ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ব্যবস্থা নিতে ইসিকে আওয়ামী লীগের চিঠি

ভিডিও কনফারেন্সে লন্ডন থেকে সাক্ষাতকার নিলেন তারেক

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৯ নভেম্বর ২০১৮

 ভিডিও কনফারেন্সে লন্ডন থেকে সাক্ষাতকার নিলেন তারেক

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ লন্ডন থেকে স্কাইপির মাধ্যমে ঢাকায় বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকারে অংশ নিয়েছেন তারেক রহমান। বিভিন্ন মামলার দন্ডিত আসামি লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের সাক্ষাতকার নেয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনসহ দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইসিতে দেয়া এক চিঠিতে তারেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আহবান জানিয়েছে। আওয়ামী লীগের চিঠিতে স্কাইপির মাধ্যমে মনোয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার নেয়াকে নির্বাচনী আচরণ বিধির লঙ্ঘন বলে অভিহিত করা হয়েছে। বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার রবিবার থেকে শুরু হয়েছে। প্রথম দিন রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার নেয়া হয়। বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সকাল সোয়া নয়টা থেকে শুরু হয়ে সাক্ষাতকার পর্বটি সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে। মহাসচিবসহ দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের উপস্থিতিতে ভিডিও কনফারেন্সে লন্ডনে বসে সাক্ষাতকার নেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। জানা গেছে, ২১ নবেম্বর মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার শেষে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন প্রশ্ন করে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছ থেকেও বিভিন্ন বিষয় জানতে চান। রবিবার সকাল সোয়া ৯টায় গুলশান বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার শুরু হয়। প্রথম পর্বে রংপুর এবং দুপুরের পর দ্বিতীয় পর্বে রাজশাহী বিভাগের প্রার্থীদের সাক্ষাতকার নেয়া হয়। রংপুর বিভাগের পঞ্চগড়-১ আসনের ইউনুস শেখের মাধ্যমে সাক্ষাতকার প্রক্রিয়া শুরু হয়। সাক্ষাতকারে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে একটি অঙ্গীকার নামা নেয়া হয়। এতে বলা হয় দলীয় হাইকমান্ড যাকে মনোনয়ন দেবে তাকেই সবাই মেনে নেবে। এ সময় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় দলীয় বা জোটগত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত বরিশাল বিভাগ এবং বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার নেয়া হবে। ২০ নবেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগ এবং বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লা ও সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার অনুষ্ঠিত হবে। ২১ নবেম্বর বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগ এবং বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার নেয়া হবে বলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া কারাগারে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদেশে অবস্থান করায় এবারই প্রথম দলের মহাসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনোনয়ন বোর্ডে সভাপতিত্ব করার সুযোগ পেলেন। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকারকালে মনোনয়ন বোর্ডের অন্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সাক্ষাতকার শেষে এক মনোনয়নপ্রত্যাশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিটি আসনভিত্তিক মনোনয়নপ্রত্যাশীদের ডাকা হয়েছে। এ সময় কার জয় পাওয়ার সম্ভাবনা আছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। এছাড়া দল যাকে মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষে সবাই কাজ করবে কি-না তাও জানতে চাওয়া হচ্ছে। আর দল যাকে মনোনয়ন দেয় তা বৃহত্তর স্বার্থে মেনে নেয়ার অঙ্গীকার নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া চূড়ান্তভাবে মনোনয়নের বিষয়টি ৮ ডিসেম্বর জানা যাবে বলে জানানো হয়েছে। তার আগে একই আসনে একাধিক প্রার্থী হতে পারবেন। তবে ৮ ডিসেম্বর চূড়ান্তভাবে যিনি মনোনয়ন পাবেন তাকে বাদে অন্য সবাই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হবে। দিনাজপুর-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মনজুরুল ইসলাম বলেন, মনোনয়ন বোর্ডের পুরো বিষয়টি তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাদের কাছে তারেক রহমান জানতে চান দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে কাজ করবেন কি না। এদিকে, মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকারের সময় গুলশান বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি ঘটনায় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দল থেকে বলা হয়, বিভাগভিত্তিক সাক্ষাতকারের সময় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তাদের সমর্থকদের সঙ্গে আনতে পারবেন না। তবে এলাকার নেতারা আসতে পারবেন। এ নির্দেশনা না মানলে তা প্রার্থীর অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের বিজ্ঞপ্তির কারণ, কূটনৈতিক এলাকায় রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা বিশেষ করে রাস্তায় নেতাকর্মী জড়ো হওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। উল্লেখ্য, ১২ নবেম্বর থেকে বিএনপি মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে। ১৬ নবেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের ৩০০ আসনে নির্বাচন করতে বিএনপির মনোনয়ন ফরম কিনেছেন ৪ হাজার ৫৮০ জন। যা কোন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন ফরম বিক্রির অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। রবিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা বরাবর পাঠনো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা গায়েবি মামলার একটি তালিকা নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছে বিএনপি। নির্বাচনে তফসিল ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত বিএনপির ৭৭৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নেতাকর্মীদের হয়রানি না করতে এবং গ্রেফতার বন্ধের আহবান জানানো হয় চিঠিতে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল (অব) ফারুকের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাত করে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলপকালে বলেন, একজন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি স্কাইপিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার নিচ্ছেন বলে জানতে পেরেছি। কিন্তু আদালত বলেছেন, একজন পলাতক আসামি হিসেবে তারেকের বক্তব্য কোথাও প্রচার হবে না। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনের পদেও থাকতে পারবেন না। তার স্কাইপিতে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাতকার গ্রহণ এবং বক্তব্য প্রদান নির্বাচনী আইনের লঙ্ঘন। আশা করি, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহিবুল ইসলাম চৌধুরী নওফেল বলেন, একজন পলাতক আসামির বক্তব্য গণমাধ্যমে আসতে পারে না। গণমাধ্যমও সেই বক্তব্য প্রচার করতে পারবে না বলে আদালতের নির্দেশনা আছে। তারেক রহমান এই টেলিকনফারেন্স করে কোর্টের আদেশ অমান্য করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে এ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পি, রিয়াজুল কবীর কাউসারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা চিঠিসহ গায়েবি মামলার তালিকা দলের পক্ষ থেকে সালাউদ্দিন খান নামের একজন সিইসির দফতরে পৌঁছে দেন। তিনি বিএনপির নেতকর্মীদের মামলাসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের দায়িত্বে রয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। ইসিতে দেয়া বিএনপির চিঠিতে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, ৮ নবেম্বর জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপির ৭৭৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫ নবেম্বর সেই তালিকা নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে হলেও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ উপেক্ষা করে ধারাবাহিকভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো তালিকা নির্বাচন কমিশনের কাছেও পাঠানো হলো। অবিলম্বে নেতাকর্মীদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়াসহ গ্রেফতার বন্ধের অনুরোধ করা হয়েছে। চিঠিতে ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুই হাজার ৪৮টি মামলা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে আরও বলা হয়, বিএনপিসহ ২০ দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে সাত দফা দাবি নিয়ে ১ নবেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়। প্রধানমন্ত্রী সেসব মামলা ও গ্রেফতারের তালিকা তার দফতরে পাঠাতে বলেন। সেই আলোকে ৭ নবেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরাবর প্রথম দফায় ১ হাজার ৪৬টি মামলার তালিকা দিয়েছে বিএনপি। ১৩ নবেম্বর ১ হাজার ২টি মামলার দ্বিতীয় তালিকা দিয়েছে বিএনপি। দুই দফায় মামলার তালিকা পাঠানো হলেও মামলাগুলো প্রত্যাহার এবং গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে কি না, তা এখন পর্যন্ত বিএনপিকে অবহিত করা হয়নি। ইসির বক্তব্য ॥ তবে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা এই তালিকা প্রসঙ্গে ইসি রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির দেয়া তালিকা এখনও দেখিনি। সত্যিকার অর্থে যদি কোন হয়রানিমূলক মামলা হয়ে থাকে এবং সেটা যদি রাজনৈতিক হয়ে থাকে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেব যেন তারা হয়রানিমূলক মামলা না করে। কারণ তাতে নির্বাচনী পরিবেশ কিছুটা হলেও নষ্ট হয় উল্লেখ করেন। তিনি তারেক রহমানের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের সাক্ষাত নেয়ার বিষয়ে বলেন, এ বিষয়ে কমিশনের কি করার আছে তা আলোচনা করেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। আইনের মধ্যে যদি কিছু না থাকে, তাহলে আমরা কমিশনের সঙ্গে বসে কী করতে পারি, তা পর্যালোচনা করে দেখে তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেব। একজন দিন্ডিত আসামি দেশে থাকলে তিনি হয় কারাগারে থাকবেন অথবা পলাতক। কেউ কারাগারে থাকলে এ ধরনের কাজ করতে পারেন না। জেল থেকে জামিনে এসে করলে কোন অসুবিধা ছিল না। কিন্তু এই ক্ষেত্রটা একবারে ভিন্ন। আইনের মধ্যে কী আছে সেটা দেখে আমরা ব্যবস্থা নেব। সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচারের বিষয়ে বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রফিকুল ইসলাম বলেন, থ্যাংক ইউ পিএম- এটি আমি টেলিভিশনে দেখেছি। এটি প্রচারের জন্য বেসরকারী টেলিভিশনের নীতিমালা আছে। বেসরকারী টেলিভিশনকে নিয়ন্ত্রণ করার কোন ক্ষমতা বা ইচ্ছা আমাদের নাই। উনারা স্বপ্রণোদিত হয়ে এই প্রচার করতে পারেন। সেটা নির্বাচনী প্রচার হলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম। তিনি বলেন, একটা সরকার আছে, সেই সরকারের কর্মকান্ড তারা প্রচার করছে। আমরা বেসরকারী টেলিভিশনের সম্প্রচারে কোন নির্দেশনা দিলে আপনারা হস্তক্ষেপের কারণে আন্দোলনে নামবেন। পুলিশ নির্বাচনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ফোন করে খোঁজ খবর নিচ্ছে- এমন একটি খবরের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রফিকুল বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কোন নির্দেশ নাই। আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি, রিটার্নিং কর্মকর্তারা এ বিষয়ে কোন নির্দেশ দেননি। কোন পুলিশ কর্মকর্তা যদি অতি উৎসাহী হয়ে এ ধরনের কিছু করে থাকে, তাহলে আপনারা ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিস্তারিত তথ্য- কি করতে হবে তা আমাদের ওপর ছেড়ে দেন উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তিকে যেন হয়রানি করা না হয়, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
×