ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়তে চান ৪ হাজার ৫৮০ জন ব্যক্তি

প্রকাশিত: ০২:৪৫, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়তে চান ৪ হাজার ৫৮০ জন ব্যক্তি

অনলাইন রিপোর্টার ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী হতে চান ৪ হাজার ৫৮০ জন প্রার্থী। এ লক্ষ্যে তারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। প্রত্যেকে ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে এই মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। টাকার অঙ্কে যা ২ কোটি ২৯ লাখ বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার (১৭ নবেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। রিজভী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এখন পর্যন্ত ন্যূনতম লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি। সরকারি দল নানাভাবে প্রচারে রয়েছে। যেখানে বিএনপি নেতারা পারছেন না। তাদের প্রতিনিয়ত হয়রানি, গ্রেফতার করা হচ্ছে। এরপরও নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়তে চান ৪ হাজার ৫৮০ জন ব্যক্তি। তারা এরইমধ্যে মোট ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা জমা দিয়ে এসব মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নির্মিত ডকুমেন্টারি ‘হাসিনা এ ডটার অব টেল’ এর প্রচার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, এটার প্রচার নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী নিজেই একজন প্রার্থী তার পক্ষে প্রচারের নামে নির্মিত এই ডকুমেন্টারি প্রত্যাহারের দাবি জানাই। আবারও নির্বাচন ৩ সপ্তাহ পেছানোর দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ইজতেমার অজুহাতে নির্বাচন না পেছানোর কথা বলা হলেও ইজতেমার তারিখ পেছানো হয়েছে। আমাদের দাবি আরও তিন সপ্তাহ নির্বাচন পেছানো হোক। যাতে ন্যূনতম নির্বাচনের পরিবেশ ফিরে আসে। যদি না পেছানো হয় তাহলে বুঝবো নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। তিনি বলেন, ইসির তফসিল ঘোষণার পরও মন্ত্রীরা নানা অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন, স্কুল-কলেজের কমিটিতে আছেন। এরপরও ইসি নিরব ভূমিকায় রয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, সরকার এক অদ্ভুত প্রাণীতে পরিণত হয়েছে। তারা ডা. জাফরুল্লাহকে মাছ চুরির মামলা দিয়েছে। অথচ তারা মানুষ চুরি করছে। গতকালও আমাদের একাধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। অনেকের খোঁজ দিচ্ছেন না, তাদেরকে জনসম্মুখে হাজিরের দাবি জানাই। ইসিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তফসিলের পর কেনো আক্রমণ, গ্রেফতার, গুম, গণভবনের সামনে শোডাউন করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় না। বিএনপি অফিসের সামনে এলে হামলা, গ্রেফতার হয়, আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়। সংবাদ সম্মেলনে দলটির চেয়ারপারসন উপদেষ্টা জয়নাল আবেদিন ফারুক, নাজমুল হক নান্নুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
×