ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সব শিশুই হবে প্রোগ্রামার

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

সব শিশুই হবে প্রোগ্রামার

মাত্র বছরখানেক আগে আমরা শিশুদের প্রোগ্রামার বানানোর জন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করি। বেসিস তার অঙ্গ সংগঠন বেসিস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইটিএম) সহায়তায় গত বছরের ২৫ আগস্ট রাজধানীর কাওরান বাজারের বিআইটিএমের ৩০২ নম্বর ল্যাবে শুধু স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ‘স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং পরিচিতি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল। দিনব্যাপী সেই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে পরিচিত করা এবং তারা যাতে তাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে এই জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা করা। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ চলে। প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। উদ্বোধনকালে তৎকালীন বেসিস সভাপতি মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ও আগামীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। আমরা স্নাতক বা উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং শেখানোর কথা ভাবি। কিন্তু ওরা বস্তুত শৈশব থেকেই প্রোগ্রামিং-এর ধারণা পেতে পারে। আমরা শিশুদের জন্য সেই ব্যবস্থাটিই করতে চাই। শিশুদের প্রোগ্রামিং শেখানোর মাধ্যমেই সেটি সূচনা করতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়ে ‘শিশু-কিশোরদের প্রোগ্রামিং শিক্ষা’ শীর্ষক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এতে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণী শিক্ষার্থীদের জন্য স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং শেখানো হবে। আমরা ২০১৮ সালের শুরুতে এসব শিক্ষার্থীকে নিয়ে একটি জাতীয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করব।’ এই প্রশিক্ষণের প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন বিআইটিএম-এর প্রশিক্ষক সিরাজুল মামুন। সহযোগী হিসেবে ছিলেন মেহনাজ শারমিন মোহনা ও ফৌজিয়া আকতার নিহা। সিরাজুল মামুন বলেন, ‘প্রশিক্ষণ নেয়া শিক্ষক-শিক্ষিকারা পরবর্তীতে শিশু-কিশোরদের কাছে এই শিক্ষা পৌঁছে দেবেন। এই কর্মসূচীর মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের প্রোগ্রামিংয়ের সঙ্গে পরিচিত করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য একটি প্রজন্ম তৈরি করা সম্ভব হবে। এই আয়োজনের সূচনায় থাকতে পেরে আমি আনন্দিত।’ এই আয়োজনের অন্যতম সমন্বয়ক ও ডিক্যাস্টালিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা সাবিলা ইনুন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির অগ্রযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আগামীর প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে প্রোগ্রামিং শিক্ষার বিকল্প নেই। বেসিসের এই উদ্যোগের সঙ্গে ডিক্যাস্টালিয়াকে রাখার ও কাজ করার সুযোগ দেয়ার জন্য বেসিস, বিআইটিএমসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। প্রথম ব্যাচে বাংলাদেশ ডিজিটাল স্কুল সোসাইটীর ৩০ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তারা আগামীতে আরও শিক্ষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন বলে সোসাইটির প্রধান ইয়াহিয়া খান রিজন জানিয়েছিলেন। ইয়াহিয়া খান বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা গেলে শিশুদের তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন মানুষ হিসেবে তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখা যাবে। বড় হয়ে প্রোগ্রামার হওয়ার ভয় থাকবে না তাদের মধ্যে। তবে শিক্ষকদের আরও বেশি শেখার আগ্রহ তৈরি করতে হবে। তাদের জন্য বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং। আমি আশাবাদী যে, ডিজিটাল শিক্ষা সমিতি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখবে এবং স্কুল পর্যায়ে স্ক্র্যাচ শেখার বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইতোমধ্যেই তারা পরের ব্যাচের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বেসিস ২৫ আগস্ট যে আয়োজন করেছিল সেটির সূত্র ধরে বলা যেতে পারে যে, বস্তুত শিশুদের জন্য বর্ণমালা, অঙ্ক, ইংরেজী বা এই জাতীয় যেসব প্রাথমিক বিষয় শেখানো হয় তেমন করেই তাকে কম্পিউটারে সৃষ্টি করার শুরুর কৌশলগুলো শেখাতে হবে। এর সফলতার জন্য প্রয়োজন হবে একটি সমন্বিত কার্যক্রম। বেসিস এরই মাঝে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, এই সমন্বিত কার্যক্রমটি দু’ভাবে গুছিয়ে আনা হবে। প্রথমত, বেসিস তার অঙ্গ সংগঠন বিআইটিএম-এর মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের কাজ অব্যাহত রাখবে। অন্যদিকে বেসিস তার ছাত্র ফোরামের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে স্কুলে স্কুলে স্ক্র্যাচ শেখানোর উদ্যোগ নেবে। এই উদ্যোগগুলোর পাশাপাশি স্ক্যাচ শিক্ষার একটি প্লাটফরম গড়ে তুলতে হবে। স্ক্র্যাচের শেখার উপাত্তগুলোকেও বাংলা ভাষায় রূপান্তর করতে হবে। এটি প্রত্যাশা করা যেতে পারে যে, এভাবে সমন্বিত উপায়ে আমরা যদি প্রোগ্রামিং শেখার বিষয়টাকে শিশুদের কাছে পৌঁছানো শুরু করি তবে এক সময় ওরাই হবে প্রোগ্রামিংয়ের সবচেয়ে বড় ভিত। বেসিসের এই উদ্যোগের বাইরেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্ক্র্যাচ শেখার আন্দোলন গড়ে তোলা হচ্ছে। অনেকেই শিশুদের নানা বিষয় নিয়ে কাজ করেন। তাদের গান শেখানো থেকে কারাতে শেখানো পর্যন্ত নানাবিধ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়ে থাকে। আমি মনে করি, প্রোগ্রামিং শেখানোর জন্যও প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে পারে। নিজে নিজে স্ক্র্যাচ শেখা মোটেই কঠিন নয়। ইন্টারনেটে এমআইটি ল্যাবের যঃঃঢ়ং://ংপৎধঃপয.সরঃ.বফঁ/ ঠিকানায় গিয়ে স্ক্র্যাচ শেখার সকল উপাত্তই পাওয়া যেতে পারে। আমি ২৯ আগস্ট ১৭ এই সাইটে গিয়ে ২ কোটি ৪২ লাখ ৭৫ হাজার ৭০৪টি স্ক্র্যাচ প্রকল্পের হিসাব পেয়েছিলাম। ৩০ অক্টোবর দেখলাম মোট ৪ কোটি ৪২ হাজার ৭৮৩টি প্রকল্প সেখানে জমা হয়েছে। ১৬ নবেম্বর সেখানে দেখলাম ৪ কোটি ৭ লাখ ১৬ হাজার ৫১৮টি প্রকল্প। দুনিয়াজোড়া মানুষ এসব প্রকল্প শেয়ার করেছে। প্রতি মুহূর্তে এর পরিমাণ বাড়ছে। ফলে এমন জনপ্রিয়, সহজ ও সর্বজনগ্রাহ্য একটি প্রোগ্রামিং ভাষা শেখার জন্য প্রকৃতপক্ষে একটু উদ্যোগই শুধু দরকার। মিরপুরের স্কুল শিক্ষিকা ডাঃ তানজিবা রহমানের একটি ব্যক্তিগত উদ্যোগ আমাদের আশাবাদী করেছে। তিনি মিরপুরের ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্কুলকে কেন্দ্র করে আশপাশের কয়েকটি স্কুলের শিশুদের স্ক্র্যাচ শেখানো শুরু করেন। এরপর তিনি দেশজুড়ে স্ক্র্যাচ শেখানোর উদ্যোগ নেন। এর সঙ্গে প্রজন্ম ও প্রযুক্তি ফাউন্ডেশন স্ক্যাচ শেখানোর উদ্যোগ গ্রহণ করে। তার মতো আরও অনেকে স্ক্র্যাচ শেখানোর স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। তবে এটি ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হয় সিআরআই-এর মাধ্যমে। গত ৩ জানুয়ারি আমি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর স্ক্র্যাচ শেখানোর জন্য তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সিআরআই-এর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় সিআরআই দেশের ৬৪টি জেলার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে হাজার হাজার ছেলেমেয়েকে স্ক্র্যাচ শেখায়। এরপর জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। পরের স্তরে বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রথম জাতীয় প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার অর্জন : তত্ত্বীয়ভাবে শিশুদের প্রোগ্রামিং করতে পারার বিষয়ে আমাদের আশাবাদ থাকলেও বস্তুত এই প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়েই আমরা প্রমাণ পেলাম যে, শিশুরা প্রোগ্রামিংকে ভয় পায় না। এই প্রতিযোগিতার বড় একটি সফলতা হলো যে, এতে যারা বিজয়ী হয়েছে তাদের কেউই রাজধানীর কেউ না। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল যেমন লালমনিরহাট থেকে এসে ওরা বড় বড় শহরের স্কুলগুলোকে হারিয়ে দিয়েছে। এমনকি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরা রাজধানীর নামী-দামী কিন্ডারগার্টেন বা ইংরেজী মাধ্যম স্কুলগুলোকে পরাস্ত করেছে। একই সঙ্গে আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকদের মাঝে বিপুল আগ্রহ দেখেছি। প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শিশু-কিশোরদের সৃজনশীলতাকে বিকশিত করার সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। আমরা যদি প্রথম জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাকে আরও তৃণমূলে পৌঁছাতে পারি তবে সেটি ডিজিটাল যুগের আমাদের মানবসম্পদ গড়ে তুলতে সবচেয়ে বেশি সহায়ক হবে। বাধ্যতামূলক প্রোগ্রামিং শেখা : এরই মাঝে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গত ২৫ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে সামনের শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রাথমিক স্তরে প্রোগ্রামিংসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়টি পাঠ্যভুক্ত করার জন্য অনুরোধ করে পত্র পাঠানো হয়েছে। এ বছর জাতীয় বালিকা প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাতেও শিশুদের স্ক্র্যাচ দিয়ে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করানো হয়। ২২ অক্টোবর ডেফডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসব প্রতিযোগিতা আগামীতে অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা যায়। বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য এসব প্রতিযোগিতা মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলেই আমি মনে করি। কেমন করে শুরু করবেন : আমরা যখন শিশুদের জন্য প্রোগ্রামিং শেখা বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছি তখন অভিভাবক, বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজেদের প্রস্তুতি নেয়া দরকার। গৌরবের বিষয় হচ্ছে, আমাদের সন্তান বিজয় জব্বার স্ক্র্যাচ শেখানোর জন্য প্রোগ্রামিং উইথ স্ক্র্যাচ নামে একটি বই লিখেছে। বইটি তাম্রলিপি নামক একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান প্রকাশও করেছে। বইটির প্রথম প্রকাশিত সংস্করণটি ইংরেজীতে। তবে এর বাংলা সংস্করণও প্রস্তুত হয়েছে। সহসাই বইটির বাংলা সংস্করণও প্রকাশ হবে। অন্যদিকে স্ক্র্যাচ শেখার জন্য প্রায় সকল উপকরণ রয়েছে এমআইটির সাইটে। যঃঃঢ়ং://ংপৎধঃপয.সরঃ.বফঁ/ ঠিকানায় গিয়ে নিজে যেভাবে যেখান থেকে শুরু করতে চান তাই করতে পারেন। সাইটটিতে শিশুদের জন্য যেমন শিক্ষা উপকরণ আছে তেমনি আছে পিতা-মাতা ও শিক্ষকদের জন্য যাবতীয় নির্দেশনা। সাইটটিতে পিতা-মাতার জন্য বক্তব্য হলো, ‘Scratch is a programming language and an online community where children can program and share interactive media such as stories, games, and animation with people from all over the world. As children create with Scratch, they learn to think creatively, work collaboratively, and reason systematically. Scratch is designed and maintained by the Lifelong Kindergarten group at the MIT Media Lab. চার কোটির বেশি প্রকল্প দেখার সুযোগের বাইরে ভিডিও সহায়তাও পাওয়া যেতে পারে। বস্তুত এমআইটির ওয়বসাইটটি খুবই সমৃদ্ধ একটি ওয়েব সাইট। সাইটটিতে গেলে অনুভব করবেন যে, শিশুদের প্রোগ্রামার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিশ্বজুড়ে নানা আয়োজনের কেন্দ্র হচ্ছে এই সাইটটি। বিশ্বের কোটি কোটি শিশুর আগামী দিনের ঠিকানা এই সাইট। বিশ্বজুড়ে স্ক্র্যাচ দিবসও পালিত হয়। সচরাচর সেটি মে মাসে হয়। তবে অন্য সময়ও হতে পারে। ১৯ সালে আমাদের বড় প্রচেষ্টা হতে পারে একটি স্ক্র্যাচ দিবস পালন করা। একটি ফোরামও গড়ে তোলা যায়। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ তো জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতার আয়োজন করবেই। দেশজুড়ে স্ক্র্যাচ শেখানোর আয়োজনও থাকবে। আমি আমাদের কয়েকটি স্কুলে স্ক্র্যাচ শেখানো বাধ্যতামূলক করেছি। এটি সকলের জন্য বাধ্যতামূলক করা হবে। আমরা বাংলাদেশেও শিশুদের প্রোগ্রামার বানানোর সব প্রচেষ্টা গ্রহণ করব। আসুন সবাই আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য নিজেদের বর্তমান ও ভবিষ্যতকে সমর্পণ করি। স্ক্যাচ দিয়ে শিশুরা প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করলে তাদের পরের ধাপেও নিয়ে যেতে পারেন। আমরা মনে করি মাধ্যমিক স্তরে পাইথন বা জুলিয়াও প্রোগ্রামিং শেখার ভাষা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান-সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক
×