ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কুড়িগ্রাম-২ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ২ হেভিওয়েট নেতার লড়াই

প্রকাশিত: ০৭:০১, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

কুড়িগ্রাম-২ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ২ হেভিওয়েট নেতার লড়াই

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ আওয়ামী লীগ থেকে শিল্পপতি পনির উদ্দিন আহমেদের জাতীয় পার্টিতে যোগদানের পর কুড়িগ্রাম-২ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর মুহম্মদ আব্দুস সালাম (অব) ও জেলা জাপার সদস্য সচিব পনির উদ্দিন আহমেদের মধ্যে মনোনয়ন লড়াই জমে উঠেছে। পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ দুজনকে মাঠে কাজ করতে বলায় তার শেষ সিদ্ধান্ত কী হবে এ নিয়ে উত্তেজনা রয়েছে দলের ভেতর। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে জেলা কমিটির সভাপতি সফিকুল ইসলাম চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হলে ২০০৮ সালের ২৫ অক্টোবর কোন কাউন্সিল ছাড়াই এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমানকে সভাপতি ও আবদার হোসেন বুলুকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটি গঠন করে দেন পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এর নয় মাসের মাথায় এ কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে দলে যোগদানকারী মেজর মুহাম্মদ আবদুস সালামকে (অ) আহবায়ক ও পনির উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন এরশাদ। এই কমিটি জাপাকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে এরশাদ পুনরায় পার্টিতে ফিরিয়ে নিলে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান মেজর সালাম। জেলা কমিটি থাকার পরেও তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে জেলা সমন্বয়কের দায়িত্ব দেয়ায় আহ্বায়ক মেজর আবদুস সালাম ২০১০ সালের ১৪ জুলাই পদত্যাগ করেন। আর পনির উদ্দিন আহমেদ ও আবদার হোসেন দলত্যাগ করে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এর পর পনির উদ্দিন আহমেদ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ জাফর আলীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ কারণে স্থানীয়ভাবে বহিষ্কৃত হন পার্টি থেকে। ২০০৮ সালে নির্বাচনের আগে তাজুল ইসলাম চৌধুরী জাপা ছেড়ে পিডিপিতে যোগ দেয়ায় এরশাদ মেজর সালামকে দলের মনোনয়ন দিতে চেয়েছিলেন। কিন্ত নির্বাচনের আগে নির্বাচনী বিধিমালা সংশোধন করায় তা ভেস্তে যায়। সরকারী চাকরি থেকে অবসর নেয়ার তিন বছর অতিক্রান্ত না হওয়ায় মেজর সালামকে মনোনয়ন না দিয়ে এরশাদ নিজে প্রার্থী হন।
×