না একবার প্রেমে পড়ে। অনেকে প্রেমের জন্য ঘর বাড়ি ত্যাগ করে সন্ন্যাসী পরবাসী পর্যন্ত হয়। অনেকে আবার প্রেমের পরীক্ষা দিতে গিয়ে জীবনও উৎসর্গ করেন। সেই প্রেমের টানেই হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়েছেন লিথুনিয়ার এক নারী। ভিকাছকা ছায়া রাদাভিচুইট নামের ওই নারীর সঙ্গে অনলাইনে পরিচয় হয় ফিলিপাইনের ইউগেন গালাংয়ের। নিয়মিত কথোপকথন হতে হতে একসময় সে পরিচয় হয়ে ওঠে প্রেমিক প্রেমিকের। এরপর প্রেমিকের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করতে হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে ফিলিপাইন আসেন ওই নারী। ফিলিপিনো টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে পরিচয় হয় ভিকাছকা ছায়া রাদাভিচুইট ও ইউগেন গালাংয়ের। পরিচয়ের পর থেকেই তাদের দু’জনের মধ্যে কথোপকথন চলতে থাকে। একসময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। নিয়মিত ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বললেও তাদের কখনোই দেখা হয় নি। কিন্তু প্রেমিকা তার প্রেমিকের দেখা পেতে আকুল হয়ে ওঠেন। তাইতো পৃথিবীর অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যান প্রেমিকের কাছে।আর এ যাত্রায় তাকে অতিক্রম করতে হয়েছে প্রায় ছয় হাজার মাইল পথ। কেননা লিথুয়ানিয়া থেকে ফিলিপাইনের দূরত্ব পৃথিবীর মোট দূরত্বের অর্ধেক। দূরত্ব অতিক্রম করা এই প্রেমের গল্পের একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। প্রেম করার এক বছর পর যখন ভিকাছকা ছায়া রাদাভিচুইট প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে ফিলিপাইন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তখন সে জানতে পারে তার দেশ থেকে ফিলিপাইনের দূরত্ব ৫ হাজার ৮০২ কিলোমিটার। কিন্তু তার কাছে হাজার হাজার মাইলের এ পথ বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। সিদ্ধান্তকে বাস্তবে রুপ দিতে বিমানে উঠে পড়েন রাদাভিচুইট। এদিকে প্রেমিকার আগমনের সংবাদ শুনে আগে থেকেই বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে শুরু করেন ইউগেন গালাং। ফিলিপাইনে যখন বিমানটি অবতরণ করে তখন দু’জনেই আবেগে আপ্লুত হয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের এই দূরত্ব অতিক্রম করা প্রেমের গল্প মানুষের হৃদয় ছুয়ে গেছে। অনেকে এই প্রেমিক জুটিকে শুভকামনা জানিয়ে মন্তব্য করেছেন। একজন তো বলেই বসেছেন, ‘হাজার হাজার মাইল অতিক্রম করা তোমাদের এই প্রেমের গল্প অমর হয়ে থাকবে পৃথিবীতে।’
×