ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষক-কর্মচারী তহবিলের নামে টাকা আদায় ॥ প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

শিক্ষক-কর্মচারী তহবিলের নামে টাকা আদায় ॥ প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ১৭ নবেম্বর ॥ বরগুনার আমতলী সরকারী কলেজে জরুরী শিক্ষক-কর্মচারী তহবিলের নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ টাকা প্রত্যাহার ও অতিরিক্ত টাকা কমানোর দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা শনিবার কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। কলেজ ছাত্রী নেত্রী রওশন করিম ঋৃতি বলেন, এ টাকা প্রত্যাহার না করলে রবিবার বাছনিক পরীক্ষায় অংশ নেবে না শিক্ষার্থীরা। কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) গাজী আবদুল মান্নান বলেন, কলেজের পাট টাইম শিক্ষক ও কর্মচারীদের এ টাকা থেকে বেতন দিতে হয় বিধায় টাকা নেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে আমতলী ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করণ করা হয়। ওই সময় থেকেই কলেজ সরকারী নিয়মনীতি মোতাবেক পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্তু কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও একাডেমিক কাউন্সিল সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের ইচ্ছামাফিক কলেজ পরিচালনা করে আসছে। সরকারী নিয়মনীতির উর্ধে উঠে কলেজ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ফি’র নামে টাকা আদায় করছে। ওই কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীতে ৪৫০ শিক্ষার্থী রয়েছে। এ শিক্ষার্থীরা ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বাছনিক পরীক্ষায় অংশ নেবে। দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বাছনিক পরীক্ষায় বিভিন্ন খাতে সেশন ফি’য়ের নামে ২০৪০ টাকা আদায় করছে। এর মধ্যে জরুরী শিক্ষক-কর্মচারী তহবিল খাতে ৭০০ টাকা, কলেজ উন্নয়ন খাতে ৩০০ টাকা, পরীক্ষা ফি’র নামে ২৮০ টাকাসহ ১৭টি খাতে এ টাকা আদায় করছে। গত তিন দিন ধরে শিক্ষার্থীরা এ টাকা কমানোর দাবিতে অধ্যক্ষের কাছে দাবি করে আসছে। কিন্তু অধ্যক্ষ এ টাকা কমাননি। শিক্ষক-কর্মচারী তহবিলের টাকা প্রত্যাহার ও অতিরিক্ত টাকা কমানোর দাবিতে শনিবার শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। শনিবার এ টাকা প্রতাহার না করায় কোন শিক্ষার্থী প্রবেশ পত্র সংগ্রহ করেনি। শিক্ষার্থীদের দাবি টাকা না কমালে তারা রবিবারের বাছনিক পরীক্ষায় অংশ নেবে না। কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) গাজী আবদুল মন্নানের এহোন কর্মকা-ের বিরোধিতা করছেন কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল। তাদের দাবি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় টাকা নেয়ার সিদ্ধান্ত না হলেও অধ্যক্ষ নিজের ইচ্ছামতো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছে।
×