ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

প্রকাশিত: ০১:৪৩, ১৯ নভেম্বর ২০১৮

নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর সোমবার (১৯ নবেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১৫৬৪ পৃষ্ঠার এই রায় প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত ১৫ নবেম্বর রায় প্রদানকারী বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম মামলার রায়ে স্বাক্ষর করেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের ২২ আগস্ট সাত খুন মামলায় নূর হোসেন, তারেক সাঈদ,আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নিম্ন আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া, নিম্ন আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত ৯ জনের দণ্ড বহাল রাখেন আদালত। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন— হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দু বালা, সৈনিক আব্দুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক তাজুল ইসলাম ও সৈনিক আল আমিন। মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা হলেন— সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, নূর হোসেনের সহযোগী মর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু ওরফে মিজান, রহম আলী, আবুল বাসার, সেলিম, মো. সানাউল্লাহ ওরফে সানা, ম্যানেজার শাহজাহান ও জামাল উদ্দিন। গত বছরের ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ আসামিরা খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন। এর আগে ওই বছরের ১৬ জানুয়ারি সাত খুনের মামলায় নূর হোসেন, তারেক সাঈদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাত জন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরের দিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন— নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো.ইব্রাহিম। ঘটনার একদিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।
×