ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় সম্পদের সঠিক হিসাব দিতে হবে ॥ ইকবাল মাহমুদ

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ২০ নভেম্বর ২০১৮

 নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় সম্পদের সঠিক হিসাব দিতে হবে ॥ ইকবাল মাহমুদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যারা জনপ্রতিনিধি হবেন তারা তাদের সম্পদের হিসাব সঠিকই দেবেন হলফনামায়। যদি কেউ সঠিক না দেন, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অবশ্যই ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তবে মিথ্যা তথ্য প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের পরে তথ্য যাচাইপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, হিমালয় পাহাড়ের মতো সমস্যাটা হলো দুর্নীতির সমস্যা। আপনি যদি ডানে হাত দেন দুর্নীতি, বামে হাত দেন সেখানেও দুর্নীতি। সে জন্যই বলি যে, শুধু আমরা একা হৈচৈ করলে হবে না, এতে আপনাদের লাগবে, সরকারকে লাগবে, সবাইকে লাগবে। আমরা চাই সুন্দর দেশ। দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশ। আমাদের দেশের সম্মান যদি চাই তাহলে একযোগে কাজ করতে হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের পরে আমরা তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে দেখব। আমি বিশ্বাস করি যে, যারা জনপ্রতিনিধি হবেন তারা তাদের সম্পত্তির হিসাব হলফনামায় সঠিকই দেবেন। যদি কেউ সঠিক না দেন, তার জন্য কমিশনে ব্যবস্থা থাকবে ডেফিনেটলি এবং আমি মনে করি না, কোন দুর্নীতিবাজকে আমাদের দেশের মানুষ নির্বাচিত করবে। যদি এমন কিছু হয় তাহলে আমরা আমাদের আওতায় আনার চেষ্টা করব এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনকারীদের চরিত্র জনসম্মুখে তুলে ধরব। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সামনে নির্বাচন আছে কি না সেটা বিবেচনা না করে আমরা কাজ করি। তবে অবৈধ সম্পদ যাদের আছে তাদের আমরা ধরব। দুর্নীতিবাজদের অংশগ্রহণ না করতে দেয়ার বিষয়ে ইসিতে দুদকের সুপারিশ থাকবে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে ইকবাল মাহমুদ বলেন, না, সুপারিশ আমাদের থাকবে না। কারণ হচ্ছে, আরপিও অনুসারে যে কেউ নির্বাচন করতে পারেন, তাতে আমাদের কিছু করার নেই। সেটার সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। আমরা স্বপ্রণোদিত হয়ে ইসিকে কিছু বলব না বা সুপারিশ করব না। এটা তাদের বিষয়। সাজাপ্রাপ্তদের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। দুদক চেয়ারম্যানের বিস্ময় ॥ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া কর্তৃক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নিয়ে সম্প্রতি করা মন্তব্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। সোমবার এক ব্রিফিংয়ে দুদক চেয়ারম্যান এই বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই জেনে ও বুঝে মন্তব্য করা উচিত। কোন প্রতিষ্ঠানই নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না, তাদের দোষত্রুটি নেই। যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধেই শুধু ব্যবস্থা নেয় দুদক। এখানে রাগ-অনুরাগের কোন বিষয় নেই। দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরও চাকরি গেছে। ইকবাল মাহমুদ বলেন, এনবিআরের দুর্নীতি দূর করা বা অনুসন্ধান করা দুদকের কাজ নয়। তিনি বলেন, সরকারের কাছে এনবিআরের দুর্নীতির বিষয়ে অনুসন্ধানের সুপারিশ করেছি। এটা আমলে নেয়া হবে কিনা তা সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। উল্লেখ্য, প্রসঙ্গত, গত ৮ নবেম্বর আয়কর বিভাগের দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তা বন্ধের সুপারিশমালা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে জমা দেয় দুদক। পরে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া এ নিয়ে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ তদন্ত করলে দুদকের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির তথ্য পাওয়া যাবে।
×