ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলা ॥ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৪:৩৮, ২০ নভেম্বর ২০১৮

 নারায়ণগঞ্জের সাত খুন  মামলা ॥ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় ১৫ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। সোমবার হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে রায় প্রকাশ করা হয়। রায় প্রদানকারী বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম গত ১৫ নবেম্বর রায়ে স্বাক্ষর করেন। গত বছরের ২২ আগস্ট কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, র‌্যাব কর্মকর্তা আরিফ হোসেন, মাসুদ রানাসহ ১৫ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করা হয়। আদালত রায়ে যাদের মৃত্যুদন্ড দেয় তারা হলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, র‌্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার মেজর আরিফ হোসেন, র‌্যাবের ক্যাম্প কমান্ডার লে. কমান্ডার মাসুদ রানা, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহী আবু তৈয়ব, কনস্টেবল মোঃ শিহাব উদ্দিন, উপ-পরিদর্শক (এসআই) পুর্নেন্দু বালা, সৈনিক আবদুল আলীম, সৈনিক মহিউদ্দিন মুন্সী, সৈনিক তাজুল ইসলাম, সৈনিক আল আমিন। মৃত্যুদ-ের সাজা কমে যাদের যাবজ্জীবন হয়েছে তারা হলেন, সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর, সার্জেন্ট এনামুল কবীর, নূর হোসেনের সহযোগী মুর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু ওরফে মিজান, মোঃ রহম আলী, মোঃ আবুল বাসার, সেলিম, মোঃ সানাউল্লাহ ওরফে সানা, ম্যানেজার শাহজাহান, জামাল উদ্দিন। এছাড়া নিম্ন আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে ৯ জনের সাজাও বহাল রেখেছে আদালত। ২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের মামলায় সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ ২৬ আসামিকে মৃত্যুদ-াদেশ দেয় বিচারিক আদালত। বাকি নয় আসামির সবাইকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিনদিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত অন্যরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মোঃ ইব্রাহিম। ঘটনার একদিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন।
×