ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শঙ্খ নদী থেকে বালু উত্তোলন ॥ হুমকিতে বসতি

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

শঙ্খ নদী থেকে বালু উত্তোলন ॥ হুমকিতে বসতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁশখালী, ১৭ নবেম্বর ॥ শঙ্খ নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও আনোয়ারা উপজেলার অংশে নদীর ৮-১০টি পয়েন্টে অবাধে বালু উত্তোলন চললেও দেখার কেউ নেই। দিন রাত ড্রেজার বসিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশ ও সাধারণ মানুষের বসত বাড়ি বিপন্নের মুখে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে রয়েছে সরকার দলীয় কতিপয় নেতাকর্মীসহ প্রভাবশালী মহলের একাধিক সিন্ডিকেট। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তারের কার্যালয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তাভোগীরা জানায়। সোমবার উপজেলার পুকুরিয়া ইউপির শঙ্খ নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় কতিপয় যুবলীগ নেতা নামধারী ব্যক্তি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দেদার বালু উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড় ভাঙন দেখা দিয়েছে। যার ফলে ওই এলাকার নদীর পাড়ে বসবাসকারী মানুষের ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। এদিকে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বালু উত্তোলনের স্পটে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুজন রায়কে পাঠিয়ে বালু উত্তোলনের ব্যবহৃত পাইপ ও ড্রেজারের ড্রাইভারকে আটক করে নিয়ে আসছে। তাছাড়া বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত সকলকে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন ইউএনও। জানা যায়, উপজেলার খানখানাবাদ, পুকুরিয়া এলাকার শঙ্খ নদীর বেড়িবাঁধে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কতিপয় সরকার দলীয় মহল বালু উত্তোলন করে আসছিল। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে এই দুই ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ বিলীন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া নদী হারাচ্ছে স্বাভাবিক নাব্য। তাছাড়া শঙ্খ নদীর ওপর নির্মিত শঙ্খ সেতুর দুই পাশে বালু উত্তোলনের ফলে মাটি সরে যাচ্ছে। যেকোন মুহূর্তে সেতু ভাঙনের কবলে পড়বে বলেও আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সব মিলিয়ে বালু উত্তোলন সিন্ডিকেট বেপরোয়া হয়ে উঠলেও উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হবে আশা ব্যক্ত করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ মানুষরা।
×