ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনা-৪ আসনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি?

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

নেত্রকোনা-৪ আসনে কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি?

সঞ্জয় সরকার, নেত্রকোনা ॥ নেত্রকোনা-৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কে পাচ্ছেন? বিএনপি থেকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে এখানে নানা জল্পনা-কল্পনার সূত্রপাত হয়েছে। কারণ, বিএনপি থেকে শ্রাবণী প্রার্থী হলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে এখানে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে হবে। জানা গেছে, হাওর-বাঁওরের তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনে আওয়ামী লীগ-বিএনপি দু’দলই শক্তিশালী। এক সময় আসনটি আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল মমিনের ঘাঁটি ছিল। লুৎফুজ্জামান বাবর বিএনপির রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট হওয়ার পর আসনটি তার দখলে চলে যায়। দলের নেতাকর্মীদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি প্রচুর চাকরিবাকরি দেয়ার কারণে ব্যক্তি বাবর এক সময় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। একাধিক মামলায় দ-প্রাপ্ত ও নানা কারণে বিতর্কিত হওয়া সত্ত্বেও বাবরের জনপ্রিয়তা কমেনি। বিশেষ করে বাবরের নিজ উপজেলা মদন এখনও তার ভোটের দুর্গ। নবম সংসদ নির্বাচনেও এর প্রমাণ মিলেছে। ওই নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে বাবর স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। আর ধানের শীষের প্রার্থী হন কর্নেল (অব) সৈয়দ আতাউল হক। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বাবর ৯১ হাজার ৯শ’ ৮৪ ভোট পান। আওয়ামী লীগ মনোনীত রেবেকা মমিন তার চেয়ে মাত্র ১৬ হাজার ৭শ’ ৩১ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ আতাউল হক জামানত হারান। কাজেই বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান শ্রাবণী এবার বিএনপির মনোনয়ন পেলে শক্তিশালী প্রার্থী হয়ে উঠবেন, এতে সন্দেহ নেই। বাবরের ইমেজকে কাজে লাগিয়ে কঠিন লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবেন তিনি। তার মনোনয়নপত্র সংগ্রহের খবরে এরই মধ্যে চাঙ্গা হয়ে দলটির তৃণমূল নেতাকর্মী। তবে বাবরপতœী ছাড়াও ওই আসনের আরও পাঁচ প্রার্থী বিএনপির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেনÑ কর্নেল (অব) সৈয়দ আতাউল হক, কেন্দ্রীয় নেতা কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল ফারুক, আইনজীবী নেত্রী এ্যাডভোকেট রোকসানা কানিজ চৌধুরী পলমল, জেলা বিএনপির নেতা জহির ফারুক ও এ্যাডভোকেট মাসুদ রানা চৌধুরী। এদিকে আওয়ামী লীগ থেকেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন ছয় প্রার্থী। তারা হলেনÑ বর্তমান এমপি রেবেকা মমিন, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক শফী আহমেদ, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মমতাজ হোসেন চোধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা এ্যাডভোকেট গুলজার আহমেদ, কেন্দ্র্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক কামাল পাশা চৌধুরী ও ক্যাপ্টেন (অব) মনজুরুল হক। তাদের মধ্যে রেবেকা মমিন ও কামাল পাশা চৌধুরীর বাড়ি মোহনগঞ্জে।
×