ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ দিনের ফোক ফেস্টে নকশীকাঁথা : কবির শাহ্

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ১৭ নভেম্বর ২০১৮

শেষ দিনের ফোক ফেস্টে নকশীকাঁথা : কবির শাহ্

অনলাইন রিপোর্টার ॥ হাজার বছর ধরে বাংলার শেকড়ে ছড়িয়ে থাকা লোকজ জীবনবোধ, শিল্পশৈলী আলোড়িত করে যাচ্ছে শ্রোতাদের প্রাণ। দেশ থেকে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ছে এর মুগ্ধতার ছোঁয়া। লোকজ সেসব সুর, তাল, লয় ও ছন্দের বর্ণিল ছোঁয়া বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে বাঁধতে পারে এক সুতোয়। আর সে আয়োজনই যেনো ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসব। শনিবার (১৭ নবেম্বর) সন্ধ্যায় আয়োজনের শেষ দিনে অনুষ্ঠান শুরুর অনেক আগে থেকেই রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ভিড় জমাতে থাকে লোকসঙ্গীত ভালোবাসা মানুষগুলো। তবে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি দেখা গেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। সন্ধ্যায় প্রথমেই মঞ্চে আসেন বাউল নকশীকাঁথা। গানওয়ালা নামে দলটির জন্ম ২০০৭ সালে। তখন গানের উপজীব্য ছিল বিভিন্ন সামাজিক সংকট। তারপর ২০১১ সাল থেকে লোকগান নিয়ে একনিষ্ঠ গবেষণায় ডুবে যায় দলটি। নাম হয়ে যায় নকশীকাঁথা। নকশীকাথাঁর পরেই মঞ্চে আসে লোকজ সঙ্গীতের অনন্য এক নাম বাউল কবির শাহ্ বাংলা। তার গায়কী দিয়ে তিনি দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখেন দীর্ঘক্ষণ। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ জন্ম নেওয়া এই গুণী শিল্পী ১৩ বছর বয়স থেকে গানের চর্চা শুরু করেন। বাউল সম্রাট শাহ্ আব্দুল করিমের কাছ থেকে তার গানের হাতেখড়ি। বিচ্ছেদ ভাবের গান, ভাটিয়ালি, মুর্শিদী গানে পারদর্শী এই শিল্পী বাংলাদেশের গানের জগতে আশীর্বাদস্বরূপ। মঞ্চে পরিবেশিত হচ্ছে গান এসময় উভয় দল তাদের গান দিয়ে মাতিয়ে রাখেন দর্শক শ্রোতাদের। তারা পরিবেশন করেন 'কৃষ্ণ আইলো রাধার কুঞ্জে', 'ও বন্ধু কাজল ভ্রমরা রে', 'আমার বন্ধু দয়াময়', ময়মনসিংহ গীতিকার বিভিন্ন পালাসহ বেশ কিছু গান। এরমধ্যে জারি, সারি, ভাটিয়ালি, মুর্শিদী, মারফতি, বাউল, ভাওয়াইয়া, পাঁচালিসহ আরও নানান জাতের গান। আয়োজনের শেষ দিনে এরপর মঞ্চ মাতাবেন অর্ণব, স্পেনের লাস মেগাস ও পাকিস্তানের সাফকাত আমানত আলী। তারা তুলে ধরবেন নিজেদের দেশের লোকজ গানের বিভিন্ন ধারা। লোকসঙ্গীত দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের এক অতুলনীয় সম্পদ। এই মহামূল্যবান সম্পদকে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া এবং এর সংরক্ষণ ও পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সান ফাউন্ডেশন। বাংলাদেশের লোকসঙ্গীত শিল্পীদের রয়্যালটি এবং তাদের স্বত্ত্ব নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেও কাজ করছে তারা।
×