নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া ॥ তিন সেতু নির্মাণে তিন ফেরির অবর্ননীয় দুর্ভোগ কেটে গেছে। এবার কুয়াকাটাগামী পর্যটকের জন্য যোগাযোগে সুখবর নিয়ে আসছে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু। এ সেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। বর্তমানে কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে যেতে তিনটি সেতু পার হতে হয়। আর আন্ধারমানিক নদীর বালিয়াতলী পয়েন্টে ওই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে মাত্র একটি সেতু পেরিয়ে কুয়াকাটায় যেতে পারবেন পর্যটক-দর্শনার্থীসহ সাধারণ মানুষ।
শুধু কুয়াকাটা নয় এই পথে পায়রা বন্দরের রামনাবাদ চ্যানেলসহ পর্যটনপল্লী গঙ্গামতির নৈসর্গিক দৃশ্য অবলোকনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ২০১৮ সালের মধ্যে এই সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এসময় আশাতীত অগ্রগতি হয়নি। তাই আগামি ২০২০ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করার প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে বলে জানালেন উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান। ইতোমধ্যে সবক’টি পাইলের কাজ শেষের পথে। চারটি স্প্যানের গার্ডার স্থাপন কাজও শেষের পথে। কাজ চলছে দ্রতালয়ে। এই সেতু নির্মাণ হলে পর্যটকরা একপথে কুয়াকাটায় গিয়ে ভিন্নপথে ফিরতে পারবেন। প্রাকৃতিক নৈসর্গিক দৃশ্য অবলোকনের অবারিত সুযোগ পবেন আগতরা। প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান আরও জানান, এ সেতুর অগ্রগতি বর্তমানে ৫৪ শতাংশ।
জানা গেছে, ৮৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয় এ সেতুটি নির্মাণ হচ্ছে। ১৩টি স্প্যানের ওপর ফুটপাথসহ ১৪ দশমিক এক ফুট প্রস্থ হচ্ছে সেতুটি। ৬৭৭ মিটার দীর্ঘ সেতুর রয়েছে দুই পাড়ে পাঁচ শ’ মিটার সংযোগ সড়ক। এছাড়া রজপাড়া থেকে পায়রা বন্দরের সঙ্গে নির্মিত ফোর লেন সড়কের গাজীবাড়ি স্পট থেকে একটি সড়ক নির্মিত হচ্ছে বিকল্প সেতুর সংযোগসড়ক পর্যন্ত। প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটির প্রস্থ থাকছে ২৪ ফুট। ইতোমধ্যে এ সংযোগ সড়কটির টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এজন্য ১৭ কোটি টাকা ব্যয় হবে। দু’ তিন মাসের মধ্যেই এ সড়কটির নির্মাণ কাজও শুরু হচ্ছে বলে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানালেন।
