ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকার দিনরাত ॥ মারুফ রায়হান

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ২০ নভেম্বর ২০১৮

 ঢাকার দিনরাত ॥ মারুফ রায়হান

নবেম্বর উৎসবের মাস। ঢাকায় উৎসবের কমতি নেই। একের পর এক নানা ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন হয়েই চলেছে। কিছুকাল আগেই হলো ঢাকা লিট ফেস্ট, যেটি নিয়ে জনকণ্ঠ সাময়িকী গত শুক্রবারে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন প্রকাশ করল। আর সদ্যসমাপ্ত হলো আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসব। জনকণ্ঠ যথাযথভাবেই তার খবর দিয়েছে পাঠক সমাজকে। উৎসবে লোকজ বাংলার বাউল গান থেকে শোনা গেল পোল্যান্ড, স্পেনসহ কয়েকটি দেশের লোকগানের সুর। বৈশ্বিক লোকগীতির সম্মিলনে যান্ত্রিক শহরে বয়ে গেল স্বস্তির সুবাতাস। মাটি ও মানুষের কথা বলা লোকগানের সুরে রঙিন হলো কংক্রিটের শহর ঢাকা। শিকড়সন্ধানী সুরধারায় ঝলমল করে উঠলো নগর। এমনই মোহময় রূপে ধরা দিল ঢাকা আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত উৎসবের তিন-তিনটি রাত। রাজধানীতে সদ্যসমাপ্ত ফোক ফেস্ট বা লোকসঙ্গীত উৎসব বেশ সাড়া ফেলেছে। ঢাকার বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ উৎসবে হাজার হাজার লোক গেছেন, যার সিংহভাগই তরুণ-যুবা। কে ভেবেছিল এদেশের তরুণরা যারা ব্যান্ড গানে উন্মাতাল হয় তাদেরই বড় একটি অংশ লোকসঙ্গীতের সুধাপানে আগ্রহী হবে! আয়োজকরা একটি টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করায় দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়েছেন অনেকেই। আমাদের দেশের আনাচকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের লোকসঙ্গীত ও শিল্পী। এই সঙ্গীত ছড়িয়ে দেওয়ার বা শোনার কোন একটি জাতীয় প্লাটফর্ম প্রয়োজন। এই উৎসব সেই কাজটি করার প্রয়াসী। একই মঞ্চে দেশের বাইরের লোকসঙ্গীতশিল্পীরাও গান শোনান।? তাই বিশ্ব জানছে বাংলার লোকসঙ্গীত কত সমৃদ্ধ। এবারও এমন কিছু দৃশ্য দেখা গেল যাতে ছিল তারুণ্যের প্রাণস্পন্দন। শত শত মানুষ খোলা আকাশের নিচে ঘাসের ওপর গোল হয়ে বসে বা দাঁড়িয়ে গান উপভোগ করেছেন। আবার দল বেঁধে তারা গানের তালে তালে নেচেছেনও। কোথাও কোন বিরূপতা বিড়ম্বনা নেই। সবাই স্বাভাবিক, সংযত, উৎসবমুখর। এমন একটি পরিবেশ তৈরি ছিল। গতবছর এসেছিল ইরানের ‘রাস্তাক’ ট্রুপ। ঐতিহ্যবাহী রকমারি বাদ্য সহযোগে তাদের ফোক ফিউশন এমন স্ফূর্তিসঞ্চারি যে আসনে বসা দর্শকরাও দুলেছিলেন তাতে। এক পর্যায়ে এক বাদক তার বাজনা থামিয়ে মঞ্চে নাচতে শুরু করেন। সত্যিই উপভোগ্য ছিল! এবার এ ধরনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল স্পেনের ‘লাস মিগাস’ দলের। স্পেনের ৪ নগরীর ৪ নারী মিলে গড়েছেন এই ব্যান্ড দল। সর্বাঙ্গীণ সুন্দরভাবে প্রতিবছরই উদযাপিত হোক এই উৎসব। সর্বসাম্প্রতিক আধুনিক গান, চলচ্চিত্রের গান এবং তারুণ্যের পছন্দের ব্যান্ড গান নিয়েও এ ধরনের আন্তর্জাতিক উৎসব হতে পারে। এই মহানগরীর লাখ লাখ তরুণের সুস্থ বিনোদনের বড়ই অভাব। এ ধরনের উৎসব সেইসব তরুণকে স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দ প্রকাশের সুযোগ করে দেয়। তারা নিজ সংস্কৃতির সমান্তরালে ভিন দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত এবং সেসব নিয়ে মাতোয়ারা হওয়ার সুযোগ পায়। উৎসবের এই আনন্দসন্ধানী ও প্রাণময়তার প্রকাশটিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাই চাই বিচিত্র গানের বর্ণাঢ্য আরও উৎসব। শিল্পাঙ্গনের নতুন ঠিকানা লালমাটিয়ায় গ্যালারিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ। তিনি প্রয়াত হওয়ার পর তাঁর নিকটাত্মীয় টিভি-সাংবাদিক রুমী নোমান গ্যালারি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন। এরই মধ্যে বেশ ক’বার ঠিকানা বদল হয়েছে। শেষ গিয়েছিলাম ধানম-িরই একটি ভবনে শিল্পী কারু তিতাসের চিত্রকর্ম প্রদর্শনী দেখতে। শিল্পাঙ্গন গ্যালারিটি ওই ভবনের (কমিউনিটি সেন্টার) দোতলার ছোট ছোট তিনটি কক্ষ মিলিয়ে করা হয়েছিল। ভবনের ভেতর দিয়ে বেশ খানিকটা পথ পেরিয়ে তারপর যেতে হতো গ্যালারিতে। কেউ পথপ্রদর্শক না হলে সত্যি তা খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। যাহোক, এবার লালমাটিয়ায় বড় পরিসরে গ্যালারিটির নতুন ঠিকানা হয়েছে। ২/৮, লালমাটিয়া, ডি-ব্লকের ৫ম তলায়। লিফট নেই এই ভবনে। তাই বয়স্ক দর্শকদের কিছুটা অসুবিধাই হবে সেখানে আয়োজিত শিল্প প্রদর্শনী দেখতে। সেখানে গত সপ্তাহে শুরু হলো প্রদর্শনী ‘রিইউনিয়ন’। এই প্রদর্শনীতে প্রবীণ ও পরিচিতি পাওয়া ৩৪ জন বিশিষ্ট শিল্পীর ৫৪টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে। তবে আগামী প্রদর্শনীতে অর্থাৎ দ্বিতীয় পর্বে থাকবে নবীনদের প্রাধান্য। প্রদর্শনীর উদ্বোধক মুহাম্মদ আজিজ খান বলেন, দেশে অনেক আর্ট গ্যালারি আছে কিন্তু পূর্ণাঙ্গ গ্যালারির ধারণা নিয়ে প্রথম শিল্পাঙ্গনের যাত্রা শুরু করে। লেখক ও সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ মনে করতেন এই গ্যালারি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবতাবোধের সৃষ্টি হবে। বক্তারা বলেন, শিল্পাঙ্গন এখনো শিল্পীদের আদর্শের স্থান। সেই পথ ধরে বাড়ছে নবীনদের ছবি প্রদর্শনীর চাহিদা। শিল্পাঙ্গন কেন্দ্রীয় গ্যালারির যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৩ সালের ১৪ মে মাসে। ফেসবুক থেকে রাজপথ ঢাকায় মি টু আন্দোলন ঢাকায় লেখক-শিল্পী এ্যাক্টিভিস্টদের মধ্যে বর্তমানে চায়ের কাপে ঝড় তুলছে মি টু প্রসঙ্গ। ফেসবুক থেকে ঢাকার সড়কে পর্যন্ত চলছে প্রতিবাদ। সম্প্রতি বাংলাদেশে মি টু আন্দোলনের সূচনা হয় বাংলাদেশের দুই মেয়ে সাবেক মিস আয়ারল্যান্ড মাকসুদা আখতার প্রিয়তী ও শুচিস্মিতা সীমন্তির হাত ধরে। দুনিয়া তোলপাড় করা এ আন্দোলন চলছে পৃথিবীজুড়ে। ‘মি টু মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ এ সপ্তাহে দুই দফা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে বক্তারা বলেছেন, লজ্জায়, ভয়ে মুখ লুকিয়ে রাখলে যৌন নিপীড়করা আরও অন্যায় করার সুযোগ পাবে। তাই তাদের মুখোশ খোলার সময় এসেছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এই মানবন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র, বাংলাদেশ উইমেন জার্নালিস্টস ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং ক’জন সাংবাদিক। বলা দরকার, প্রয়াত একজন গুণী নাট্যকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় অনলাইনে এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে বর্তমানে সরব বহু সংস্কৃতিকর্মী ও প্রয়াত নাট্যশিক্ষকের ছাত্র-ছাত্রীরা। উল্লেখ্য, ২০০৬ সালে প্রথমবার হ্যাশট্যাগ মি টু প্রকাশ্যে আসে। তারপর থেকেই এই অভিযান শুরু। আমেরিকার জনপ্রিয় সোশ্যাল এ্যাক্টিভিস্ট তারানা বুর্ক এই আন্দোলন প্রথম শুরু করেন। যৌন হেনস্তা এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়ের কথা প্রকাশ্যে তুলে আনার জন্য তিনিই প্রথম উৎসাহিত করতে শুরু করেন সকলকে। যে মেয়েরা কোনও না কোনও সময় এই যৌন হেনন্তার মুখে পড়েছেন তাদের এই হ্যাশট্যাগ মি টু’তে সাড়া দেওয়ার অনুপ্রেরণা দেন তিনি। হ্যাশট্যাগ মি টু নামের একটি ডকুমেন্টারি ফিল্মও তৈরি করা হয়েছিল, যেখানে ১৩ বছরের এক বালিকা জানিয়েছিল সে কিভাবে যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছিল। তারানা বুর্কও এমন হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। তিনি জানান, ৬ বছর বয়সে তাঁর ওপর যৌন অত্যাচার চলেী প্রতিবেশী একটি ছেলে তাঁকে ধর্ষণ করেছিল। এবং বেশ কয়েক বছর ধরে তার ওপর এই যৌন অত্যাচার হয়েছিল। ২০১৭ সালে হ্যাশট্যাগ মিটু ফের একবার উঠে আসে। হলিউড তারকা এলিসা মিলানো হ্যাশট্যাগ মি টু-কে সঙ্গী করে মহিলাদের বিরুদ্ধে হওয়া এই হেনস্তায় সরব হয়েছিলেন। তিনি ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর ট্যুইট করে লিখেছিলেন, যদি আপনিও যৌন অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তাহলে বলুন এবং লিখুন হ্যাশট্যাগ মি টু অর্থ আমিও। এরপরেই হলিউড থেকে তা ধীরে ধীরে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এবং ২০১৮ তে ভারতে যেন এক ঝড় হিসেবেই দেখা দিয়েছে এই হ্যাশট্যাগ মি টু। নিষ্ঠুর নগরী ধূলিশয্যায় আর্তজন ইটসিমেন্ট আর কংক্রিটের এ শহরের মানুষের মনও কঠিন হয়ে উঠছে ধীরে ধীরে। চারপাশে তাকালে মানবেতর জীবনযাপন দেখা যায় মানবের। এসব উপেক্ষা করেই আমাদের ঠাঁটবাট বজায় রাখা। সেদিন দৈনিক সমকালে ‘রোদ-বৃষ্টিতে এক মাস পড়ে আছে মানুষটি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনে চোখ পড়ে গেল। লিখেছেন সাজিদা ইসলাম পারুল। এক নিঃশ্বাসে পড়ে উঠলাম। প্রতিবেদক লিখেছেন ভালো। অংশবিশেষ তুলে ধরলে বোঝা যাবে ছিন্নমূল মানুষের জীবনের গল্প। লেখা হয়েছে: ঘড়ির কাঁটা তখন ২টা ছুঁই ছুঁই। ভরদুপুরে মালিবাগ মোড়ের রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের তিন নম্বর গেট-সংলগ্ন সিএনজি পাম্পের পাশের ফুটপাথ ধরে চলাফেরা করছেন মানুষ। যে যার মতো ছুটছেন গন্তব্যস্থলে। এ প্রতিবেদকও ছুটছিলেন নিজের কাজে। হঠাৎই চোখে পড়ল ফুটপাথে মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন মধ্যবয়স্ক একজন মানুষ। মুখে কোন শব্দ নেই। কঙ্কালসার শরীরটা পুরোপুরিই চাদরে ঢাকা ছিল। কৌতূহলবশত পরিচয় জানতে চাইলে কোন উত্তর মেলেনি। অপলক দৃষ্টিতে শুধু তাকিয়ে ছিলেন। ফুটপাথে পড়ে থাকা মানুষটির বাঁ পা নেই। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রায় এক মাস ধরে একইভাবে শুয়ে আছেন তিনি। রোদ-বৃষ্টি-রাতের হিম বাতাসেও তার কোন নড়াচড়া নেই। কেউ খাবার রেখে গেলে তাও খান না। শুধু পানি খেয়েই এতটা দিন টিকে আছেন তিনি। সঠিক চিকিৎসাসেবা পেলে সুস্থ জীবন ফিরে পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আশপাশের লোকজন। এক্ষেত্রে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান অনেকেই।’ লেখাটি পড়ে আমার মতো নিশ্চয়ই অনেকেরই মন খারাপ হবে। তারপর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বো। তারপরও আশা, কেউ না কেউ উদ্যাগী হবেন। প্রতিবন্ধী অসুস্থ রোগাক্রান্ত মানুষটিকে খোলা আকাশের নিচ থেকে তুলে নিয়ে সাভারে পঙ্গু পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। প্রবাসী কবির অকালপ্রস্থান বিলেতে বসবাসরত মেধাবী কবি দেলোয়ার হোসেন মঞ্জুর আকস্মিক প্রয়াণে কবিসমাজ শোকাতুর। মধ্যচল্লিশ কি প্রস্থানের মতো কোনো বয়স! তাঁর মৃত্যু এখন নতুন করে তাঁকে চেনাবে ঢাকার উন্নসিক বহু কবিকে। দীর্ঘদেহী সুদর্শন এই কবি আমাদের নজর কেড়েছিলেন বছর ছয়েক আগে লন্ডনে সংহতি আয়োজিত কবিতা উৎসবে। তিনি এসেছিলেন বার্মিংহাম থেকে। উৎসব শেষে আলাপচারিতায় ভালো লেগেছিল। কবি ও কবিতার প্রতি তাঁর নিখাদ ভালোবাসার পরিচয় পেয়েছিলাম। মারণব্যাধি ক্যান্সার কবিকে ছিনিয়ে নিলো গত শনিবার। লন্ডনে বসবাসকারী লেখক সাগর রহমান তাঁর প্রতিক্রিয়া ও স্মৃতি ব্যক্ত করেছেন এভাবে: মঞ্জু ভাইয়ের এক গুচ্ছ কবিতা ছেপেছিলাম সাপ্তাহিক পত্রিকার সাহিত্য পাতা মার্চ ২০১৫তে। চাইতেই ২০টি কবিতা পাঠিয়েছিলেন। শিরোনাম দিয়েছিলেন- ‘ক্যান্সার আক্রান্ত কবিতা!’ হায়, কী ভীষণ এই সব পরিহাস! আজ কবিতাগুলো আবার পড়লাম। মনে আটকে গেলো বিশেষত ২০-সংখ্যক কবিতাটিতে। যেন আজকেই বলছেন, কোন সুদূরে সরে যেতে যেতে, কোন মায়াবী লোকে পাড়ি দিতে দিতে, বলছেন... ‘যাচ্ছি... তোমাদের আকাশ সাবান সোডা দিয়ে পরিষ্কার করে দিয়ে যাচ্ছি আকাশ থেকে তুলে নিচ্ছি আমার ক্যান্সার আক্রান্ত কবুতরগুলো। ঠিক এই ধরনের অনেকগুলো কবিতা আছে এ সিরিজে। পড়ে গা ঝিলিক দিয়ে ওঠে। অবসন্ন হয়ে যেতে চায় মন। যেন সেই সময়েই নিজের মৃত্যুর খবরটি পেয়েছিলেন তিনি। রচনার তারিখ জানা না থাকলে যে কারোই মনে হতে পারত - এ কবিতাগুলো বুঝি উনি ক্যান্সার হবার পরেই লিখেছেন!’ লন্ডনে বাসকারী আরেক লেখক আবু মকসুদ লিখেছেন, ‘কবি দেলোয়ার হোসেন মঞ্জু অসংখ্যবার মৃত্যু ছুঁয়ে এসেছেন। দ্বিতীয়, তৃতীয় মৃত্যুর পাড়ে তিনি নতুন করে জন্মের কথা লিখেছেন। নতুন করে জন্ম নিয়েছেন। প্রথাগত সবকিছু তাঁর কাছে মৃত্যুর সমান। তিনি প্রথাগত সবকিছু অস্বীকার করতে চেয়েছেন, অস্বীকার করেছেন। ভেঙ্গে চুরে নতুন সৃজনে তাঁর দক্ষতা দেখাতে সক্ষম হয়েছেন।’ কবি দেলোয়ার হোসেন মঞ্জুর কবিতার বই আটটি। যেগুলো মলাটবন্দি হয়েছে ‘বিদ্যুতের বাগান সমগ্র’ নামে। তিনি গল্প-উপন্যাস ও প্রবন্ধও লিখেছেন। ১৮ নবেম্বর ২০১৮ [email protected]
×