ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নীলফামারী-২ আসনে নূরের বিকল্প নেই

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

নীলফামারী-২ আসনে নূরের বিকল্প নেই

তাহমিন হক ববী, নীলফামারী ॥ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নীলফামারী-২ (জেলা সদর) নির্বাচনী এলাকা এখন সরগরম। এলাকায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একাধারে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর অপ্রতিদ্বন্দী। দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ ভোটাররা মনে করেন এই আসনে নূরেই আশা, নূরেই ভরসা। তার কোন বিকল্প নেই। টানা তিন দফার সংসদ সদস্য থাকায় এলাকাটি সরকারের উন্নয়নে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। মঙ্গা নামক অভাবকে চিরতরে দূর করে বেকারত্ব ঘুচিয়েছেন নুর। এবারও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার দুপুরে যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ ও তার সকল অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে নূরের সমর্থনে স্থানীয় শহীদ মিনার চত্বরে যুব সমাবেশ শেষে শহরে নূরকে সঙ্গে নিয়ে এক বিশাল শোভাযাত্রা বের করা হয়। গত ১৫ বছরে এমপি থেকে এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইপিজেড নির্মাণ, সরকারী কলেজে অনার্স কোর্স চালু, মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন, আধুনিক শেখ কামাল স্টেডিয়াম, বহুতল বিশিষ্ট সদর আধুনিক হাসপাতাল, প্রত্যেকটি রাস্তাঘাট পাকাকরণ, ব্রিজ কালর্ভাট নির্মাণসহ অনেক উন্নয়ন কাজ করেছেন নূর। অষ্টম সংসদ থেকে টানা তিন মেয়াদে নীলফামারী-২ আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে রয়েছেন দেশ বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর। দশম সংসদের সরকারে হয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী। একাদশ নির্বাচন ঘিরে আসাদুজ্জামান নূরের এই আসনে আওয়ামী লীগ বা মহাজোটের বিকল্প এখন পর্যন্ত কেউ নেই। তবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে প্রার্থী হতে চান দুজন। বিএনপি জোটে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় রয়েছেন দলটির রংপুর বিভাগীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও নীলফামারী জেলা কমিটির সাধারণ স¤পাদক শামসুজ্জামান এবং জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মনিরুজ্জামান মন্টু। মহাজোটের নেতারা মনে করেন, নীলফামারী-২ (সদর) আসনে আর অন্য কোন প্রার্থী নেই। একমাত্র আসাদুজ্জামান নূর। তার কোন বিকল্প নেই। তিনি নীলফামারীর জন্য এলাকার মানুষের ভাগ্যন্নোয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন, সফলও হয়েছেন। যার সুফল ভোগ করছে জনগণ। উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি যে অবদান রেখে চলেছেন সেক্ষেত্রে আসাদুজ্জামান নূরের বিকল্প কেউ থাকতে পারে না এমনকি অন্যকোন দলেও নেই। নেতারা মনে করেন, বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব নূর ভাই সবার। শুধু আওয়ামী লীগ কিংবা মহাজোটের নন সব মানুষের। নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুদ্দিন বসুনিয়া, সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, জেলা যুবলীগের সভাপতি রমেন্দ্র বর্ধন বাপী, সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট অক্ষয় কুমার রায়, স্বেচ্ছাবেক লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ মনিরুল হাসান আপেলসহ সকল নেতাকর্মী একবাক্যে বলছেন আমরা এখন কী দেখছি! রাস্তা ঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল কলেজে কতই না পরিবর্তন হয়েছে। আমাদেরকে মেডিক্যাল কলেজ দেয়া হলো। তারা বিএনপি আমলের সমালোচনা করে বলেন, তাদের সময় নীলফামারী সদরে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটটি হওয়ার কথা। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিন ইসলাম তুহিনের কারণে সেটি হলো না। ইপিজেডটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। সেটি পুনরায় চালু করলেন নূর ভাই। বিএনপির সময়কার আর আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের পার্থক্য সবার চোখের সামনে দৃশ্যমান। তিনি (নূর) আজ দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এলাকায় প্রতি তিনমাস অন্তর অন্তর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প চালিয়ে আসছেন। ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পে রোগের ব্যবস্থাপত্রসহ চিকিৎসার সকল ব্যয় বহন করেন নূর ভাই।
×